খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন রাষ্ট্রপতি
Published: 29th, November 2025 GMT
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। আজ শনিবার রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ সাগর হোসেন এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘গণতন্ত্র উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। মহান আল্লাহর নিকট তাঁর সুস্থতা এবং একই সঙ্গে দেশবাসীর কাছে তাঁর জন্য দোয়া প্রার্থনা করি।’
আরও পড়ুনখালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন এনসিপি ও হেফাজত নেতারা ৪ ঘণ্টা আগেখালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর দেখা দেয় নিউমোনিয়া। এর সঙ্গে রয়েছে কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের পুরোনো সমস্যা। পরিস্থিতি এমন—একটি রোগের চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে ‘অত্যন্ত সংকটময়’ বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির নেতারা বলছেন, গত দুই দিনে তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্ভব হলে দ্রুত সিঙ্গাপুরে নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করছেন।
আরও পড়ুনখালেদা জিয়ার অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ ১৩ ঘণ্টা আগেখালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তাঁর সুস্থতা কামনা করে গতকাল সারা দেশে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করেছে বিএনপি।
খালেদা জিয়ার প্রতি সবার আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনদেশে ফেরার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়: তারেক রহমান৭ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ষ ট রপত র জন য ব এনপ অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্যাক্স ভিক্ষুকও দেন, আবার বিশাল শিল্পপতিও দেন: জামায়াতের আমির
দেশের অর্থনীতি যদি ন্যায্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত না হয়, তাহলে সমাজে অবিচার চলতেই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেশের সব স্তরের মানুষ অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। কিন্তু ন্যায্যতা না থাকায় প্রান্তিক মানুষ ও উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই অবিচার বন্ধ করার মূল দায় দায়িত্বশীলদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।
আজ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২৫–এ শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। এ অর্থনৈতিক সম্মেলনের আয়োজন করে দৈনিক বণিক বার্তা। সম্মেলনে জামায়াতের আমিরের সহযোগী বক্তা ছিলেন দলের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. সফিউল্লাহ। তিনি ‘অর্থনীতিতে ন্যায্যতা’ বিষয়ে আলোচনা করেন।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে গরিব ও ধনী সবাই অবদান রাখছেন। ট্যাক্স একজন ভিক্ষুকও দেন, আবার একজন বিশাল শিল্পপতিও দেন। ভিক্ষুক সারা দিনে ১০, ২০ কিংবা ১০০ টাকা যা আয় করেন, সন্ধ্যায় দোকানে গিয়ে কিছু কিনলে ট্যাক্স দিতে হয়। নবজাতকের কিছু কিনলেও ট্যাক্স দিতে হয় অর্থাৎ নব্য শিশুও ট্যাক্সের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিদেশি ঋণও সমভাবে সব বয়সী মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে; নবজাতক থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ—সবার ওপর ঋণের বোঝা পড়ে। তাই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে দায়িত্বটা কে নেবে, এটা সমাজ ও সরকারের যৌথ দায়িত্ব।’
১৮ কোটি মানুষের দেশকে পরিকল্পনা ছাড়া সাজানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির। পরিকল্পনা থাকলে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করা যেতে পারে বলেন তিনি। তা না হলে ১৮ কোটি মানুষের জায়গায় ১৮ লাখ হলেও সমাজ সাজানো যাবে না বলেন তিনি।
দুর্নীতির কারণে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, চাঁদা ও দুর্নীতি ব্যবসায়ীদের এমনভাবে অনুৎসাহিত করছে যে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তাঁরা নতুন উদ্যোগ নিচ্ছেন না। বিনিয়োগ করছেন না। অনেকেই শুধু যে ব্যবসা আছে, তা বাঁচাতে ধরে রাখতে ব্যস্ত।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদাহরণ টেনে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিদেশিদের সঙ্গে যখন কথা হয়, তাঁরা বলেন, সেখানে বিনিয়োগ করেন, সেখানে স্থিতিশীলতা থাকবে, ফান্ডের সেফটি থাকবে। বাংলাদেশে এখন সেটা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘সে রকম পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারিনি। ফলে অনেক দেশ বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত দেশ হিসেবে দেখে না। আমাদের দেশে লালফিতার দৌরাত্ম্যের কারণে তাঁরা বিনিয়োগ করতে চান না।’
আরও পড়ুনযাঁরা লুট করেছেন, তাঁদের ধরেন, কারখানাগুলো চালু থাকুক: ফখরুল১ ঘণ্টা আগেদেশ পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা, দুর্নীতি দমন ও ন্যায়বিচারে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, কারিগরি শিক্ষা জাতিকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এর সঙ্গে যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে দুর্নীতিকে মূল থেকে দূর করতে হবে। তাহলে একটা ভালো পরিবেশ তৈরি হবে, দেশ এগিয়ে যাবে।