মেঘনায় ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ২ যুবকের মরদেহ উদ্ধার
Published: 14th, November 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীতে নোঙর করা ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌ পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সোনাময়ী এলাকায় নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
কীর্তিনাশায় ডুবেছে যাত্রীবাহী ট্রলার
বঙ্গোপসাগরে ভাসমান ট্রলারসহ ২৬ জেলে উদ্ধার
নিহতরা হলেন- বরিশাল বন্দরের আলী সরদারের ছেলে রনি সরদার (২০) ও একই এলাকার স্বপন মৃধার ছেলে শুভ (৩৫)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সোনাময়ী এলাকার একটি কারখানা থেকে বরিশালে যাওয়ার জন্য একটি ট্রলারে ২ হাজার ব্যাগ সিমেন্ট ভরা হয়। এরপর ট্রলারটি মাঝ নদীতে নোঙর করে শ্রমিকরা ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ তলা ফেটে ট্রলারটি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে নিখোঁজ হন দুই যুবক। খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু, নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় রাতে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখা হয়। শুক্রবার সকালে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হয় এবং বিকেলে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৈদ্যেরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ (পরিদর্শক) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘‘ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলায় সার কারখানার সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন তিন উপদেষ্টার
ভোলার গ্যাস কাজে লাগিয়ে জেলাটিতে ইউরিয়া সার কারখানা করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর সম্ভাব্যতা যাছাইয়ে দুটি স্থান পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন উপদেষ্টা।
এই তিন উপদেষ্টা হলেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান এবং বাণিজ্য-বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
আজ শুক্রবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ফেরিঘাটসংলগ্ন এলাকায় প্রস্তাবিত ইউরিয়া সার কারখানার দুটি সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আদিলুর রহমান। তিনি বলেন, ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে। দেশের অন্য কোথাও এভাবে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। ভোলার এই গ্যাস দেশের কাজে লাগানো হবে। ভোলার গ্যাস ব্যবহার করে ভোলাতেই ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান জানান, ভোলায় সার কারখানা স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে দুটি জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। সরকারি জমিতেই কারখানা স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিল্প উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ভোলায় তো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু দেশের বহু এলাকায় গ্যাসের ঘাটতি। তাই ভোলার গ্যাস দেশের কাজে লাগানো সম্ভব।’
আদিলুর রহমান খান আরও জানান, সার সংরক্ষণের জন্য দেশে ৩৪টি বাফার গোডাউনের পরিকল্পনা রয়েছে, যার একটি ভোলায় নির্মাণাধীন। ইতিমধ্যে প্রকল্প এলাকা ড্রেজিং ও মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রকল্প পরিচালক এবং প্রকৌশলীদের কাছ থেকে কাজের অগ্রগতি, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে বাফার গোডাউনের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিন উপদেষ্টার সঙ্গে ভোলার বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানও উপস্থিত ছিলেন।