ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক জিৎ। ব্যক্তিগত জীবনে মোহনা মাদনানির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। জিতের স্ত্রী শোবিজ অঙ্গনের কেউ নন; পেশায় একজন শিক্ষিকা। বিয়ের ১৪ বছর শোবিজ অঙ্গনে নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করলেন মোহনা।
ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বাইরের কেউই জানতেন না, এতদিন ধরে লুকিয়ে ছিল মোহনাভর্তি এক সুরের ভুবন। জিতের স্ত্রী অপূর্ব কণ্ঠের অধিকারিণী, তা প্রকাশ পেল হঠাৎই। নিজের প্রথম রেকর্ডিংয়ে বেছে নিয়েছেন ভক্তির পথ। রেকর্ড করলেন ভক্তিগীতি ‘ওম জয় জগদীশ হরে’।
আরো পড়ুন:
সাহেবের সঙ্গে বাগদান সারলেন সুস্মিতা?
বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে জুবিন গার্গের শেষ সিনেমা
মোহনা বলেন, “সংগীত সবসময়ই আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি ছিল। এই সুযোগটা আমার কাছে কোনো পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত নয়, বরং যেন এক ঐশ্বরিক ডাক। ‘ওম জয় জগদীশ হরে’ ছোট থেকেই গাই। এবার নিজের কণ্ঠে রেকর্ড করা; এ এক অদ্ভুত প্রশান্তির অভিজ্ঞতা।”
শ্রোতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহনা বলেন, “শ্রীবিষ্ণুর আরতি দিয়ে আমার প্রথম গান শুরু। ব্যক্তিগত আর আধ্যাত্মিক দু’দিক থেকেই এক বিরল সৌভাগ্য। শ্রোতারা যদি আমার পাওয়া শান্তি আর ইতিবাচকতা অনুভব করতে পারেন, তবেই সার্থক হবো।”
জিতের স্ত্রীর গাওয়া গানটি আপাতত মুক্তি পেয়েছে গ্রাসরুট জ্যোতির সব অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্মে। এটি জিতের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা। আর গানটি প্রকাশের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠেছে প্রশংসায়। জিতের ফ্যানরা মুগ্ধ মোহনাকে শুনে, অনেকে দাবি তুলেছেন—জিতের পরের সিনেমায় যেন তার স্ত্রীর গানও জায়গা পায়।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুল শিক্ষিকা মোহনাকে বিয়ে করেন জিৎ। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর জিৎ-মোহনার ঘর আলো করে জন্ম নেয় একটি কন্যাসন্তান। দীর্ঘ ১১ বছর পর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর জিতের স্ত্রী মোহনা মাদনানি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানি ও মারধরের অভিযোগে করা মিরপুর মডেল থানার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মেহেদী হাসান মিলন।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ‘আর্ট ফর ইক্যুয়ালিট` ওয়ার্কশপ
ঢাবি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তির আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধি
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শ্যামল কুমার রায় জামিনের আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্র পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রাত প্রায় ১১টার দিকে শেওড়াপাড়ায় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, অধ্যাপক শিক্ষার্থীদের তার বাসায় ডেকে নিয়ে রুমের আলো নিভিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে অনাকাঙ্ক্ষিত শারীরিক স্পর্শ ও চাপ সৃষ্টি করতেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তাকে বাসায় ডেকে শারীরিকভাবে আক্রমণাত্মক আচরণ করা হতো। এছাড়া ঘটনাগুলো গোপন রাখার জন্য ভয়ভীতি প্রদানসহ মারধর করেন।
এ অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্র মিরপুর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একদল শিক্ষার্থী অভিযোগ জানিয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। আর অভিযোগটি যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/সাইফ