জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারিকে স্বাগত জানিয়েছে গণসংহতি
Published: 14th, November 2025 GMT
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার আদেশ জারিকে স্বাগত জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। এখন এই আদেশ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
আজ শুক্রবার বিকেলে এক বিবৃতিতে গণসংহতির শীর্ষ নেতৃত্ব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এর মাধ্যমে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সব বাধা দূর হবে। সে জন্য সব দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণে ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়ে আদেশ জারিকে গণসংহতি আন্দোলন স্বাগত জানায়। তবে এই আদেশ যাতে বাস্তবায়ন করা যায়, তার জন্য জাতীয় ঐক্যমতের প্রয়োজন এখনো শেষ হয়ে যায়নি।’ অন্তর্বর্তী সরকারকে এ বিষয়ে উদ্যোগ অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানায় গণসংহতি আন্দোলন।
তবে গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, এই আদেশের বিষয়বস্তুতে গণভোটের পদ্ধতি অংশে যেসব ধারা লেখা হয়েছে, সেগুলো এমনকি যাঁরা এই সনদ প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, তাঁদের কাছেও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘ক’ ধারায় অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। এখানে ভিন্নমত বিষয়ে কী মীমাংসা হবে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা ভেদে পার্থক্য করার সুযোগ থাকায় তা স্পষ্ট হয়নি। অন্যান্য ধারাগুলোও যথেষ্ট জটিল। এতে করে জনগণের মতামত দিতে সমস্যা তৈরি হবে।
গণসংহতি আন্দোলন মনে করে, বিশেষত চারটি প্রস্তাবের বিষয়ে একটি প্রশ্ন রাখায় জনগণের জন্য মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে একটা সিদ্ধান্তহীনতা তৈরি করতে পারে। এতে জনগণের বেছে নেওয়ার অধিকার খর্ব করা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নও উঠতে পারে। কাজেই এ বিষয়ে পরিষ্কার করে জনগণকে জানানো এবং নির্বাচনের আগেই টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও প্রচারপত্র মারফত গণভোটের বিষয়বস্তু ও প্রক্রিয়ার বিষয়ে জনগণকে সম্যক অবহিত করা সরকারের দায়িত্ব।
আরও পড়ুনজাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে ১৬ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের দাবি গণসংহতি আন্দোলন প্রথম থেকেই করে আসছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই দাবির ন্যায্যতা ও অপরিহার্যতা অবশেষে বুঝতে পারায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এটিও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়ে বাস্তবায়ন করাটা জাতীয় স্বার্থেই জরুরি।’
আরও পড়ুনজুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে কোন দলের দাবি কতটা রাখা হলো৫৯ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দেহ হলে আমিনবাজারে তল্লাশি করা হচ্ছে যাত্রীদের ব্যাগ ও মুঠোফোন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ডাকা ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কর্মসূচিকে সামনে রেখে সাভারে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর–চন্দ্রা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি জোরদার করেছে পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সন্দেহ হলে যাত্রীদের মুঠোফোন ও ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপস ও ট্রাফিক উত্তর) আরাফাতুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল ও নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন কর্মসূচি দিয়েছে। এতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে লক্ষ্যে সাভারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তল্লাশিচৌকি, টহল বাড়ানো হয়েছে। সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ১০টির বেশি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশপথ আমিনবাজারে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালায় ঢাকা জেলা পুলিশ। বিকেলের দিকে তল্লাশি জোরদার করা হয়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের এ তল্লাশিচৌকিতে ঢাকামুখী বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল আরোহীদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশির সময় সন্দেহজনক মনে হলে যাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। সন্দেজনক মনে হলে যাত্রীদের ব্যাগ, মুঠোফোন চেক করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
তল্লাশিচৌকিতে উপস্থিত সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কেউ যাতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি জোরদার করা হচ্ছে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মোবাইল ও ব্যাগ চেক করে আমরা দেখার চেষ্টা করি, নাশকতার কোনো উপকরণ তাঁদের কাছে আছে কি না।’