মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের সম্ভাব্য শব্দ ধারণ করেছে নাসার রোভার
Published: 2nd, December 2025 GMT
ভিন্ন গ্রহ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ অনেক। সেই আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন গ্রহে একাধিক অভিযান পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে ২০২১ সালে পারসিভিয়ারেন্স রোভার পাঠিয়েছে সংস্থাটি। এই রোভার সম্প্রতি প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের মতো শব্দ ধারণ করেছে। নাসার তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহে ধূলিঝড়ের সময় ধূলিকণাবাহিত বৈদ্যুতিক নির্গমন থেকে আসা ক্ষীণ আওয়াজ ধারণ করেছে রোভারটি। পৃথিবীর বজ্রপাতের মতো নাটকীয় না হলেও, এই ক্ষীণ আওয়াজ রোভারের মাইক্রোফোন ধারণ করতে পেরেছে।
মঙ্গল গ্রহের ধূলিময় বায়ুমণ্ডলে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ ঘটতে পারে কি না, তা নিয়ে কয়েক বছর ধরে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবারই প্রথম বজ্রপাতের শব্দ মাইক্রোফোনে ধরা পড়েছে। শব্দধারণের সময় রোভারটি একটি ধূলিঝড়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ব্যাপটিস্ট চাইড বলেন, সেন্টিমিটার আকারের এই স্ফুলিঙ্গ ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ–চমক। এ ঘটনা রোভার থেকে প্রায় ছয় ফুট দূরে ঘটেছিল।
নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পারসিভিয়ারেন্স রোভার অন্যান্য পরীক্ষা চালানোর সময় অসাবধানতাবশত মাইক্রোফোনে ধূলিকণাবাহিত বৈদ্যুতিক প্রবাহের ক্ষীণ কর্কশ শব্দ ধারণ করেছে। ফ্রান্সের ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন অ্যাস্ট্রোফিজিকস অ্যান্ড প্ল্যানেটোলজির গবেষকেরা পারসিভিয়ারেন্সের সুপারক্যাম যন্ত্র দিয়ে দুই মঙ্গলীয় বছর (পৃথিবীর হিসাবে ১ হাজার ৩৭৪ দিন) ধরে ধারণ করা ২৮ ঘণ্টার মাইক্রোফোন তথ্য বিশ্লেষণ করে এই শব্দ খুঁজে বের করেছেন। ধূলিঝড়ের সময় সাধারণত ধূলিকণা ও বালুর ঘর্ষণের কারণে এমন শব্দ ও চার্জ তৈরি হয়।
বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল প্রিচার্ড অবশ্য নাসার রোভারের ধারণ করা শব্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর ভাষ্যে, কেবল শোনা যাচ্ছে বলে সত্যিই মঙ্গলের বজ্রপাত হয়েছিল কি না, তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বয়স, শিক্ষাদীক্ষা, অর্থ-সম্পদে স্বামীর চেয়ে এগিয়ে সামান্থা?
অভিনেতা নাগা চৈতন্যকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সামান্থা রুথ প্রভু। ২০২১ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। সামান্থার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালারের সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান নাগা চৈতন্য; পরে তারা সাতপাকে বাঁধা পড়েন। তবে দীর্ঘদিন একা ছিলেন সামান্থা। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরিচালক রাজ নিদিমোরুর সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসে।
রাজ-সামান্থার প্রেম নিয়ে নানা ধরনের কানাঘুষা শোনা গেলেই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন এই জুটি। সোমবার (১ ডিসেম্বর) গোপনে বিয়ে করেন তারা। এদিন দুপুরে বিয়ের ছবি প্রকাশ করে সবাইকে চমকে দেন সামান্থা। তারপর থেকে আলোচনায় রয়েছেন এই যুগল। এ জুটির বয়সের ব্যবধান, পড়াশোনা, অর্থ-সম্পদের পরিমাণ নিয়েও চলছে চর্চা। চলুন এক নজরে দেখে নিই, রাজ-সামান্থার আড়ালের গল্প—
কার অর্থ-সম্পদ বেশি?
ডেইলি জাগরণ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাজ নিদিমোরুর মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৫–৮৯ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১২-১২১ কোটি টাকা)। রাজ একাধারে পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার। প্রতি সিনেমার জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নেন, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। ফলে ধারনা করা হয়, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে এই অর্থ আয় করেছেন রাজ।
আরো পড়ুন:
গোপন বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন সামান্থা
সেই প্রেমিককে বিয়ে করলেন সামান্থা?
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের তালিকায় এক সময় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন তেলেগু সিনেমার এই অভিনেত্রী। তবে বিবাহবিচ্ছেদ-শারীরিক অসুস্থতা পিছিয়ে দেয় তাকে। মানি কন্ট্রোলের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী সামান্থা রুথ প্রভুর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০০-১১০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৬-১৪৯ কোটি টাকা)।
সাধারণত, প্রতি সিনেমার জন্য ৩-৮ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন সামান্থা। তবে ‘সিটাডেল: হানি বানি’-এর জন্য ১০ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। সিনেমা, ওটিটি সিরিজ, বিজ্ঞাপন থেকে এসব অর্থ আয় করেছেন সামান্থা। তাছাড়া ব্যবসায়েও বিনিয়োগ করেছেন এই অভিনেত্রী।
সামান্থা-রাজের বয়সের ব্যবধান কত?
১৯৮৭ সালের ২৮ এপ্রিল চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন সামান্থা রুথ প্রভু। তার বয়স এখন ৩৮ বছর। অন্যদিকে, রাজ নিদিমোরু ১৯৭৯ সালের ৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স এখন ৪৬ বছর। সামান্থার চেয়ে ৮ বছরের বড় রাজ। বয়সের ব্যবধান ৮ বছর হলেও এ দম্পতির মাঝে বোঝাপড়া দারুণ বলে জানা গেছে।
রাজ-সামান্থার শিক্ষাদীক্ষা
রাজ নিদিমোরু অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতিতে তেলুগু-ভাষী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এসভিইউ কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে বি. টেক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এই পরিচালক। তবে এসব ছেড়ে রুপালি জগতে মন দিয়েছেন এই নির্মাতা।
তামিল নাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন সামান্থা রুথ প্রভু। তার বাবা জোসেফ প্রভু, মা নাইনেট। সামান্থার বাবা জোসেফ প্রভু তেলেগু অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান। আর তার মা নাইনেট সিরিয়ান মালায়ালি। সামান্থা ছাড়াও এ দম্পতির আরো দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে মারা যান সামান্থার বাবা জোসেফ।
হলি অ্যাঞ্জেলস অ্যাংলো ইন্ডিয়ান হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সামান্থা। ২০২০ সালে ক্লাস টেনের নম্বরপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। কারণ গণিতে ১০০, পদার্থ বিজ্ঞানে ৯৫, ইংলিশে ৯০, বোটানিতে ৮৪, ইতিহাসে ৯১ এবং জিওগ্রাফিতে ৮৩ নম্বর পেয়েছিলেন সামান্থা। পরবর্তীতে চেন্নাইয়ের স্টেলা মেরিস কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। আরো উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন সামান্থা। কিন্তু কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।
ঢাকা/শান্ত