বন্দরে অপরেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে যুবলীগ নেতা ফজলে রাব্বী (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  ধৃত যুবলীগ নেতা ফজলে রাব্বী বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের একরামপুর এলাকার মোশারফ হোসেন মিয়ার ছেলে।

ধৃতকে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর)  দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ১৪(৮)২৪ নং  আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বন্দর থানার একরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার শাহীমসজিদ এলাকার ইসলামী আন্দোলনের সমর্থক জাহিদ আলআমিন প্রকাশ বুলবুল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের খাবার সরবারাহ করে আসছিল। এর জের ধরে 

গত ২২ জুলাই ২০২৪ ইং রাত সাড়ে ১২টায় গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ কর্মী ইমরানসহ আ’লীগ সমর্থিতরা বন্দর শাহীমসজিদস্থ একটি অটোরিক্সা গ্যারেজে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ২৩ টি অটোরিক্সা ও চার্জার ও ১টি টেলিভিশন  লুটপাট করে নিয়ে। 

এ মামলায় জড়িত থাকার অপরাধে যুবলীগ নেতা ফজলে রাব্বীকে গ্রেপ্তার করে ওই মামলায়  আদালতে প্রেরণ করা হয়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বল গ ন র য়ণগঞ জ য বল গ ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

নারীদের ছাড়া উন্নয়নের শিখরে ওঠার চিন্তা করলে ভুল হবে: সেনাপ্রধান

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘দেশের ৫০ ভাগ নারী। তাঁদের ছাড়া যদি আমরা চিন্তা করি দেশ এবং জাতি উন্নয়নের শিখরে উঠে যাবে, তাহলে সেটা ভুল হবে। সে জন্য আমরা উত্তরোত্তর চেষ্টা করব, আমাদের যাঁরা নারী, তাঁদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে পারে।’

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এ মন্তব্য করেন। দেশ ও জাতিগঠনে নারীরা কাজ করে যাবেন বলেও অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের তিন দিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় দিন। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান প্যারেড সালাম গ্রহণ করেন। পরে বক্তব্যে তিনি প্যারেডে অংশগ্রহণকারী ক্যাডেট ও প্রাক্তন ক্যাডেটদের সফলতা ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমরা অনেকেই শিক্ষিত হই, সুশিক্ষিত হই না। ভালো ভালো রেজাল্ট করি, ভালো জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। ইউনিভার্সিটিতে ভালো করি, পিএইচডি করি, বড় বড় জেনারেল হয়ে যাই, সেক্রেটারি হই। রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আমরা চলে যাই। কিন্তু কারও কারও মধ্যে নৈতিকতার অভাবের কারণে আমরা খুব একটা ভালো কাজ করতে পারি না।’

সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘নৈতিকতা হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খালি ভদ্র-ভালো ছাত্র, রেজাল্টে ভালো হলেই হবে না, আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে। সেই উদ্দেশ্যেই এই ক্যাডেট কলেজ কাজ করে যাচ্ছে। সততা, নৈতিকতার শিক্ষা আমরা দিয়ে চলেছি। যার বড় একটা উদাহরণ আমি দেখতে পাচ্ছি এখানে বিশালসংখ্যক এক্স ক্যাডেট আছেন, যাঁরা সমাজের বিভিন্ন জায়গায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফুল হক, জয়পুরহাট প্রাক্তন ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মৌসুমী শিখা বক্তব্য দেন। এতে সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন ও বগুড়ার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল তৌহিদুল আহাম্মেদ, সেনা পরিবার কল্যাণ সমিতির পৃষ্ঠপোষক সারাহনাজ কমলিকা জামান, জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. আবদুল ওয়াহাবসহ জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ