নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীতে সিমেন্টসহ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ দুই যুবক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুই যুবকের নাম রনি সরদার ও শুভ।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বৈদ্যোর বাজার ইউনিয়নের সোনাময়ী এলাকায় নদী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌ পুলিশ উদ্ধার করে। নিহত রনি সরদার বরিশালের বন্দর উপজেলার বিসারত গ্রামের আলী সরদারের ছেলে এবং শুভ একই এলাকার স্বপন মৃধার ছেলে।

জানা যায়, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সোনাময়ী এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আমান সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য দুই হাজার ব্যাগ সিমেন্ট ট্রলারে ভর্তি করে। পরে ট্রলারটি মাঝ নদীতে নোঙর করে ঘুমিয়ে পড়ে। এসময় তলা ফেঁটে ট্রলারটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। 

খবর পেয়ে সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাতেই উদ্ধারের চেষ্টা করে। নদীতে তীব্র স্রোত থাকা উদ্ধার কাজ রাতে বন্ধ করে শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে বিকেলে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

বৈদ্যের বাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মাহবুবুর রহমান জানান, ট্রলারটি মাঝ নদীতে গিয়ে অবস্থানকালে পানিতে তলিয়ে যায়। ট্রলারে থাকা দুই যুবক নিখোঁজ হওয়ার পর শুক্রবার বিকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে সোনারগাঁ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেঘনা নদীতে নিখোঁজ দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোন রকম অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ দু’টি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ উদ ধ র ক দ ই য বক র মরদ হ স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ায় অটোচালককে পিটিয়ে হত্যা 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ায় অটোরিকশার চালক দেলোয়ার মিয়া দিলুকে (৪২) পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আউলিয়া বাজারে দেলোয়ার মিয়াকে পেটানো হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে।

আরো পড়ুন:

ছেলে খুনের ঘটনায় মামলা করলেন বিচারক

রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে দেলোয়ার মিয়া তার অটোরিকশা নিয়ে আউলিয়া বাজারে যান। সেখানে অটোরিকশা ঘোরানোর সময় বিল্লাল মিয়ার দোকানের সামনে রাখা মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিল্লাল মিয়া শক্ত কাঠ দিয়ে দেলোয়ার মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিল্লাল মিয়া পলাতক আছেন। তিনি পাহাড়পুর ইউনিয়নের সান্তামোড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেছেন, বিল্লালকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দেলোয়ার মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/পলাশ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ