শাকিবের নায়িকা পাকিস্তানের হানিয়া
Published: 14th, November 2025 GMT
ক্যারিয়ারে দারুণ সময় পার করছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। ব্যাক টু ব্যাক হিট সিনেমা, পরবর্তী শিডিউলও ব্যবস্ততায় ঠাসা। এখন ‘সোলজার’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই নায়ক। এরই মধ্যে খবর দিলেন—পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির তার নায়িকা হতে যাচ্ছেন!
কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের এক ভিডিওতে হানিয়া আমিরের সঙ্গে অভিনয় করার কথা বলেন শাকিব খান। এ ভিডিওতে রাফসানের উদ্দেশে শাকিব খান বলেন, “তোমার অনেকগুলো ভ্লগ দেখলাম আমার ভবিষ্যৎ হিরোইনের সঙ্গে, হানিয়ার সঙ্গে।”
আরো পড়ুন:
শিল্পীদের হাসির পাত্রে পরিণত করেছে: শাকিল খান
দুজন মিলেই বিয়ের কথা গোপন রেখেছিলাম: অপু বিশ্বাস
এরপর পাশ থেকে একজন জানতে চান কোন সিনেমায় জুটি বাঁধবেন? জবাবে শাকিব খান বলেন, “একটা সিনেমার জন্য কথা হচ্ছে তার সঙ্গে।” তবে কোন সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করবেন, সে বিষয়ে কিছু জানাননি শাকিব। এরপর থেকে অন্তর্জালে চর্চা চলছে শাকিব-হানিয়ার রসায়ন নিয়ে।
শাকিব খান বিষয়টি পরিষ্কারভাবে না জানালেও ভক্ত-অনুরাগীরা দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে ভুল করেননি। কেউ কেউ বলছেন, “প্রিন্স সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে হানিয়াকে দেখা যেতে পারে।” আবার কেউ বলছেন, “নতুন রোমান্টিক যে সিনেমার ঘোষণা এসেছে, এটাতেও দেখা যেতে পারে হানিয়াকে।”
১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন হানিয়া আমির। ২০১৬ সালে ‘জানান’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তার প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব, আকর্ষণীয় চেহারা এবং অসাধারণ ফ্যাশন সেন্সের কারণে খুব দ্রুতই তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বর্তমানে পাকিস্তানের অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত এবং সর্বাধিক অনুসরণীয় তারকাদের একজন হানিয়া।
চলতি বছর ‘সর্দারজি থ্রি’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটেছে হানিয়ার। গত ২৭ জুন মুক্তি পায় পাঞ্জাবি ভাষার এই সিনেমা। এই সিনেমায় নূর চরিত্র অভিনয় করে দুই দেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন হানিয়া। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন দিলজিৎ।
কয়েক মাস আগে ঢাকা সফরে এসেছিলেন হানিয়া আমির। মূলত, একটি পণ্যের ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঢাকায় এসেছিলেন এই তারকা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে আবারো উত্তেজনা
থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ট্রাম্প-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে যাওয়ার কয়েকদিন পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
জুলাই মাসে পাঁচ দিন ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক দশকের মধ্যে সীমান্তে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে ৪৩ জন নিহত এবং তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের তত্ত্বাবধান করেন।
থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি সোমবার থেকে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। কারণ ওই দিন সীমান্তে টহলরত একজন থাই সেনা স্থলমাইন বিস্ফোরণে একটি পা হারিয়ে ফেলে।
থাইল্যান্ড বিস্ফোরণের জন্য কম্বোডিয়াকে দায়ী করেঅভিযোগ করেছে যে স্থলমাইনটি নতুনভাবে স্থাপন করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর চুক্তির শর্তাবলী স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুই দেশের কর্মকর্তরাই থাইল্যান্ডের সা কাইও প্রদশে এবং কম্বোডিয়ার বান্তে মিনচে প্রদেশে গুলি বিনিময়ের কথা জানিয়েছেন।
কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানিয়েছেন, কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিমে প্রে চানে তিনজন বেসামরিক নাগরিক আহত এবং একজন নিহত হয়েছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই পদক্ষেপ মানবিক চেতনা এবং সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য সাম্প্রতিক চুক্তির পরিপন্থী।”
থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুভারি জানিয়েছেন, “থাই ভূখণ্ডে গুলি চালানোর” জন্য কম্বোডিয়ার সেনারা দায়ী।
ঢাকা/শাহেদ