ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন মুখ স্পর্শিয়া
Published: 14th, November 2025 GMT
কাজল আরিফিন অমি পরিচালিত বহুল আলোচিত সিরিয়াল ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। এখন চলছে এ সিরিয়ালের পঞ্চম সিজন। পূর্বের মতো নতুন সিজনে দর্শক মাত করছে কাবিলা, হাবু, পাশা চরিত্র। এবার নতুন একটি চরিত্র যুক্ত করেছেন নির্মাতা। আর এই নারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া।
ব্যাচেলর পয়েন্টে যুক্ত হয়ে উচ্ছ্বসিত স্পর্শিয়া বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে সিরিয়াস জনরায় কাজ বেশি করা হচ্ছিল। এজন্য চাচ্ছিলাম, সেখান থেকে বেরিয়ে ফান-কমেডি বা কালারফুল কিছু করতে; যাতে আরো বেশি দর্শকের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ টিম থেকে যখন কল এলো, সঙ্গে সঙ্গে ‘হ্যাঁ’ বলে দেই। তাছাড়া এই সিরিয়াল তো একটা ব্র্যান্ড, সবার কাছে জনপ্রিয়।”
আরো পড়ুন:
প্রেম-ট্রেমে নেই, সরাসরি বিয়েটাই করব: পারসা ইভানা
তটিনী আমার ভালো বন্ধু: ইয়াশ
পরিচালক অমির প্রশংসা করে স্পর্শিয়া বলেন, “এর আগে অমি ভাইয়ের সঙ্গে কখনো কাজ করা হয়নি। তিনি মেধাবি একজন মেকার। সব আর্টিস্টই চান, ভালো ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে। আশা করছি, আমাদের কোলাবোরেশন অনেক স্ট্রং হবে। বাকিটা দর্শকরা বলবেন।”
স্পর্শিয়াকে এ ধারাবাহিকে যুক্ত করার বিষয়ে নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি বলেন, “ব্যাচেলর পয়েন্টে ফিমেল চরিত্রের চেয়ে পুরুষ চরিত্রগুলো বেশি দেখা যায়। দর্শকরা বিগত সিজনে এখানে যেসব ফিমেল চরিত্র দেখেছেন, সবাইকে পছন্দ করেছেন এবং চরিত্রগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গল্পের চাহিদায় মনে হয়েছে, সিজন ফাইভে আরো নতুন চরিত্র দরকার, যে কারণে স্পর্শিয়াকে নিয়েছি।”
স্পর্শিয়ার চরিত্র দর্শকদের জন্য ‘চমক’ বলে মন্তব্য করেছেন নির্মাতা। তার ভাষায়—“তার চরিত্রটি দর্শকদের জন্য সারপ্রাইজ। পাশাপাশি এটি দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে। স্পর্শিয়ার সঙ্গে কারো ‘পেয়ার’ হয় কি না বা তার চরিত্র কতটা আনন্দিত করবে সেটা সিজন ফাইভে নেক্সট এপিসোডগুলো দেখলে দর্শক বুঝতে পারবেন।”
২০১৯ সালের শেষের দিকে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিরিয়ালটির প্রথম সিজনের সম্প্রচার শুরু হয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা ভিশনে। পাশাপাশি এটি মুক্তি পায় ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেলে।
দর্শক চাহিদা মাথায় রেখে নির্মিত হয়েছে সিরিয়ালটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সিজন। ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল ধ্রুব টিভির ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় তৃতীয় সিজনের শেষ পর্ব (৭৯)। এরপর চতুর্থ সিজন নির্মাণের দাবি জানান দর্শকরা। এ সিজন শেষ হওয়ার আড়াই বছর পর নির্মিত হয় পঞ্চম সিজন; যা প্রচারে আসার পর পূর্বের জনপ্রিয়তা বজায় রয়েছে।
এ সিরিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্রগুলো হলো—কাবিলা, পাশা, হাবু, শুভ, নেহাল, শিমুল, বজরা বাজারের জাকির, কাবিলার প্রেমিকা রোকেয়া, অন্তরা, লামিয়া। বরাবরের মতো কাবিলা চরিত্রে রয়েছেন জিয়াউল হক পলাশকে। পাশা, হাবু, শুভ, নেহাল, শিমুল চরিত্রে যথাক্রমে অভিনয় করছেন—মারজুক রাসেল, চার্ষী আলম, মিশু সাব্বির, তৌসিফ মাহবুব, শিমুল শর্মা।
বজরা বাজারের জাকির, অন্তরা, লামিয়া চরিত্রে রয়েছেন সাঈদুর রহমান পাভেল, ফারিয়া শাহরিন ও লামিয়া লাম। গত চার সিজনে কাবিলার প্রেমিকা রোকেয়াকে দেখানো হয়নি। সে নোয়াখালীতে বসবাস করে। কেবল মুঠোফোনে প্রেমিক কাবিলার সঙ্গে কথা বলে। নতুন সিজনেও রোকেয়া আছেন। মজার ব্যাপার হলো, এই সিজনে রোকেয়াকে সামনে আনবেন পরিচালক। তাছাড়া রানা চরিত্রে আবদুল্লাহ রানা, শিরিন চরিত্রে মনিরা মিঠু, পাগলা সুজন চরিত্রে আরফান মৃধা শিবলুসহ আরো অনেকে রয়েছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক স পর শ য় জনপ র য় কর ছ ন চর ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের নিন্দা
অধিকৃত পশ্চিম তীরে মসজিদে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আগুন দেওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা অনবরত বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যেই আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আল–জাজিরাকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত সালফিত এলাকার কাছে দেইর ইস্তিয়া গ্রামের হাজ্জা হামিদা মসজিদে আগুন দেন।
ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, মসজিদের দেয়ালে স্প্রে ব্যবহার করে বর্ণবিদ্বেষী ও ফিলিস্তিনবিরোধী স্লোগান লেখা হয়েছে। আগুনে মসজিদের ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পবিত্র কোরআনের কিছু কপিও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। বলেছে, এর মধ্য দিয়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে মুসলিম ও খ্রিষ্টানদের পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত জায়গাগুলোতেও ইসরায়েলি বর্বরতার কথা সামনে এসেছে।
ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওই ঘটনার বাইরে পশ্চিম তীরের দক্ষিণে হেবরনের কাছে বেইত উম্মার শহরে গতকাল এক অভিযানের সময় ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে দুই ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়।
এসব সহিংসতার ঘটনা এমন সময়ে ঘটেছে, যখন কিনা চলতি বছর পশ্চিম তীরজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও সেনাদের হামলার সংখ্যা রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। এসব হামলার বড় অংশই ঘটছে ২০২৫ সালের জলপাই চাষের মৌসুমকে ঘিরে।
মসজিদের পুড়িয়ে দেওয়া অংশ দেখছেন এক ফিলিস্তিনি। দেইর ইস্তিয়া, সালফিত, পশ্চিম তীর, ১৩ নভেম্বর ২০২৫