রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনের (১৬) মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে। 

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার চকপাড়া গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন স্বজনরা।

এর আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের রাজশাহী সেন্টারের সদস্যরা রামেক হাসপাতালের নির্ধারিত কক্ষে মরদেহের গোসল করিয়ে দেন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সেই মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের রাজশাহী সেন্টারের পরিচালক মো.

কায়সার পারভেজ মেহেদী জানিয়েছেন, অনেক দূরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে। তাই, ময়নাতদন্তের পরপরই তারা মরদেহের গোসল করিয়ে দিয়েছেন। পরে তাদের ফ্রিজিং গাড়িতেই মরদেহ পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় রামেকের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন ও একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী। ময়নাতদন্ত শেষে মর্গের ভেতরে ঢুকে ছেলের মরদেহ দেখেন নিহতের বাবা বিচারক আবদুর রহমান। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ময়নাতদন্ত শেষে ডা. কফিল উদ্দিন জানান, তাওসিফের ডান উরু, ডান পা ও বা বাহুতে ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই তিন জায়গায় রক্তনালী আছে, সেগুলো কেটে গিয়েছিল। এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণও ছিল শরীরে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

 পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগ আছে বলে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে এ দাগটি হতে পারে। তবে, এটি মৃত্যুর প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে।

 গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী শহরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওসিফ। হামলাকারী গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার লিমন মিয়া (৩৫) তাদের পূর্বপরিচিত। তার হামলায় যখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসী (৪৪)।

হামলাকারী ধস্তাধস্তিতে নিজেও আহত হয়ে রামেক হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

ঢাকা/কেয়া/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ময়ন তদন ত মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

শতবর্ষী স্টিমারে চড়বেন কীভাবে, কত খরচ

প্রায় তিন বছর পর আবার জলে ভাসবে পি এস মাহসুদ। ঢাকা–বরিশাল নৌপথে চলার জন্য শতবর্ষী এই স্টিমারটি সংস্কার করা হয়েছে। ১৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ২১ নভেম্বর শুরু হবে চলাচল। প্রাথমিকভাবে প্রথম শ্রেণির কেবিনের ভাড়া ৬ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। আর চেয়ারে বসে যেতে চাইলে প্রতি যাত্রীকে ২ হাজার টাকা খরচ করা লাগতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ