ব্যাংক গ্যারান্টি জমার সময় বাড়ল
Published: 14th, November 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজিদের পেশাদারিত্ব নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তোলা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। নতুন করে পাঁচ বছরের জন্য দল নেওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও বিপাকে আয়োজকরা।
নতুন করে দল পেতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ পাঁচ দলের তিনটিই জমা দেয়নি ব্যাংক গ্যারান্টি। যে দুইটি দল জমা দিয়েছে তাদের সব কাগজপত্রও এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক পেয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। রাইজিংবিডিকে তিনি নিশ্চিত করেছেন, “মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে। এজন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু নিলাম ২৩ তারিখ। হাতে কিছুটা সময় আছে। আমরা সেই সুযোগটি দলগুলোকে দিচ্ছি।”
দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে দলগুলোকে কিছু ছাড়ও দিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ‘আমরা অতি দ্রুত সব আয়োজন করছি। ফ্রাঞ্চাইজি বাছাই, দল গোছানো, ভেন্যু নির্বাচন, ফিক্সচার, বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ…সব কিছু তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের আয়োজন সফল করার চ্যালেঞ্জ আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এগুলো আগামী আসর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে বাকিদের কাগজ পর্যালোচনা করবেন তারা, ‘যারা ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের কাগজপত্রও পর্যালোচনা করতে হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি দিলেই হলো না। ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টিও আসে। তাই আমরা সতর্ক আছি। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখব, তারপর সব চূড়ান্ত হবে।”
যদি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের আগে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে না পারে তাহলে কী হবে? সেই প্রশ্নও করা হয়। অনুমিত উত্তরটাই আসলো, “নিলামে বসতে দেওয়া হবে না। তাদের যে ফ্রাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি টাকা আছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে না। স্বচ্ছতা না থাকলে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।”
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র ঞ চ ইজ ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে পেট্রল ঢেলে গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিসংযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গ্রামীণ ব্যাংকের চান্দুরা শাখায় জানালার কাচ ভেঙে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এতে আসবাব ও কাগজপত্র পুড়ে গেছে। তবে ভল্টের টাকা লুট বা বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরায় ওই গ্রামীণ ব্যাংকের শাখার অবস্থান। ব্যাংকের পেছনে ডরমিটরিতে ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের চান্দুরা শাখার ব্যবস্থাপক কলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ২টা ৫ মিনিটের দিকে বাইরে থেকে জানালার কাচ ভেঙে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগানো হয়। নিরাপত্তা প্রহরী বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের জানান। ব্যাংকের ভেতরে গিয়ে আগুন জ্বলতে দেখি। আগুনে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, শিট, গ্রাহকদের পাসকার্ড, আসবাব, জানালার কাপড় পুড়ে গেছে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভাই। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসে।’
কলিম উদ্দিন জানান, ব্যাংকের পেছনে রান্নাঘরের পাশে একটি চেয়ার রাখা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই চেয়ারের মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা এসে কাচ ভেঙে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় থানায় জিডি করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করছেন। তিনিসহ কয়েকজন ব্যাংকের পেছনে ডরমিটরিতে থাকেন। তাই দ্রুত আগুন নেভাতে পেরেছেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আগুনে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ নথি, ঋণের কাগজপত্র পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলে কয়েল জ্বলছিল। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখন বলা যাচ্ছে না। পুলিশ তদন্ত করছে।