মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় আবারও একটি স্কুলবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাসের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা চালক তাজেস খান (৪৫) দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ফলসাটিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ তাজেস খানের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাড়াইভিকরা গ্রামে। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

শিবালয় থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের দি হলি চাইল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার জন্য বাসটি ব্যবহার করা হতো। বাসটি প্রতিদিনের মতো গতকাল মহাসড়কের পাশে পার্কিং করে রাখা হয়। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিলে মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। তখন বাসের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা চালক তাজেস খান দগ্ধ হন।

খবর পেয়ে বরঙ্গাইল হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে তাঁকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানী ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, আশপাশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) ভিডিও চিত্র বিশ্লেষণ করে অগ্নিসংযোগকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাতে শিবালয় উপজেলার উথলী মোড় এলাকায় একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে পার্কিং করে রাখা মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

বরগুনায় বাসে আগুন: ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

বরগুনার আমতলীতে স্বর্ণা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে আমতলী থানা পুলিশ। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে আমতলী ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তায় পার্কিং করে রাখা স্বর্ণা পরিবহনের পটুয়াখালী–ব ১১-০০৪৬ নম্বরের বাসটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাসটি পুড়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিষিদ্ধ সংগঠন আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান রাসেল, যুগ্ম আহ্বায়ক পারভেজ খান এবং আমতলী পৌর যুবলীগের সদস্য ও ১১টি মামলার আসামি তম্ময় গাজী। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন আমতলী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কাওছার আহমেদ রনি এবং সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ছগির মল্লিক।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলা রুজু হয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ