ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযানের বিষয়ে ট্রাম্পকে ব্রিফ করেছেন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা
Published: 14th, November 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে চলতি সপ্তাহে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্র সিএনএনকে এমনটা জানিয়েছে।
সূত্রগুলো বলেছে, ব্রিফিংয়ে সামরিক অভিযানের বিভিন্ন দিক, সম্ভাব্য ঝুঁকি, বিকল্প ও রাজনৈতিক পরিণতি নিয়ে প্রেসিডেন্টকে বিস্তারিত জানানো হয়।
সূত্রগুলোর মতে, ট্রাম্প এখনো ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি এর ঝুঁকি, ব্যয়, সম্ভাব্য সুফল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে এর বৃহত্তর প্রভাব বিশ্লেষণ করছেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সামরিক অভিযান চালালে তা কার্যকর হবে কি না, এ নিয়ে ট্রাম্প প্রকাশ্যে সংশয় জানিয়েছিলেন।
গত বুধবারের ওই ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পের সামনে কিছু হালনাগাদ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। তবে তার অর্থ এই নয়, তিনি সিদ্ধান্তের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, এসব পরিকল্পনার বেশির ভাগই পেন্টাগনে পূর্ববর্তী আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমেও এমন কিছু পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়েছে।
এসব পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ডের (সাউথকম) বিশেষ অভিযান ‘সাউদার্ন স্পিয়ার’। পরিকল্পনা সেল গঠন করে ভেনেজুয়েলার ভেতরে কোথায় কোথায় অভিযান চালানো যেতে পারে, সে বিষয়ে কয়েকটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা তৈরি করেছে সাউথকম। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইনসহ জাতীয় নিরাপত্তা দলের শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পের কাছে এসব পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
পিট হেগসেথ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ারের ঘোষণা দেন। আংশিকভাবে সাউদার্ন স্পিয়ার পরিচালনা করবে সাউথকম। মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং তার আশপাশের সাগরে মার্কিন সামরিক কার্যক্রম দেখভাল করে সাউথকম।
পিট হেগসেথ এক্সে লিখেছেন, ‘এই অভিযান আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করবে, আমাদের এই গোলার্ধ থেকে মাদক সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করবে এবং মাদক ও হত্যাকাণ্ড থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করবে। পশ্চিম গোলার্ধ আমেরিকার প্রতিবেশী অঞ্চল। আমরা এটিকে রক্ষা করব।’
ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক মাত্রায় সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। সবশেষ চলতি সপ্তাহে দেশটির শক্তিশালী বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের হামলা ঠেকাতে ব্যাপক সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ভেনেজুয়েলা১২ নভেম্বর ২০২৫ট্রাম্পের সামনে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের যেসব পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক ও সরকারি স্থাপনায় বিমান হামলা, মাদক পাচারের রুটগুলোতে হামলা কিংবা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো।
এর আগে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে কোকেন উৎপাদনকেন্দ্র এবং মাদক পাচারের রুটগুলো লক্ষ্য করে অভিযানের পরিকল্পনা করছেন।
আরও পড়ুনগেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি ভেনেজুয়েলার১২ নভেম্বর ২০২৫তবে এ সম্ভাবনাও আছে, ট্রাম্প হয়তো এ ধরনের কোনো পদক্ষেপই নেবেন না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে কংগ্রেস সদস্যদের জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন কোনো আইনি ভিত্তি নেই, যা স্থলভাগে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর অনুমতি দেবে।
ট্রাম্প সম্প্রতি সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় হামলার বিষয়ে ভাবছেন না। যদিও এর আগে এ বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
সূত্রগুলো বলছে, ট্রাম্প সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাব্য ব্যর্থতার ঝুঁকি, মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক ভূরাজনৈতিক পরিণতি নিয়ে সতর্ক আছেন। এ কারণে সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুনমাদুরোর দিন শেষ হয়ে আসছে: ট্রাম্প০৩ নভেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র স উদ র ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযানের বিষয়ে ট্রাম্পকে ব্রিফ করেছেন মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে চলতি সপ্তাহে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্র সিএনএনকে এমনটা জানিয়েছে।
সূত্রগুলো বলেছে, ব্রিফিংয়ে সামরিক অভিযানের বিভিন্ন দিক, সম্ভাব্য ঝুঁকি, বিকল্প ও রাজনৈতিক পরিণতি নিয়ে প্রেসিডেন্টকে বিস্তারিত জানানো হয়।
সূত্রগুলোর মতে, ট্রাম্প এখনো ভেনেজুয়েলায় সামরিক অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি এর ঝুঁকি, ব্যয়, সম্ভাব্য সুফল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে এর বৃহত্তর প্রভাব বিশ্লেষণ করছেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সামরিক অভিযান চালালে তা কার্যকর হবে কি না, এ নিয়ে ট্রাম্প প্রকাশ্যে সংশয় জানিয়েছিলেন।
গত বুধবারের ওই ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পের সামনে কিছু হালনাগাদ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। তবে তার অর্থ এই নয়, তিনি সিদ্ধান্তের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, এসব পরিকল্পনার বেশির ভাগই পেন্টাগনে পূর্ববর্তী আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমেও এমন কিছু পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়েছে।
এসব পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন কমান্ডের (সাউথকম) বিশেষ অভিযান ‘সাউদার্ন স্পিয়ার’। পরিকল্পনা সেল গঠন করে ভেনেজুয়েলার ভেতরে কোথায় কোথায় অভিযান চালানো যেতে পারে, সে বিষয়ে কয়েকটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা তৈরি করেছে সাউথকম। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইনসহ জাতীয় নিরাপত্তা দলের শীর্ষ কর্মকর্তারা ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পের কাছে এসব পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
পিট হেগসেথ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ারের ঘোষণা দেন। আংশিকভাবে সাউদার্ন স্পিয়ার পরিচালনা করবে সাউথকম। মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং তার আশপাশের সাগরে মার্কিন সামরিক কার্যক্রম দেখভাল করে সাউথকম।
পিট হেগসেথ এক্সে লিখেছেন, ‘এই অভিযান আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করবে, আমাদের এই গোলার্ধ থেকে মাদক সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করবে এবং মাদক ও হত্যাকাণ্ড থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করবে। পশ্চিম গোলার্ধ আমেরিকার প্রতিবেশী অঞ্চল। আমরা এটিকে রক্ষা করব।’
ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক মাত্রায় সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। সবশেষ চলতি সপ্তাহে দেশটির শক্তিশালী বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের হামলা ঠেকাতে ব্যাপক সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ভেনেজুয়েলা১২ নভেম্বর ২০২৫ট্রাম্পের সামনে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের যেসব পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক ও সরকারি স্থাপনায় বিমান হামলা, মাদক পাচারের রুটগুলোতে হামলা কিংবা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে লক্ষ্য করে অভিযান চালানো।
এর আগে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে কোকেন উৎপাদনকেন্দ্র এবং মাদক পাচারের রুটগুলো লক্ষ্য করে অভিযানের পরিকল্পনা করছেন।
আরও পড়ুনগেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি ভেনেজুয়েলার১২ নভেম্বর ২০২৫তবে এ সম্ভাবনাও আছে, ট্রাম্প হয়তো এ ধরনের কোনো পদক্ষেপই নেবেন না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে কংগ্রেস সদস্যদের জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন কোনো আইনি ভিত্তি নেই, যা স্থলভাগে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর অনুমতি দেবে।
ট্রাম্প সম্প্রতি সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় হামলার বিষয়ে ভাবছেন না। যদিও এর আগে এ বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
সূত্রগুলো বলছে, ট্রাম্প সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাব্য ব্যর্থতার ঝুঁকি, মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক ভূরাজনৈতিক পরিণতি নিয়ে সতর্ক আছেন। এ কারণে সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুনমাদুরোর দিন শেষ হয়ে আসছে: ট্রাম্প০৩ নভেম্বর ২০২৫