জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী-অভিনেতা তাহসান খান ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন এই দুই তারকা। ২০১৭ সালে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। তবে কী কারণে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে, তা আজও অজানা। 

কয়েক দিন আগে একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মিথিলা। এ আলাপচারিতায় জানতে চাওয়া হয়, দুজন তারকার কী বিয়ে করা উচিত? জবাবে মিথিলা বলেন, “আমার মনে হয়, এটা আমি জানি না।”  

আরো পড়ুন:

সৃজিতের সঙ্গে সংসার ভাঙার গুঞ্জনে যা বললেন মিথিলা

মিথিলার মুকুটে নতুন পালক

আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে বা দুজনেই মেধাবি, দুজনেই অভিনয় করেন, গান করেন। আমি তাহসানের কথা বলছি না। সাধারণভাবে জানতে চাই? সঞ্চালকের প্রশ্নের উত্তরে মিথিলা বলেন, “সাধারণভাবে দুজন মানুষ। তারা তারকা হোক বা না হোক। দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক বড় ব্যাপার।” 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে মিথিলা বলেন, “দুজন মানুষের বেড়ে ওঠা, দুজনের বাবা-মা, দুজনের সংস্কৃতি, দুজনের বেড়ে ওঠার জায়গা, দুজনের অনুশাসন—সবকিছুই আলাদা। সেই জায়গা থেকে দুজন মানুষ যখন একই ছাদের নিচে থাকার চেষ্টা করে, বিশেষ করে মেয়েটিকে তো অন্য একটা পরিবেশে বা পরিবারে গিয়ে মানিয়ে নিতে হয়, যা খুব সহজ কাজ নয়।” 

দুজন মানুষের এক ছাদের নিচে বসবাসের সিদ্ধান্ত অনেক বড় ব্যাপার। এ তথ্য জানিয়ে মিথিলা বলেন, “দুজন মানুষকে এক ছাদের নিচে থাকা খুব কঠিন কাজ। এটা অনেকটা ভাগ্যের বিষয়। হয়তো দুজনের সামঞ্জ্য হয়ে গেল বা আছে। তবু কখনো কখনো এটা কাজ নাও করতে পারে। দুজন মানুষ আলাদা, তারা দুইরকম জিনিস চাইতে পারে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের পরিবর্তন হয়। এটা অনেক কিছু মিলিয়ে…। আমার মনে হয়, তারকা বা তারকা নয়, এর উপরে নির্ভর করে না।”  

“আমাদের (তাহসান-মিথিলা) ব্যাপারটা এত পুরোনো, এত ব্যক্তিগত কথা, যেখানে দুজন মানুষ একসঙ্গে উপস্থিত নেই।  আমার মনে হয় আমরা অন্য ৮-১০টা মানুষের মতোই। অন্য মানুষদের যেমন সমস্যা, সংঘাত যেসব কারণে হতে পারে, একই কারণে আমাদের জীবনেও হয়েছিল। আসলে খুব একটা আলাদা করে বলারও কিছু না।” বলেন মিথিলা।  

তাহসান খানের সঙ্গে সংসার ভাঙার পর প্রায় দুই বছর সিঙ্গেল ছিলেন মিথিলা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই অভিনেত্রী। তবে দীর্ঘ সময় একা ছিলেন তাহসান। চলতি বছরের শুরুতে মেকওভার শিল্পী রোজা আহমেদকে বিয়ে করেন তাহসান।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র দ জন ম ন ষ দ জন র

এছাড়াও পড়ুন:

আর্জেন্টিনা দলে ম্যাক অ্যালিস্টারের ভাই, মনে করিয়ে দিল যে ইতিহাস

আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পেয়েছেন কেভিন ম্যাক অ্যালিস্টার। বেলজিয়ামের ক্লাব রয়্যাল ইউনিয়ন সেঁ-জিলোয়াসের এই ডিফেন্ডার আর্জেন্টিনার তারকা মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের বড় ভাই। এনজো ফার্নান্দেজ চোটে পড়ায় আর্জেন্টিনার অ্যাঙ্গোলা সফরের দলে যুক্ত করা হয়েছে কেভিনকে।

এর ফলে আফ্রিকা সফরে একসঙ্গে থাকছেন দুই ভাই অ্যালেক্সিস ও কেভিন। এই দৃশ্যটা যেন ফিরিয়ে আনছে আর্জেন্টাইন ফুটবলের শতবর্ষের পুরোনো এক ঐতিহ্য। আর্জেন্টিনার শত বছরের বেশি ইতিহাসে এর আগে ২৯ জোড়া ভাই জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন একসঙ্গে। ম্যাক অ্যালিস্টার ভ্রাতৃদ্বয় সেই তালিকার ত্রিশতম জুটি। এর মধ্যে ১২ জোড়া ভাই আবার একই ম্যাচে একসঙ্গে মাঠে নামতে পেরেছিলেন।

দুই ভাইয়ের মধ্যে অ্যালেক্সিস তো বিশ্বকাপজয়ী। কিন্তু কেভিনের পথটা মোটেও সহজ ছিল না। ২০১৭ সালের সাউথ আমেরিকান অনূর্ধ্ব–২০ চ্যাম্পিয়নশিপের দলে ডাক পেলেও বাঁ পায়ের গুরুতর চোটে (এএসিএল) টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান তিনি। এখন, ২৮ বছর বয়সে সেই কেভিন আবার জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরছেন—আর সেটা নিজের ভাইয়ের সঙ্গে। আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে একসঙ্গে খেলার পর এবার জাতীয় দলে ডাক। দুই ভাইয়ের জন্যই মুহূর্তটা নিঃসন্দেহে বিশেষ।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা দলে নতুন ম্যাক আলিস্টার-আলভারেজ-ফার্নান্দেজের খোঁজে স্কালোনি ২০ আগস্ট ২০২৫

আর্জেন্টিনার ফুটবলে ভাইদের একসঙ্গে খেলার গল্পের শুরুটা বহু আগে। এই তালিকায় কিংবদন্তি ব্রাউন পরিবার একটা বিশেষ জায়গা নিয়ে থাকবে। পরিবারের পাঁচ সদস্যই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে এরনেস্তো ও জর্জ গিবসন ব্রাউন ১৯০২ সালে অভিষেক ম্যাচেই একসঙ্গে মাঠে নামেন।

এক বছর পর ১৯০৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মাঠে ছিলেন ব্রাউন পরিবারের তিন ভাই। সেদিনই মাঠে নামেন মুর পরিবারের দুই ভাই, ইউজেনিও ও জুয়ান, যাঁরা আবার যমজ! এমন দৃশ্য হয়তো ফুটবল ইতিহাসেও বিরল।

ভাইদের একসঙ্গে বিশ্বকাপে খেলার ঘটনাও আছে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে। ১৯৩০ উরুগুয়ে বিশ্বকাপে জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গে খেলেছিলেন দুই ভাই হুয়ান ও মারিনো এভারিস্তি। আর্জেন্টিনার হয়ে দুই ভাইয়ের একসঙ্গে বিশ্বকাপে খেলার সেটিই একমাত্র ঘটনা। শুধু খেলাই নয়, সেবার তাঁরা একসঙ্গে ফাইনালেও নামেন।

আরও পড়ুনবিচ্ছেদের ২ বছর পর ম্যাক অ্যালিস্টারের বিরুদ্ধে সাবেক প্রেমিকার মামলা১৫ নভেম্বর ২০২৪

এ ধরনের গল্পগুলো আর্জেন্টাইন ফুটবলের শুরুর যুগে প্রায়ই দেখা যেত। কিন্তু আধুনিক সময়ে তা ক্রমেই বিরল হয়ে গেছে। দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৬৬ সালে দানিয়েল ও এরমিনদো ওনেগা ভাইয়েরা আবার এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনেন। এরপর ১৯৭৫ সালে দানিয়েল ও মারিও কিলার ভাইয়েরা একসঙ্গে খেলেন। তারপর আবার লম্বা বিরতি।

এই শতকে একমাত্র উদাহরণ মিলিতো ভাইদের—গ্যাব্রিয়েল ও দিয়েগো মিলিতো। তাঁরা শেষবার একসঙ্গে খেলেছিলেন ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর, সাইতামায় জাপানের কাছে ১–০ ব্যবধানে হারা ম্যাচে।

এরপর বুরদিসো, ফুনেস মোরি, সিমিওনে, কারবোনি—অনেক ভাই জুটি তৈরি হলেও, কেউই একসঙ্গে মাঠে নামার সুযোগ পাননি।

এবার ম্যাক অ্যালিস্টার ভাইয়েরা কি পারবেন সেই ইতিহাসে নাম লেখাতে?

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদশ ও ভারতে একসঙ্গে শীর্ষে, কী আছে ধানুশের এই সিনেমায়
  • গণ-অভ্যুত্থানের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ঝুঁকিতে পড়বে: মামুনুল হক
  • একবার জাল ফেলে পৌনে এক লাখ টাকার মাছ, এক কাতলার দামই ৬২ হাজার
  • তটিনী আমার ভালো বন্ধু: ইয়াশ
  • গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে ১১টি রিগ
  • সঞ্জয়কে কেন চড় মেরেছিলেন ধর্মেন্দ্র?
  • ৯ ভাই–বোনের মধ্যে ৫ জনই খেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, ইসোবেল পরিবারের গল্প
  • আর্জেন্টিনা দলে ম্যাক অ্যালিস্টারের ভাই, মনে করিয়ে দিল যে ইতিহাস
  • দ্বিতীয় বিয়ে করার ৩ মাস পর স্বীকার করলেন রশিদ খান