এমবাপ্পের জোড়া গোলে বিশ্বকাপে ফ্রান্স
Published: 14th, November 2025 GMT
কিলিয়ান এমবাপ্পের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের জায়গা নিশ্চিত করল ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ইউক্রেনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা করেন দুটি গোল। আর এই দুই গোলেই তার ক্যারিয়ার গোলসংখ্যা ছুঁয়ে ফেলে ৪০০-এর মাইলফলক।
শেষ ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা দাঁড়ায় সাতে। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপ্পের দুই গোলের মাঝখানে বায়ার্ন মিউনিখের মাইকেল অলিসে করেন একটি গোল, আর শেষদিকে স্কোরলাইনকে আরও সুন্দর করে তোলেন লিভারপুলের হুগো একিটিকে।
আরো পড়ুন:
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফ্রান্স দলে ফিরলেন এন’গোলো কান্তে
ক্ষুদ্র দ্বীপদেশ কেপ ভার্দের ‘বিশ্বকাপ’ স্বপ্ন ছোঁয়ার ইতিহাস
যদিও ম্যাচজুড়ে ফ্রান্সকে বারবার থামিয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের রক্ষণ। বিশেষ করে দিদিয়ের দেশমের জন্য এটি ছিল প্যারিসে তার শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। কারণ, বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব ছাড়বেন ফরাসি কোচ। তাই ম্যাচে ছন্দের ঘাটতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
৫৫ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। এমবাপ্পের প্যানেনকা পেনাল্টি ভেঙে দেয় ইউক্রেনের প্রতিরোধ। সেই গোল থেকেই শুরু হয় প্যারিসের উল্লাস।
তারপর অলিসের চমৎকার টার্ন নিয়ে নেওয়া শট ম্যাচের ভাগ্য নিশ্চিত করে। আর শেষ দশ মিনিটে এমবাপ্পে ও একিটিকে স্কোরলাইনে আরও রঙ যোগ করেন।
এই হারে ‘গ্রুপ-ডি’ থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে আসে ইউক্রেন। ম্যাচে তারা একটিমাত্র শট নিতে পেরেছিল, যা ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইন্যাঁকে কোনো ভাবেই পরীক্ষা করতে পারেনি। শুরু থেকেই তাদের পরিকল্পনা ছিল ফ্রান্সকে অস্বস্তিতে রাখা এবং প্রায় এক ঘণ্টা সেটিতে সফলও হয়েছিল তারা।
বিরতির ঠিক আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে যখন ব্র্যাডলি বারকোলার দুর্দান্ত বাঁকানো শট ইউক্রেন গোলরক্ষক ত্রুবিন পোস্টে ঠেকিয়ে দেন।
তবে এমন প্রতিভাবান একটি দলকে বেশি সময় আটকানো কঠিন। বারকোলার দারুণ দৌড়ের পর অলিসেকে ফাউল করেন তারাস মিখাভকো। স্পট কিকে তখন এমবাপ্পের সামনে শুধু নরম চিপে বল পাঠিয়ে দেওয়ার কাজটা বাকি ছিল।
কিছুক্ষণ পর এন’গোলো কান্তের প্রেসিংয়ে ইউক্রেনের ডিফেন্স বল হারালে আবার সুযোগ আসে ফ্রান্সের। কান্তে বল বাড়ান অলিসেকে। তিনি ডান পা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাম পায়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে চমকপ্রদ শটে গোল করেন।
শেষদিকে আবার জ্বলে ওঠেন এমবাপ্পে। শুরু এবং শেষ- দুটোরই সঙ্গী তিনি। এ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ২০ ম্যাচে তার এটি ২৩তম গোল এবং ক্যারিয়ারের ৪০০তম গোল। আর ৮৮ মিনিটে অধিনায়ক এমবাপ্পের দেওয়া থ্রু পাস থেকে একিটিকে করেন দলের চতুর্থ গোল।
ফলাফল- ফ্রান্স নিশ্চিত করল বিশ্বকাপ। আর প্যারিসে রাতে আবারও গর্জে উঠল ‘আলেলে লে ব্ল্যু’।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প ব ছ ই ফ ফ ব শ বক প ইউক র ন র এমব প প র ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
পোখরার দিন-রাত
বাবা বলতেন,
সত্যের কোন ছায়া নেই।
―মোমিলা, নেপালী কবি
নেপাল ভ্রমণে আমার মূল আকর্ষণ ছিলো পোখরা। কাজেই কাঠমান্ডু নেমেই আগে পোখরার টিকেট করলাম। পোখরায় যাওয়ার দুটো উপায় আছে―এক সড়ক পথ, দুই বিমান পথ। বিমান পথে ভাড়া অনেক আর ভয়ও আছে। কারণ নেপালের এয়ারপোর্টগুলো ছোট, আভ্যন্তরীণ বিমানগুলোও ছোট, অথচ আবহাওয়া পাহাড়ি মেঘের মতো অস্থির। সড়ক পথের সমস্যা হলো, ওটার অবস্থাও ঢাকার অনেক অলিগলির মতো, প্রচুর ভাঙচুর। তাতে অসুবিধা হওয়ার কথা না, আমরা খুব মসৃণ রাস্তায় চলে অভ্যস্ত নই, কিন্তু ওদের পথটা তো পাহাড়ি। একটু ডান-বাম হলেই বাস গিয়ে পড়বে হয় নিচে খাঁদে কিংবা নদীতে। মানে যে পথেই যাই, খানিকটা অসুবিধা বোনাসই থাকবে।
কিন্তু পোখরার যে রূপ সৌন্দর্যের ছবি দেখেছি অনলাইনে তাতে করে ওইটুকু অসুবিধা মেনে নিতেই হবে। পোখরাকে বলা হয় ‘ট্যুরিজমের রাজধানী’। কাঠমান্ডুর পরে এটাই নেপালের বৃহত্তম শহর। পোখরা থেকে এভারেস্ট দেখা যায় না। কাঠমান্ডু থেকে পোখরা দুইশ কিলোমিটার দূরে, আর পোখরা থেকে এভারেস্ট আরো দুইশ কিলোমিটার দূরে। আর পৃথিবীর বৃহত্তম পর্বত শিখর এভারেস্টকে কাছ থেকে দেখতে গেলে কালপাথর, গোকিও-রি বা এভারেস্ট বেইস ক্যাম্পে যেতে হবে। এই তিন জায়গাতেই যেতে গেলে লুকলা এয়ারপোর্টে নামতে হবে; সেটা হলো পৃথিবীর অন্যতম বিপজ্জনক এয়ারপোর্ট। ছোট্ট সরু রানওয়ে, চারিদিকে পাহাড়, উত্তাল বাতাসের কারণে এখানে প্রায়ই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। আর লুকলা হয়ে এই তিন পথের যে কোনোটা বেছে নিতে গেলেও দীর্ঘ সময় এবং ট্র্যাকিং করতে হবে।
অর্থাৎ শুধু অর্থ নয়, শারীরিক ফিটনেসও লাগবে। কিন্তু দুঃখ কি? নেপাল তো শুধু এভারেস্ট নয়, আট হাজার মিটারের চেয়ে উঁচু পৃথিবীর আটটি পর্বতের মধ্যে সাতটিই নেপালে রয়েছে। অতএব বড় ভাইকে দেখতে না-পেলেও ছোট ভাই, মেজ ভাই, সেজ ভাই তো রইলোই। ধৌলগিরি, অন্নপূর্ণা-১, মানাসলু পোখরা থেকেই দেখা যায়; ইনারা বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতমালার তালিকায় নিজেদেরে নাম লিখিয়েছেন। ইনারা তো রইলেন, সেই সঙ্গে পোখরা থেকে আরো দেখা যায় অসংখ্য নাম না-জানা পর্বতমালা। আর পোখরা শব্দটার অর্থই হলো ‘পুকুর’। ‘পুকুর’ শব্দটাকে পোখরাবাসীরা হয়তো বিনয় করেই বলেন; পাহাড়িদের বিনয় কিন্তু বেশ। আদতে পুকুর নয়, পোখরা হলো ফেওয়া লেকের চারপাশের শহর।
পোখরায় যাওয়ার জন্য আমরা রাতের বাস নিয়েছিলাম। আমরা তো বাজেট ট্রাভেলার, তাই ভাবলাম রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে বাসে করে চলে যাবো, তাতে হোটেল ভাড়াটা বাঁচবে। তবে ফেরার পথে দিনে ফিরবো, তাতে পাহাড়ি পথটা দেখা হবে। বাসে উঠেই মনে হলো ভুল করেছি। রাতের আলো-আঁধারিতেই পথের যে সৌন্দর্য উঁকিঝুঁকি দিলো তাতে মনে হলো, দিনের আলোতে এই পাশে বয়ে যাওয়া নদী আর পাহাড় সঙ্গী হতে পারতো। প্রায় পুরোটা চলার পথে শ্বেতী-গন্দকী নদী সঙ্গী হয়ে রইলো।
আমার ঠিক সামনের সিটের নেপালি ভদ্রলোক মনে হয় বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন কখনো। তিনি খাঁটি বাংলাদেশির মতো সিটে বসেই সিটটাকে এমনভাবে আমার দিকে ঠেলে দিলেন তাতে আমারই বসতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, ভাই আমার বসতে কষ্ট হচ্ছে। বেচারা উল্টো আমাকে বোঝালো, তোমার সিটটাও হেলান দেওয়া যায়, তুমি পেছনে ঠেলে দাও। অতএব তার ইচ্ছামতোই আমাকে অর্ধচিৎ হয়ে ভ্রমণ করতে হলো। আরেকটু পরে সে মোবাইলে দুনিয়ার গপসপ শুরু করলেন উচ্চস্বরে। আমি ভাবলাম, এই সুযোগ নেপালি ভাষা মন দিয়ে শোনার। কিন্তু আমার মন তার চিৎকারে প্রায়শই মুষড়ে পড়ছিলো। অতএব বেচারা মন ও আর চোখ দুটোকে পথের দিকেই ধার দিলাম।
সারারাত ঘুমহীন যখন পোখরা এসে পৌঁছালাম বাস থেকে নামতেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম! বাস স্ট্যান্ড থেকে দূরের পর্বতমালা একদম ঝকঝকে হাসি নিয়ে উপস্থিত। তখন ভোর। অতএব ভোরের সোনালি আলোতে সাদা পাহাড়ের গায়ে একদম নতুন বৌয়ের লালিমা লেগে আছে। শুনলাম, কেউ কেউ বলছে―ওই তো এভারেস্ট!
আমি মনে মনে হাসলাম। আরে, আমাকে বোকা বানানো অতো সোজা! আমি পড়ালেখা করে নেপাল গেছি, অতএব ইহা তো জানি পোখরা থেকে এভারেস্ট দেখা যায় না কোনোমতেই। কিন্তু মজার বিষয় হলো, পোখরায় যে ক’দিন ছিলাম, দেখতাম, ড্রাইভার, দোকানদার, হোটেলের লোক বা যে কোনো লোকই উঁচু কোনো পাহাড় দেখিয়েই বলে দিতো―ওইটা এভারেস্ট। আমি অবশ্য মনে মনে ঠিকই করেছিলাম, এভারেস্ট এ যাত্রায় নয়, বেঁচে থাকলে, টাকা এলে, একটু ফিটনেস বাড়িয়ে তাকে দেখতে যাবো কখনো।
কিন্তু পোখরা থেকে আমি যেসব পর্বতশৃঙ্গ দেখেছি তারা পৃথিবীর এভারেস্টের চেয়ে খানিকটা ছোট হলেও আমার চোখে মোটেও কম নয়। তবে পোখরায় আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে জল আর পাহাড়। অবারিত স্নিগ্ধ কোমল জলের ফেওয়া লেকের পাড়ে দিনের যে কোনো সময় চুপচাপ বসে থাকা যায়। জলের বুকে পাহাড়গুলোর প্রতিচ্ছবি। পুরো পোখরাকেই আমার মনে হয়েছে জল রঙে আঁকা কোনো দৃশ্য। ভীষণ ভেজা, কোমল তার রূপ। এতো এতো বিশাল পাহাড় আর লেকের ভিড়েও পোখরা শান্ত, কোমল। অন্তত দিনের বেলা। পোখরার প্রকৃতি বিস্ময়কর সুন্দর! গদ্যের ভাষায় তার বর্ণনা লেখা প্রায় অসম্ভব। চিত্রকর হলে ছবি আঁকতে পারতাম। কিন্তু আপাতত ফোনে ছবি তুলেই খুশি থাকলাম। কারণ এখনও ছবিগুলোর দিকে তাকালে অপরূপ পোখরার প্রেমে পড়ে যাই।
পোখরায় একটা দিন আমরা কাটালাম লেকের উপরে নৌকায়। এদিক-সেদিক ভেসে বেড়ালাম। মাঝে মাঝে নিজেরাই মাঝি হয়ে গেলাম। বাংলার মানুষ তো আমরা। লেক থেকে একটু এগুলেই পাওয়া গেলো তালবরাহি মন্দির। ছোট্ট একটা দ্বীপের মতো জায়গায় এই মন্দির। নৌকা ভ্রমণের ফাঁকে এখানে নেমে একটু পুজোর ঘ্রাণ নেওয়া যায়। এই মন্দিরের চারপাশে মাছ, কবুতর ঘোরাফেরা করে। একমাত্র নৌকায় এখানে আসা যায়। এই মন্দির থেকেই দূরে পাহাড়ের উপরে পিস প্যাগোডা দেখা যায়। নৌকা আরেকটু ঘুরে আমাদের নিয়ে গেলো ছোট্ট একটা পাহাড়ি ঝর্ণার ধারে। আমি যে কোনো পাহাড়ি ঝর্ণা পেলে তার জল একটু মুখে নেই। খাওয়ার উপযুক্ত না-হলে মুখ ধুয়ে নেই। এখানেও তাই করলাম।
পরদিন আমরা গাড়ি ভাড়া করে চলে গেলাম ‘ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডা’ ওরফে ‘শান্তি স্তুপা’র কাছে। বৌদ্ধ ভিক্ষু নিছিদাতছু ফুজি স্বয়ং হিরোশিমা, নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলার অমানবিক ভয়াবহতা দেখেছিলেন। তারই চেষ্টায় ‘নিপ্পনজান মিয়োহোজি বৌদ্ধ আন্দোলন’ হয়। নামে আন্দোলন হলে এটি একটি শান্তি কার্যক্রম। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো, বিশ্বব্যাপী শান্তির প্রচার, বুদ্ধের অহিংস বাণীর প্রচার এবং যুদ্ধের বিরোধিতা করা। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকাজুড়ে ১৯৭৪ থেকে ২০০০ সাল নাগাদ ৮০টি শান্তি স্তুপা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে নেপালে আছে দুটো। একটি পোখরায়, অন্যটি লুম্বিনিতে, স্বয়ং বুদ্ধের জন্মভূমিতে। পোখরার প্যাগোডাটি সবুজ পাহাড়ের মাঝখানে ধবধবে সাদা একটি স্তুপা। দূর থেকে দেখে মনে হয় পাহাড় চূড়ায় সাদা মেঘেদের সঙ্গী হয়ে আছে স্থির, অচঞ্চল শান্তির প্রহরী।
তবে শান্তি স্তুপা যাওয়ার পথেই পড়ে পুমডিকোট শিব মন্দির। আদতে পুমডিকোট পোখরার একটি পাহাড়ি গ্রাম। এই শিব মন্দির পর্যন্ত গাড়ি আসে। এটা পার হয়ে প্যাগোডায় যেতে হয় অনেকটা পাহাড়ি পথ হেঁটে। এই শিব মন্দিরটি স্থাপত্য দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
বিস্ময় নিয়ে ভাবি, অতো উঁচুতে কেমন করে এই বিশাল মন্দির তৈরি হলো। ১৫০০ মিটার উঁচু এই মন্দির থেকে এই পোখরা শহর, লেক, বাড়িঘর যেমন দেখা যায়, তেমনি অন্নপূর্ণা রেঞ্জের পাহাড়গুলোও দেখা যায় খুব নিকটে। আমরা একটা দিকে ভাগ্যবান ছিলাম, প্রায় প্রতিটা দিনই ছিলো ঝকঝকে, ফলে মেঘে ঢাকা পড়েনি বিশাল পাহাড়গুলো। ৫৭ ফুট উঁচু এই শিব মূর্তিটি নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবমূর্তি। তবে পুরো মন্দিরটি উচ্চতায় তার দ্বিগুন। সিঁড়ি বেয়ে মন্দির চূড়ায় উঠে শিবের চারপাশে চক্কর দিতে পারেন ভক্তরা। শুনলাম, ১০৮টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে এই শিব মন্দিও, আর এই ১০৮টি স্তম্ভ নাকি শিবলিঙ্গের প্রতীক। আমার অবশ্য দূর থেকে মনে হচ্ছিলো, ভোলানাথ বাবা স্বয়ং কৈলাসে ধ্যানে বসেছেন। তার কাছে গেলে চারপাশের অন্য পাহাড়গুলোকে ছোটই মনে হয়। এতো বড় শিব আমি এর আগে দেখিনি কোথাও।
পোখরার নাইট লাইফ এতো ঝলমলে সেটা অবশ্য সবসময় চোখে সয় না। সারারাত নাইট ক্লাবগুলোতে উদ্দাম সংগীত বাজছে, কোথাও লাইভ মিউজিক। ডান্স ফ্লোরে নাচানাচি চলছে। যারা পার্টি পছন্দ করে তাদের জন্য পোখরা দারুণ জায়গা। তবে দিনের পোখরা আর রাতের পোখরার চেহারাই আলাদা। (আগামী সংখ্যায় সমাপ্য)
ঢাকা/তারা//