পুকুরের মাছকে প্রতিদিন খাওয়ানো হয় পাঁচ হাজার কেজি মরিচ
Published: 14th, November 2025 GMT
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে মাছের একটি পুকুরের খবর এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পুকুরের মালিক জানিয়েছেন, তিনি প্রতিদিন তাঁর পুকুরের মাছকে নানা ধরনের পাঁচ হাজার কেজি মরিচ খাওয়ান। তাঁর দাবি, এতে মাছগুলো দেখতে আরও চকচকে হয় এবং স্বাদেও ভালো লাগে।
পুকুরটি চীনের হুনান প্রদেশের চাংশায় অবস্থিত। এই এলাকা চীনের ঝাল খাবারের জন্য বিখ্যাত। সম্প্রতি এই পুকুরের মাছকে মরিচ খাওয়ানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এটি ভাইরাল হয়ে যায়।
পুকুরটি দেখভাল করেন ৪০ বছর বয়সী মাছচাষি জিয়াং শেং ও তাঁর স্কুলজীবনের বন্ধু কুয়াং কে।
কুয়াং বলেন, পুকুরটির আয়তন প্রায় ১০ একর। এখানে দুই হাজারের বেশি মাছ আছে। এসব মাছকে নিয়মিত নানা ধরনের মরিচ খাওয়ানো হয়।
পুকুরের মালিক বলেন, ‘এসব মাছকে আমরা দিনে প্রায় পাঁচ হাজার কেজি মরিচ খাওয়াই। এতে মাছের শরীরের গঠন আরও সুন্দর হয়, স্বাদ উন্নত হয়। আঁশগুলো ঝকঝকে সোনালি রঙের মতো দেখায়।’
কুয়াং আরও বলেন, ‘শুরুর দিকে মাছ মরিচ খেতে চাইত না। কিন্তু যখন ঘাস আর মরিচ একসঙ্গে দিই, তারা ঘাস না খেয়ে মরিচই খেতে পছন্দ করছে। আমরা ঝাল খেলে পানি খাই। তারা তো পানিতেই থাকে, তাই ঝাল লাগলে বেশি পানি খেয়ে নেয়।’
জিয়াং ব্যাখ্যা করে বলেন, মানুষের মতো মাছের স্বাদগ্রহণের ক্ষমতা নেই। তারা মূলত ঘ্রাণের মাধ্যমে খাবার চেনে। তাই মরিচের ঝাল তাদের সমস্যা হয় না।
কুয়াং বলেন, বিক্রি হয়নি বা নষ্ট হতে চলেছে, এমন মরিচ তাঁরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে বিনা মূল্যে পান। এতে খরচ কমে এবং ঘাস চাষের ঝামেলাও করতে হয় না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একজন ব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, মাছ এখন মানুষের মতো হয়ে যাচ্ছে। কিছু জায়গায় মানুষই এত মরিচ খেতে পারে না।
আরেকজন লিখেছেন, ‘এ যেন আগে থেকেই মসলা মাখানো মাছ। শুধু সামান্য সিচুয়ান মরিচ, আদা, রসুন আর পেঁয়াজকুচি দিলেই দেখতে যেমন সুন্দর হবে, খেতেও তেমন স্বাদ হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুজন তারকার কী বিয়ে করা উচিত, যা বললেন মিথিলা
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন এই দুই তারকা। ২০১৭ সালে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। তবে কী কারণে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে, তা আজও অজানা।
কয়েক দিন আগে একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মিথিলা। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, দুজন তারকার কী বিয়ে করা উচিত? জবাবে মিথিলা বলেন, “আমার মনে হয়, এটা আমি জানি না।”
আরো পড়ুন:
সৃজিতের সঙ্গে সংসার ভাঙার গুঞ্জনে যা বললেন মিথিলা
মিথিলার মুকুটে নতুন পালক
আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে বা দুজনেই মেধাবি, দুজনেই অভিনয় করেন, গান করেন। আমি তাহসানের কথা বলছি না। সাধারণভাবে জানতে চাই? সঞ্চালকের প্রশ্নের উত্তরে মিথিলা বলেন, “সাধারণভাবে দুজন মানুষ। তারা তারকা হোক বা না হোক। দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক বড় ব্যাপার।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে মিথিলা বলেন, “দুজন মানুষের বেড়ে ওঠা, দুজনের বাবা-মা, দুজনের সংস্কৃতি, দুজনের বেড়ে ওঠার জায়গা, দুজনের অনুশাসন—সবকিছুই আলাদা। সেই জায়গা থেকে দুজন মানুষ যখন একই ছাদের নিচে থাকার চেষ্টা করে, বিশেষ করে মেয়েটিকে তো অন্য একটা পরিবেশে বা পরিবারে গিয়ে মানিয়ে নিতে হয়, যা খুব সহজ কাজ নয়।”
দুজন মানুষের এক ছাদের নিচে বসবাসের সিদ্ধান্ত অনেক বড় ব্যাপার। এ তথ্য জানিয়ে মিথিলা বলেন, “দুজন মানুষকে এক ছাদের নিচে থাকা খুব কঠিন কাজ। এটা অনেকটা ভাগ্যের বিষয়। হয়তো দুজনের সামঞ্জ্য হয়ে গেল বা আছে। তবু কখনো কখনো এটা কাজ নাও করতে পারে। দুজন মানুষ আলাদা, তারা দুইরকম জিনিস চাইতে পারে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের পরিবর্তন হয়। এটা অনেক কিছু মিলিয়ে…। আমার মনে হয়, তারকা বা তারকা নয়, এর উপরে নির্ভর করে না।”
“আমাদের (তাহসান-মিথিলা) ব্যাপারটা এত পুরোনো, এত ব্যক্তিগত কথা, যেখানে দুজন মানুষ একসঙ্গে উপস্থিত নেই। আমার মনে হয় আমরা অন্য ৮-১০টা মানুষের মতোই। অন্য মানুষদের যেমন সমস্যা, সংঘাত যেসব কারণে হতে পারে, একই কারণে আমাদের জীবনেও হয়েছিল। আসলে খুব একটা আলাদা করে বলারও কিছু না।” বলেন মিথিলা।
তাহসান খানের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর প্রায় দুই বছর সিঙ্গেল ছিলেন মিথিলা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই অভিনেত্রী। তবে দীর্ঘ সময় একা ছিলেন তাহসান। চলতি বছরের শুরুতে মেকওভার শিল্পী রোজা আহমেদকে বিয়ে করেন তাহসান।
ঢাকা/শান্ত