ক্যাম্প ন্যুর বাইরে মেসির ভাস্কর্য হবে, নিশ্চিত করল বার্সেলোনা
Published: 14th, November 2025 GMT
বার্সেলোনার ক্যাম্প ন্যু স্টেডিয়ামের বাইরে লিওনেল মেসির ভাস্কর্য তৈরি করা হবে—এমন খবর সেই ২০২১ সালেই শোনা গেছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে কখনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। এমনকি দুই বছরের বেশি সময় ধরে ক্যাম্প ন্যুতে ব্যাপক সংস্কারকাজ চললেও মেসির ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
অবশেষে ক্যাম্প ন্যুতে মেসির সম্মানে ভাস্কর্য নির্মাণের কথা নিশ্চিত করেছে বার্সা। বৃহস্পতিবার একটি বইয়ের অনুষ্ঠানে বার্সেলোনা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা বলেছেন, ক্যাম্প ন্যুর বাইরে স্থাপনের জন্য মেসির ভাস্কর্যের নকশা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। লাপোর্তার ঘোষণাটি এসেছে এমন সময়ে, যখন মেসির হঠাৎ ক্যাম্প ন্যু আগমন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন সমর্থকেরা।
আর্জেন্টিনা দলের অনুশীলনের অংশ হিসেবে মেসি গিয়েছিলেন স্পেনে। গত রোববার রাতে আচমকাই ক্যাম্প ন্যুতে যান তিনি। ২০০৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত যে মাঠে খেলে তিনি কিংবদন্তি হয়ে উঠেছেন, সেই মাঠে ঘোরাঘুরির কিছু ছবি পোস্ট করে ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, ‘আশা করি একদিন আমি ফিরে আসতে পারব, শুধু একজন খেলোয়াড় হিসেবে বিদায় জানাতে নয়, সেই সুযোগ তো আমি পাইনি.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স র ভ স কর য
এছাড়াও পড়ুন:
গাঁজা সেবনের অভিযোগে রাবির ৬ শিক্ষার্থী আটক
গাঁজা সেবনের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছেন প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ছাদ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
এসএসসি-এইচএসসি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল ডিআরইউ
রুয়েট নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তামিম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাহিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের নাঈম, আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাবিত এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির ও ইমরান।
এর মধ্যে, আটক তামিম সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্র সংসদে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল থেকে সহকারী বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন।
এ বিষয়ে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদের ভিপি কাউছার হাবীব বলেন, “আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত খেয়াল রাখছি, কারা গাঁজা সেবনের মতো জঘন্য কাজগুলো করে। আমরা বিভিন্নভাবে তাদের পেয়েছি। কিন্তু হলে মাদক নিয়ে কোনো রকম বিজ্ঞপ্তি না থাকাই আমরা কিছু করতে পারিনি।”
তিনি বলেন, “সোমবার (১০ নভেম্বর) মাদকের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হল প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এজন্য আমরা আজ (মঙ্গলবার) হল সংসদের সদস্যরা মিলে দেখতে গিয়েছিলাম, কেউ আছে কি না। হঠাৎ আমাদের দেখে তিন-চার জন দৌড়াতে থাকে। তখন আমরা তাদের ধরে প্রাধ্যক্ষ স্যারকে কল দেই। এরপর সহকারী প্রক্টর স্যার আসেন এবং আমরা তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, “সোহরাওয়ার্দী হলের ভিপিসহ কয়েকজন গাঁজা সেবনরত অবস্থায় কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করে এবং প্রক্টর অফিসে বিষয়টা অবগত করেন। এরপর সেখানে আমরা কয়েকজন গিয়ে আটকদের ওই হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তাদের কাছ থেকে গাঁজা ও অন্যান্য নেশাদ্রব্য উদ্ধারের পর তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়।”
তাদের ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, “এটা গুরুতর অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী