‘সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা করছে’
Published: 14th, November 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘‘সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা এবং বিশ্বাসঘাতকতা করছে। তাদের সিদ্ধান্তে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন নেই।”
তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাম্প্রতিক ভারত সফরে কী আলোচনা হয়েছে তা সরকারকে সংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে পরিষ্কার করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
নির্বাচনের দিন গণভোটের সিদ্ধান্তে ‘গণআকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি’: জামায়াত
বৃহস্পতিবার সারা দেশে সড়কে থাকবে জামায়াতসহ ৮ দল
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত নেতা তাহের বলেন, “জীবন ও রক্ত দিয়ে বাংলার মানুষ ভারতের আধিপত্যবাদকে প্রতিহত করেছে। বশ্যতা আর মেনে নেবে না। সরকার যদি ভারতের অন্যায় আবদার ও সিদ্ধান্তের কাছে নতি স্বীকার করে, তার পরিণতি শুভ হবে না।”
নির্বাচনী সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি দল সংস্কার চায় না। তারা পুরনো বস্তাপচা নিয়মে নির্বাচন করতে চাইছে। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই ফাঁদে পা দিয়েছে। সংস্কার না হলে শহীদের রক্তের প্রতি বেঈমানি হবে।”
গণভোট প্রসঙ্গে জামায়াতের এই নেতা অভিযোগ করেন, ‘‘সরকার গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে করার উদ্যোগ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। দুটি নির্বাচন এক নয়। আলাদা গণভোট হলে অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ সংস্কারের পক্ষে রায় দেবে। এ কারণেই তারা আলাদা গণভোট চায় না।”
ঢাকা/রুবেল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র গণভ ট
এছাড়াও পড়ুন:
জ্বালাও-পোড়াওয়ের রানি পালিয়ে বিদেশে আছেন: জাহিদ হোসেন
আওয়ামী লীগ দেশে আবারও জ্বালাও–পোড়াওয়ের রাজনীতি শুরু করেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, এরাই তো সেই আওয়ামী লীগ, যারা শেরাটন হোটেলের সামনে দোতলা বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে ১২ জন সাধারণ নাগরিককে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এরাই তারা। কাজেই আজকে যারা আবারও যে জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়েছে, সেই জ্বালাও-পোড়াওয়ের রানি পালিয়ে এখন বিদেশে আছেন।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর শহরের ওসমানপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আজ শুক্রবার দুপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথাগুলো বলেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির উপজেলা ও পৌর শাখা আয়োজিত এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাহিদ হোসেন।
আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে না মন্তব্য করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘(আওয়ামী লীগ) হাজার হাজার মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরেছে, আমার ভাই-বোনদেরকে গুম করেছে। তারপরও এদের রক্ত পিপাসা মিটে নাই। চৌদ্দ মাস না যেতেই আবারও তারা জনগণের ওপর জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে। এরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে। এরা অনুশোচনা বা আত্মসমালোচনায় বিশ্বাস করে না। কোথায় তারা জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলবে যে, “আমাদের সুযোগ দিন, আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াতে চাই।” সেটি না করে বরং তাদের নেত্রী জোর গলায় বলে, “আমি কোনো অন্যায় করিনি, অন্যায় করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।” হায়রে কপাল, এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিল কে। কে বলল গুলি চালাও, কে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার অনুমোদন দিল।’
আওয়ামী লীগের ‘কুকীর্তি’ যখন একে একে বেরিয়ে আসছে, বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে, তখন তারা বিশৃঙ্খলার পাঁয়তারা করছে বলে উল্লেখ করেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। মানুষের ঐকের কাছে এসব ষড়যন্ত্রকারীরা হেরে যাবে। জনগণের যে গণঐক্য তৈরি হয়েছে, সে ঐক্য জয়যুক্ত হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুশৃঙ্খলভাবে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রই এই নির্বাচনকে আটকে রাখতে পারবে না।
মেডিকেল ক্যাম্পে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির দিনাজপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঘোড়াঘাট পৌর শাখার সভাপতি আবদুস সাত্তার (মিলন), ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল-মামুন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজার রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মোফাজ্জল হোসেন ও পৌর যুবদলের সদস্যসচিব সজীব কবিরসহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীরা।