বিআইডব্লিউটিএ’র প্রশিক্ষণার্থীদের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ে সচেতন করার উদ্যোগ
Published: 14th, November 2025 GMT
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিএ) ও ডেভলপমেন্ট এ্যাকটিভিটিস অফ সোসাইটি (ডাস) এর যৌথ উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (টিওটি) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ৩০ জন প্রশিক্ষক এই প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণে অংশ নেন। বৃহস্পতিবার সকালে ডেক এন্ড ইঞ্জিন পার্সোনেল ট্রেনিং সেন্টার (ডিইপিটিসি), বন্দর, নারায়ণগঞ্জের সভাকক্ষে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
পাবলিক পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াও চালক ও অন্যন্য স্টাফগণ মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য দরকার চালক ও স্টাফগণের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নিজেদেরকে অধূমপায়ী হওয়া। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ চালকদের যেমন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে পারে তেমনি চালক ও অন্যন্য স্টাফ নিয়োগ ও প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনে কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছাও দরকার বলে মনে করেন বক্তারা।
ডেক এন্ড ইঞ্জিন পার্সোনেল ট্রেনিং সেন্টার (ডিইপিটিসি), বন্দর, নারায়ণগঞ্জের এর প্রধান শিক্ষক মো: লুৎফর রহমান খান এর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাস এর টীমলীড আমিনুল ইসলাম বকুল, বিইআর এর প্রকল্প পরিচালক হামিদুল ইসলাম হিল্লোল ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এ কর্মরত ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব।
কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন ডাস এর প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর মোয়াজ্জেম হোসেন টিপু। কর্মশালাটির প্রথমাংশে তামাক সেবন ও ধূমপানের ক্ষতিকর দিকসমূহ এবং দ্বিতীয়াংশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও দন্ড বিধি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদেও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়। কর্মশালা শেষে সকল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে প্রশিক্ষকদেরকে আরও বেশী তামাকমুক্ত আইন ও তার কূফল সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই নিজস্ব সচেতনতাই পারে
নিজেকে তামাকমুক্ত জীবন গড়তে সহায়তা করতে।
তারা আশ্বাস প্রদানের সাথে বলেন, আগামীতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের সকল কোর্সেই ভর্তির সময় ধূমপায়ীদেরকে ভর্তি না করে এনফোর্সমেন্ট এর বিষয়টা গুরুত্ব দেবে বিআইডব্লিউটিএ। প্রয়োজনে যে কোনো কোর্সের শুরুতে এবং কোর্স সমাপ্তির পরে দু’টি সার্ভে করে ছাত্র-ছাত্রীদের ধূমপানের অবস্থা যাচাই করারও পরামর্শ দেন তারা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
হত্যাসহ পাঁচ মামলায় সাবেক মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি পিছিয়ে ১৮ নভেম্বর
গত বছর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় কারাবন্দী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যাসহ পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১৮ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুমের আদালতে শুনানির নির্ধারিত দিনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রাজনৈতিক লকডাউনের কারণে আইভীকে আদালতে হাজির করা সম্ভব না হওয়ায় শুনানি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সাবেক মেয়র আইভীকে চারটি হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলাসহ মোট পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তারা আবেদন করেছেন। শুনানি পিছিয়ে ১৮ নভেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আইভী নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। ছয় মাস যাবৎ তিনি গ্রেপ্তার হয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দী আছেন। ৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতের বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পাঁচ মামলায় তাঁকে জামিন দিয়েছিলেন। পরে ১২ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত সেই জামিনের আদেশ স্থগিত করেন।
আইভীর আইনজীবী আওলাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, উচ্চ আদালত আইভীকে পাঁচ মামলায় জামিনে দিয়েছিলেন। পরে চেম্বার আদালত তাঁর সেই জামিন আদেশ স্থগিত করেন। তাঁকে নতুন করে চারটি হত্যা ও পুলিশের ওপর একটি হামলার ঘটনায় করা মামলাসহ পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু নতুন এই মামলার এজাহারে তাঁর নাম নেই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে তাঁর বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগে নতুন করে পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছেন। নতুন মামলাগুলোসহ মোট ১১টি মামলায় তাঁকে জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, যা আইনের শাসন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
গত ৯ মে নারায়ণগঞ্জ নগরের দেওভোগের চুনকা কুটিরের নিজ বাড়ি থেকে সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাঁকে পোশাককর্মী মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটিতে তদন্ত শেষে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন করে পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।