কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না: চরমোনাই পীর
Published: 14th, November 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের মানুষ আর চলতে চায় না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তাই মানুষ ইসলামকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। এজন্য দেশপ্রেমিক ইসলামিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীতে ইসলামের পক্ষে ভোটের বাক্স হবে একটি। আমরা ইসলামী দলগুলো আর কোনো চাঁদাবাজ দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবো না।’’
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করীম বলেন, ‘‘একটি দল আছে, যারা পূর্বে ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে একাধিকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজিসহ নানা অপরাধ করেছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীও করছে। আবারো ক্ষমতায় যেতে ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছে পুরনো বন্দোবস্তর জন্য নয়। নতুন সিস্টেম ও নতুন কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। কারণ দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ক্ষমতা দেখেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশের মানুষ পুরনো সিস্টেম আর দেখতে চায় না। পুরনো বউকে নতুন কাপড়ে সাজিয়ে এনে জনগণের সামনে উপস্থাপন করলে জনগণ আর মেনে নেবে না। তাই নির্বাচনের পূর্বে গণভোট দিতে হবে। পিআর কার্যকর করতে হবে। জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নির্বাচনের পূর্বেই দিতে হবে। বিদেশি অথবা দেশের কোনো অপশক্তির ইশারায় যদি এগুলো কার্যকর করা না হয়। তাহলে, ইসলামী আন্দোলন দেশের মানুষকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’’
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষমত য় ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দেহ হলে আমিনবাজারে তল্লাশি করা হচ্ছে যাত্রীদের ব্যাগ ও মুঠোফোন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ডাকা ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কর্মসূচিকে সামনে রেখে সাভারে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর–চন্দ্রা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি জোরদার করেছে পুলিশ। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সন্দেহ হলে যাত্রীদের মুঠোফোন ও ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, অপস ও ট্রাফিক উত্তর) আরাফাতুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল ও নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন কর্মসূচি দিয়েছে। এতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে লক্ষ্যে সাভারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তল্লাশিচৌকি, টহল বাড়ানো হয়েছে। সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। ১০টির বেশি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশপথ আমিনবাজারে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালায় ঢাকা জেলা পুলিশ। বিকেলের দিকে তল্লাশি জোরদার করা হয়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের এ তল্লাশিচৌকিতে ঢাকামুখী বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল আরোহীদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশির সময় সন্দেহজনক মনে হলে যাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করছেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। সন্দেজনক মনে হলে যাত্রীদের ব্যাগ, মুঠোফোন চেক করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
তল্লাশিচৌকিতে উপস্থিত সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কেউ যাতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য চেকপোস্টের মাধ্যমে তল্লাশি জোরদার করা হচ্ছে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মোবাইল ও ব্যাগ চেক করে আমরা দেখার চেষ্টা করি, নাশকতার কোনো উপকরণ তাঁদের কাছে আছে কি না।’