আলিম শ্রেণিতে বাদপড়াদের বিশেষ বিবেচনায় রেজিস্ট্রেশন, চলবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত
Published: 14th, November 2025 GMT
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের (পরীক্ষা-২০২৬) আলিম শ্রেণিতে যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে কোনো মাদ্রাসায় ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারেনি, সেসব শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন অত্র বোর্ডের eSIF পূরণের মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যানের আদেশে রেজিস্ট্রার প্রফেসর ছালেহ আহমাদ স্বাক্ষর করে এ কার্যক্রমের সময় নির্ধারণ করেছেন।
ফি জমাদান ও eSIF এন্ট্রির সময়১.
২. তথ্য (eSIF) এন্ট্রির শেষ তারিখ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঅনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের১২ নভেম্বর ২০২৫ফি প্রদান ও eSIF পূরণ১. যেকোনো ব্রাউজার থেকে সরাসরি www.ebmeb.gov.bd–তে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের EIIN ও Password দিয়ে লগইন করতে হবে। অতঃপর পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এন্ট্রি দিয়ে সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত বোর্ড ফি প্রদান করতে হবে।
২. নির্ধারিত ফি সিস্টেমে জমা হওয়ার পরই কেবল শিক্ষার্থীর তথ্য আপলোডের জন্য নতুন এন্ট্রির অপশন পাওয়া যাবে এবং সতর্কতার সঙ্গে নতুন এন্ট্রি করা শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
৩. এখানে শুধু বিলম্ব ফি দিয়ে নতুন শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি করা যাবে।
৪. আগে এন্ট্রি করা শিক্ষার্থী ডিলিট করার সুযোগ থাকবে না।
৫. আগে রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভুল বিভাগ, বিষয় ও ছবি সংশোধন প্রক্রিয়াটি চলমান।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে জেমিনি ব্যবহার: সিঙ্গাপুর–অস্ট্রেলিয়া–কানাডার শিক্ষার্থীদের মতো সুযোগ বাংলাদেশিদেরও১৩ নভেম্বর ২০২৫রেজিস্ট্রেশন ফিআলিম শ্রেণির নিয়মিত শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য ফি ৬৮৫ টাকা এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে পাঠবিরতি ফি ১৫০ টাকাসহ মোট ৮৩৫ টাকা।
# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট
আরও পড়ুনমনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি শ্রেণিতে ভর্তি১৩ নভেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
১ ফেব্রুয়ারি থেকে একুশে বইমেলা করার দাবি বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের
পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকেই অমর একুশে বইমেলা ২০২৬ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। একই সঙ্গে এবারের মেলায় স্টল ভাড়া কমানোর দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে লেখক, পাঠক, প্রকাশক, শিল্পী–সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান বক্তারা এসব দাবি জানান।
কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান বলেন, সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ সরকারের পক্ষ থেকে বইমেলা স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্ত মানে না। তারা (সরকার) জানিয়েছে সুরক্ষা দেওয়ার মতো ফোর্স তাদের নেই। সরকারের লাখ লাখ লোক আছে প্রতিরক্ষা দেওয়ার মতো। সেখানে মেলার নিরাপত্তার জন্য কেন ৪ থেকে ৫ হাজার দেওয়া যাবে না।
প্রকাশক ও লেখক সাঈদ বারী বলেন, এখন সংস্কৃতির নামে ড্রোন শো হয়, কিন্তু বইমেলা পড়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাংলা একাডেমি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তাদের দেখলে মনে হয় সবটাই মন্ত্রণালয় চালায়।
একাডেমি ডিসেম্বরে মেলা করতে চায় বই বাণিজ্য করার জন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই হতে হবে। একই সঙ্গে মেলার স্টল ভাড়া কমাতে হবে।
উদীচীর একাংশের সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার বলেন, মনে হচ্ছে বইমেলা না হলে সরকার বেঁচে যায়। শিশুদের সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা হচ্ছে। এসব তো হাসিনার নীতি। তিনি বলেন, সরকারকে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই বইমেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিতে হবে। এ দাবি নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান খন্দকার শাহ আলম। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন প্রকাশক দেলওয়ার হাসান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বিবর্তনের মফিজুর রহমান লাল্টু, চারণের কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, ভাসানী পরিষদের হারুন অর রশীদসহ কয়েকজন সংস্কৃতিজন। তাঁরা সবাই ২০২৬ অমর একুশে বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু করার দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে রওনা হলে শাহবাগে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এরপর তাঁদের মধ্য থেকে দশজন প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পৌঁছে দেন।