চতুর্থ সন্তানের মা হলেন মার্কিন র‌্যাপার কার্ডি বি। গত সপ্তাহে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এই তারকা। কার্ডি বি ও প্রেমিক স্টেফন ডিগসের এটি প্রথম সন্তান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম টিএমজেড এ খবর প্রকাশ করেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) কার্ডি বি তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে মা হওয়ার খবরটি জানিয়েছেন। তাতে এ গায়িকা বলেন, “আমার জীবন সবসময়ই বিভিন্ন অধ্যায় আর বিভিন্ন ঋতুর মিশ্রণ।” 

আরো পড়ুন:

ইরানি অভিনেতা হুমায়ুন এরশাদি মারা গেছেন

অভিনেত্রী সালি কর্কল্যান্ড মারা গেছেন

কার্ডি বি বলেন, “আমার শেষ অধ্যায়ে নতুন ঋতুর সূচনা ছিল। নতুন করে শুরু করাটা কখনো সহজ কিছু নয়। কিন্তু এটি মূল্যবান! আমি পৃথিবীকে নতুন সংগীত এবং নতুন অ্যালবাম উপহার দিয়েছি। আমার জগতে একটি নতুন শিশু এসেছে। আর নিজেকে আরো ভালো রূপে গড়ে তোলাও। আরেকটি কারণ হলো—বাচ্চাদেরকে আমার ভালোবাসা দেওয়া অব্যাহত রাখা ও তাদের প্রাপ্যটা দেওয়া।”  

সব বাধার সঙ্গে একাই লড়ছেন কার্ডি বি। এ তথ্য উল্লেখ করে এই গায়িকা বলেন—“পরবর্তী অধ্যায়টি ‘আমার বনাম আমি’। সব বাধা আর প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়ছি। পরবর্তী ট্যুরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছি। আপনাদের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার পথে আমাকে কোনো কিছুই থামাতে পারবে না! আমি শিখেছি, আমি সেরে উঠেছি, আমি যে নারী হয়ে উঠেছি তাকে ভালোবাসছি। এই নতুন যুগ আমার কাছে সেই অর্থই বহন করে।” 

২০১৭ সালে র‌্যাপার অফসেটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান কার্ডি বি। ওই বছরের ২৭ অক্টোবর বাগদান সারেন তারা। একই বছর গোপনে বিয়ে করেন। ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল একটি লাইভ কনসার্টে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা দেন কার্ডি। একই বছরের জুলাইয়ে জন্ম নেয় এ দম্পতির প্রথম সন্তান (কন‌্যা) কালচার কিয়ারি। 

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে অফসেটের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন কার্ডি। এর এক মাস পরই জানান, তারা একসঙ্গে থাকছেন। ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সন্তানের (পুত্র) জন্ম দেন কার্ডি। ২০২৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তৃতীয় সন্তানের (কন্যা) জন্ম দেন তিনি। 

তৃতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার এক মাস পরই গুঞ্জন চাউর হয়, স্টেফন ডিগসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন কার্ডি বি। চলতি বছরের ১ জুন এ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন তিনি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর চতুর্থ সন্তানের মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সন্তানের বাবা-মা হলেও এখনো বিয়ে করেননি কার্ডি বি ও স্টেফন ডিগস।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র স প ট ম বর সন ত ন র জন ম দ

এছাড়াও পড়ুন:

৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, অপহরণের পর মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ

রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে এক কলেজছাত্রকে অপহণের পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রের নাম সুদীপ্ত রায়। সে ভাটারার ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। 

গতকাল তুরাগের দিয়াবাড়িতে নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, গত ৭ নভেম্বর ভাটারার শহীদ আব্দুল আজিজ সড়কে অবস্থিত কলেজ হোস্টেল থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। ওইদিন রাতেই সুদীপ্তের পরিবারকে ফোন দিকে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরদিন ৮ নভেম্বর এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বাবা হিমাংশু কুমার রায়।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় ময়মনসিংহ থেকে অভিযুক্ত যোবায়ের ও আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের একজন সুদীপ্তের এলাকার আরেকজনের বাড়ি নেত্রকোনায়। একটি আইফোন ছিনিয়ে নিতে সুদীপ্তকে অপহরণ করে তারা। আইফোন না দেওয়ায় ঘটনার দিন রাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনই পরিকল্পনা করে সুদীপ্তকে হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, সুদীপ্তের বাড়ি দিনাজপুরে। গ্রেপ্তার দুজনই ভাটারা এলাকায় থাকতো এবং সুদীপ্তের পূব পরিচিত ছিল।

নিহতের বাবা হিমাংশু কুমার রায় অভিযোগ করেন, ভাটারার ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জগন্নাথপুর শাখায় একাদশ শ্রেণিতে পড়তো সুদীপ্ত। শহীদ আব্দুল আজিজ সড়কে কলেজের হোস্টেলে থাকতো। ৭ নভেম্বর বিকাল ৫টার দিকে মাকে ফোন করে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হেস্টেল থেকে বের হয় সুদীপ্ত। রাত ১০টার দিকে সুদীপ্ত তার মাকে ফোনে জানায়, সে মিরপুরে আছে এবং রাতেই হোস্টেলে ফিরবে। রাতে অজ্ঞাতনামা একজন সুদীপ্তের ফোন থেকে তার মাকে ফোন দেয়। অজ্ঞাত ব্যক্তি জানায়, সুদীপ্ত তাদের জিম্মায় রয়েছে এবং ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এই টাকা ৮ নভেম্বর বিকেল ২টার মধ্যে তাদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দিতে হবে। টাকা নিয়ে না আসলে সুদীপ্ততে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে পুলিশসহ অন্যান্য যে কাউকে জানানো যাবে না বলেও হুমকি দেয়। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করলে সুদীপ্তকে মেরে ফেলবে বলে ফোনটি কেটে দেয়। এরপর থেকে সুদীপ্তের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ৮ নভেম্বর সকালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমাকে ফোন দেয় এবং সুদীপ্তের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়। সুদীপ্তকে আমি পুরো ঘটনা ও মুক্তিপণের কথা জানাই। কিন্তু আমার ছেলে এসব অস্বীকার করে এবং বলে, সে হোস্টেলে যাচ্ছে। এরপর থেকে সেই নম্বরটিও বন্ধ পাই। বেলা আড়াইটার দিকে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে এবং টাকা রেডি রাখার কথা জানিয়ে আবার ১ ঘণ্টা পর ফোন দিবে বলে। এরপর সেটিও বন্ধ পাই।

নিহতের ভগ্নিপতি অনিল সেন বলেন, গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ ও যোবায়ের সুদীপ্তকে অপহরণ করে দিয়াবাড়ির একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন রাতেই তার মায়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার পর আইফোনটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। না দেওয়ায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে টয়লেটের মধ্যে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে তারা আইফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদেরকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে আর কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়।

বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) এইচ এম শফিকুর রহমান বলেন, “সুদীপ্তকে অপহরণের পর মিরপুরের শাহ আলী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই দিয়াবাড়িতে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। সেখানেই সুদীপ্ততে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে।”

ঢাকা/এমআর/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পত্রিকা পড়ে বেড়ে ওঠা
  • বন্দরে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বর্তমান সংবিধান মানলে পরবর্তী নির্বাচন ২০২৯ সালে: ফরহাদ মজহার
  • অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পে-স্কেলের কাঠামো নির্ধারণ করবে: অর্থ উপদে
  • ৫জি থেকে ৬জি, ইন্টারনেটের পরবর্তী ধাপ
  • অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের
  • ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, অপহরণের পর মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ
  • দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু বৃহস্পতিবার