ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষক কারাগারে
Published: 14th, November 2025 GMT
ছাত্রদের যৌন হয়রানি ও মারধরের অভিযোগে করা মিরপুর মডেল থানার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মেহেদী হাসান মিলন।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে ‘আর্ট ফর ইক্যুয়ালিট` ওয়ার্কশপ
ঢাবি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তির আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময় বৃদ্ধি
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শ্যামল কুমার রায় জামিনের আবেদন করেন। এ সময় রাষ্ট্র পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রাত প্রায় ১১টার দিকে শেওড়াপাড়ায় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, অধ্যাপক শিক্ষার্থীদের তার বাসায় ডেকে নিয়ে রুমের আলো নিভিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে অনাকাঙ্ক্ষিত শারীরিক স্পর্শ ও চাপ সৃষ্টি করতেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তাকে বাসায় ডেকে শারীরিকভাবে আক্রমণাত্মক আচরণ করা হতো। এছাড়া ঘটনাগুলো গোপন রাখার জন্য ভয়ভীতি প্রদানসহ মারধর করেন।
এ অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্র মিরপুর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একদল শিক্ষার্থী অভিযোগ জানিয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। আর অভিযোগটি যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুকে আসামি করে মামলা করলেন নিহতের বোন
রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হক। তিন দিন আগে বন্ধু জরেজ মিয়ার সঙ্গে ঢাকা আসেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে আশরাফুলের ২৬ টুকরা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত আশরাফুলের বন্ধু মো. জরেজকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছে নিহতের পরিবার।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিহতের ছোট বোন মোছা. আনজিরা বেগম শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নিহত আশরাফুলের বন্ধু জরেজকে প্রধান আসামি করে এজাহার দায়ের করেছেন আনজিরা বেগম। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত চলছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এজাহারে আনজিরা বেগম লিখেছেন, তার বড় ভাই আশরাফুল হক দিনাজপুরের হিলি বন্দর থেকে সারা দেশে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আলুসহ কাঁচামাল সরবরাহ করতেন।
গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে আসামি জরেজকে নিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর থেকে আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। স্বজনদের সন্দেহ, আসামি জরেজ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিদের সহযোগিতায় গত ১১ নভেম্বর রাত থেকে ১৩ নভেম্বর রাতের মধ্যে যে কোনো সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আশরাফুলকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ মোট ২৬টি খণ্ডে খণ্ডিত করে গুম করার উদ্দেশ্যে দুটি নীল রঙের ড্রামের ভেতর ভরে রেখে অজ্ঞাতস্থানে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
নিহত জাকিরের বোনের স্বামী জাকির হোসেন বলেন, “১১ নভেম্বর রাতে একসঙ্গে রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন আশরাফুল ও জরেজ। এরপর থেকে জরেজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আশরাফুল ও জরেজ বন্ধু। তারা একসঙ্গে ব্যবসা করতেন।”
জরেজের কাছে নিহত আশরাফুল টাকা পেতেন কি-না জানতে চাইলে জাকির বলেন, “টাকা-পয়সার বিষয়টি এখনো জানি না। আমরা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।”
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ এসে ড্রাম দুটি খুলে অজ্ঞাতপরিচয় এক পুরুষের খণ্ডিত মরদেহ দেখতে পায়। তখন মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। পরে দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে মরদেহ বের করা হয়। ড্রামের মধ্যে চাল ছিল এবং কালো পলিথিন দিয়ে মোড়ানো ছিল মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো।
ঢাকা/এমআর/এসবি