উত্তর কোরীয় নেতাকে উসকানি দিতে ড্রোন পাঠিয়েছেন দক্ষিণের সাবেক প্রেসিডেন্ট: সিউলের প্রসিকিউটর
Published: 14th, November 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট নাকি গোপনে ড্রোন পাঠিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনকে উত্ত্যক্ত করতে চেয়েছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটররা এমন অভিযোগের নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, পরবর্তী সময় সেনাশাসন (মার্শাল ল) জারি করার পথ তৈরি করার অংশ হিসেবে এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ফোন থেকে পাওয়া কয়েকটি মেমোতে দেখা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল এবং দুই জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা এমনভাবে কিমকে উসকে দিতে চেয়েছিলেন, যাতে উত্তর কোরিয়া সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়। আর সেটাকেই অজুহাত করে যাতে ইউন জরুরিভিত্তিতে সামরিক শাসন জারি করতে পারেন।
প্রসিকিউটররা গত সোমবার এসব প্রমাণ তুলে ধরে বলেছেন, গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়া গোপনে ড্রোন পাঠিয়ে দেশটির ভেতরে সরকারবিরোধী প্রচারপত্র ফেলেছিল বলে উত্তর কোরিয়ার যে অভিযোগ করেছে, সেটি সত্য হতে পারে। এর পরপরই কিমের বোন কিম ইয়ো জং তীব্র ভাষায় দক্ষিণ কোরিয়ার নিন্দা জানিয়েছিলেন।
এ ঘটনার পর উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয় এবং নিজেদের ভেতরে দুটি রাস্তা উড়িয়ে দেয়। তবে তারা সামরিক হামলা চালায়নি। কয়েক সপ্তাহ পর ইউন মার্শাল ল জারি করেন। তিনি দাবি করেন, দক্ষিণ কোরিয়া ‘উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শাসনের’ হুমকির মধ্যে আছে।
দক্ষিণ কোরয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউনের এই আকস্মিক নির্দেশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পার্লামেন্ট বাতিল করে দেয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টা করলেও এমপিরা তাঁদের সরিয়ে ভেতরে ঢুকে ভোটাভুটি করে আইনটি বাতিল করে দেন। এর পর থেকেই ইউন আদালতে নানা মামলার মুখোমুখি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লকে আদালতে হাজির করা হয়। ৯ জুলাই ২০২৫, সিউল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তর কোরীয় নেতাকে উসকানি দিতে ড্রোন পাঠিয়েছেন দক্ষিণের সাবেক প্রেসিডেন্ট: সিউলের প্রসিকিউটর
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট নাকি গোপনে ড্রোন পাঠিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনকে উত্ত্যক্ত করতে চেয়েছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটররা এমন অভিযোগের নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, পরবর্তী সময় সেনাশাসন (মার্শাল ল) জারি করার পথ তৈরি করার অংশ হিসেবে এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ফোন থেকে পাওয়া কয়েকটি মেমোতে দেখা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়ল এবং দুই জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা এমনভাবে কিমকে উসকে দিতে চেয়েছিলেন, যাতে উত্তর কোরিয়া সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়। আর সেটাকেই অজুহাত করে যাতে ইউন জরুরিভিত্তিতে সামরিক শাসন জারি করতে পারেন।
প্রসিকিউটররা গত সোমবার এসব প্রমাণ তুলে ধরে বলেছেন, গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়া গোপনে ড্রোন পাঠিয়ে দেশটির ভেতরে সরকারবিরোধী প্রচারপত্র ফেলেছিল বলে উত্তর কোরিয়ার যে অভিযোগ করেছে, সেটি সত্য হতে পারে। এর পরপরই কিমের বোন কিম ইয়ো জং তীব্র ভাষায় দক্ষিণ কোরিয়ার নিন্দা জানিয়েছিলেন।
এ ঘটনার পর উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের সঙ্গে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেয় এবং নিজেদের ভেতরে দুটি রাস্তা উড়িয়ে দেয়। তবে তারা সামরিক হামলা চালায়নি। কয়েক সপ্তাহ পর ইউন মার্শাল ল জারি করেন। তিনি দাবি করেন, দক্ষিণ কোরিয়া ‘উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শাসনের’ হুমকির মধ্যে আছে।
দক্ষিণ কোরয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউনের এই আকস্মিক নির্দেশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পার্লামেন্ট বাতিল করে দেয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টা করলেও এমপিরা তাঁদের সরিয়ে ভেতরে ঢুকে ভোটাভুটি করে আইনটি বাতিল করে দেন। এর পর থেকেই ইউন আদালতে নানা মামলার মুখোমুখি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লকে আদালতে হাজির করা হয়। ৯ জুলাই ২০২৫, সিউল