Risingbd:
2025-11-14@07:30:44 GMT

মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম কমেছে

Published: 14th, November 2025 GMT

মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম কমেছে

বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় কমেছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম। কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দাম গড়ে প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। 

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

শীতকালীন সবজির সরবরাহ ভালো। তবু, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কিছু কিছু সবজির দাম বেড়েছে। এখন বাজারে প্রতি কেজি দেশি শশা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, আমদানি করা গাজর ১৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, সিম ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ও লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং জলপাই ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কমেছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম 
মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, টানা কয়েক মাস মাছের দাম বাড়তি থাকার পর এ সপ্তাহে মাছের দাম কমতে শুরু করেছে। নদী ও চাষের মাছের সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমেছে। আগামীতে মাছের দাম আরো কমার সম্ভাবনা আছে।

এ সপ্তাহে মাঝারি আকারের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। চাষের পাঙাস আকার অনুযায়ী কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি আকারের কৈ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বড় আকারের পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। 

গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

এ সপ্তাহেও মুদি পণ্য উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল আছে। তবে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে। রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও দেশি আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা
রাজধানীর জিগাতলার সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে কেনাকাটা বেসরকারি চাকরিজীবী সাকিল আহমেদ রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, “বাজারে কিছু কিছু সবজি বাদে সবকিছুর দাম বেশি। আমাদের আয়ের সাথে  বাজার খরচ মিলাতে পারছি না। আমাদের চাহিদা এক কেজি, কিন্তু আমরা নিচ্ছি ২৫০ গ্রাম। দাম প্রতি সপ্তাহে বাড়তে থাকে, কিন্তু আমাদের বেতন তো আর বাড়ে না। যারা উচ্চবিত্ত তাদের কোনো সমস্যা নেই। সরকারকে বলব, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিন।

রাজধানীর নিউ মার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বেপারি এ প্রতিবেদককে বলেছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা বাড়তি। গত সপ্তাহে সিম বিক্রি করেছি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি করতে হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। বাজারে শীতকালীন সবজি পুরোপুরি যখন আসবে, তখন দাম কমবে। তবে, গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে বিক্রি করেছি ১২০ টাকা কেজি দরে, এ সপ্তাহে বিক্রি করছি ১১০ টাকায়। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম আরো কমবে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ ম কম ৫০ থ ক ৬০ ট ক ৮০ ট ক ৫০ ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

পেঁয়াজের দাম কমেনি, কেজিপ্রতি দাম ১০০–১২০ টাকা

দুই সপ্তাহ আগে বাজারে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে যায়। তাতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম হয় ১০০ থেকে ১২০ টাকা। পেঁয়াজের সেই দাম কমেনি। আজও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের মজুত শেষের দিকে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে, বাজারে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজেরও সরবরাহ নেই। এ কারণে পেঁয়াজের দাম কমছে না।

বর্তমানে খুচরা বাজারে মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুর অঞ্চলের ছোট আকারের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাবনা জেলা ও কিছুটা ভালো মানের পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও পাবনার পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, আগারগাঁও তালতলা বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি বছর দেশের বাইরে থেকে খুব বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। ফলে মূলত দেশি পেঁয়াজের ওপরই নির্ভরশীল ছিল বাজার। গত অক্টোবর পর্যন্ত বাজারে দেশি পেঁয়াজের ভালো সরবরাহও ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শুরু থেকে সেটি কমে যায়। ফলে পেঁয়াজের দাম বাড়ে। তাঁরা আরও জানান, আগামী ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে আগাম পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করলে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে।

সাধারণত ডিসেম্বর মাসে বাজারে নতুন মৌসুমের আগাম পেঁয়াজ তথা মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করে। এর আগে সরবরাহ কম থাকলে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বাজারে পেঁয়াজের দাম চড়া থাকে। গত বছরও এ সময় পেঁয়াজের দাম চড়া ছিল। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

চলকি বছরের আগস্ট মাসেও আরেক দফা পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। তখন পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ২০ তৈখৈ ২৫ টাকা বেড়েছিল। তার আগে বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়।

খুচরা বিক্রেতাদের অনুমান, ডিসেম্বর মাসে বাজারে আগাম পেঁয়াজ আসা শুরু হতে পারে। তখন দাম কমবে। এর আগপর্যন্ত, বিশেষ করে নভেম্বর মাসে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে।

রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক আবদুল মাজেদ বলেন, ‘বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেই। আবার দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহেও সংকট আছে। ফলে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ আমদানি করা প্রয়োজন। আমরা সরকারের কাছে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়েছি; কিন্তু এখনো অনুমতি পাইনি।’

পেঁয়াজ আমদানির সুপারিশ

প্রতিবছর পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইতিমধ্যে ট্যারিফ কমিশন পেঁয়াজ আমদানির সুপারিশ করে বাণিজ্যসচিব ও কৃষিসচিবকে চিঠি দিয়েছে। ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২ হাজার ৮০০ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।

বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস ভারত। পেঁয়াজের মোট আমদানির ৯৯ শতাংশই ভারত থেকে আসে। এ ছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিসর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। গত অর্থবছরে মোট ৪ লাখ ৮৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। বর্তমানে পেঁয়াজের ওপর মোট ১০ শতাংশ শুল্ককর আছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। তবে সংরক্ষণের সমস্যাসহ নানা কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হয়। তাই গত অর্থবছরে ৩৩ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ বাজারে এসেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভোলার গ্যাস ব্যবহারে সেখানেই শিল্পাঞ্চল গড়ার চিন্তা
  • পেঁয়াজের দাম বাড়তি, কমেছে ডিম ও মোটা চালের দাম
  • পেঁয়াজের দাম বাড়তি, কমেছে মোটা চাল ও ডিমের দাম
  • পেঁয়াজের দাম কমেনি, কেজিপ্রতি দাম ১০০–১২০ টাকা
  • ভারতে মূল্যস্ফীতি শূন্যের কাছাকাছি, বাংলাদেশে ৮ শতাংশের বেশি
  • নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি: ৯০ দিনে অর্থ পরিশোধের সুযোগ
  • নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল থাকার আহ্বান
  • ধামরাই বাজারে চাল-ডাল স্থিতিশীল, বেড়ছে সবজি-আলু-পেঁয়াজের দাম
  • টেলিভিশনে ভোজ্যতেল উদ্ধারের নাটক প্রচার করা হয়: বাণিজ্য উপদেষ্টা