২০২৬ বিশ্বকাপ: আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, স্পেন—কোন দলের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু
Published: 2nd, December 2025 GMT
৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ওই দিন হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। আর ড্রয়ের পরই সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা ছক আঁকতে শুরু করবেন, কোন পথে তাঁদের প্রিয় দল যেতে পারে ফাইনালে! নিউ জার্সির বিখ্যাত মেটলাইফ স্টেডিয়ামে কার মাথায় উঠবে বিশ্বজয়ের মুকুট, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু হবে আলোচনা।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো—৩ দেশের ১৬টি ভেন্যুতে বসবে এবারের বিশ্বকাপ আসর। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি। দলের সংখ্যা ৩২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৮। আর ম্যাচের সংখ্যা ৬৪ থেকে এক লাফে ১০৪!
অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে ছয়টির নাম অবশ্য এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যে চারটি উঠবে ইউরোপীয় প্লে-অফ থেকে। বাকি দুটি আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ জিতে, তবে বড় দলগুলো প্রস্তুত। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা চাইবে ১৯৬২ সালে ব্রাজিলের পর প্রথম দল হিসেবে শিরোপা ধরে রাখতে, কিন্তু কাজটা সহজ হবে না। ২০২২ বিশ্বকাপের রানার্সআপ ফ্রান্স আছে। আছে বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনও।
ইংল্যান্ড আর ব্রাজিলও আশায়—তাদের নতুন কোচ টমাস টুখেল ও কার্লো আনচেলত্তি দারুণ কিছু করে দেখাবেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে হিসাবের বাইরে রাখা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে?
বিশ্বকাপে যে ট্রফির জন্য লড়বে দলগুলো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
বিগ ফোর-এর জায়গায় কি উচ্চশিক্ষার নতুন গন্তব্যে জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেন
আন্তর্জাতিক শিক্ষার গন্তব্যে কি বড় পরিবর্তন আসতে চলছে? এটি বলার কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া, প্রচলিত ‘বিগ ফোর’ দেশের বাইরে এখন আরও বেশি শিক্ষার্থী ইউরোপের দিকে ঝুঁকছেন। অ্যাপ্লাইবোর্ড–এর একটি প্রতিবেদনে এমনটাই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ‘অ্যাপ্লাইবোর্ড ২০২৬ ট্রেন্ডস রিপোর্ট: বিল্ডিং অ্যান্ড রিবিল্ডিং গ্লোবাল এডুকেশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে গেছেন। এ সংখ্যা ২০৩০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে এক কোটির বেশি।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী পরামর্শদাতাদের প্রায় তিন–চতুর্থাংশ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা বিকল্প গন্তব্য ভাবছেন। নতুন এই শীর্ষ ১০টি গন্তব্যের মধ্যে আটটিই ইউরোপে।
জার্মানি: কর্মসংস্থানই বড় আকর্ষণইউরোপে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে জার্মানি এখন অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী একটি গন্তব্য। ২০২৪–২৫ শীতকালীন সেমিস্টারে দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী চার লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জার্মানি বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তার অন্যতম মূল কারণ হলো, পড়াশোনা শেষে চাকরি করার সুযোগ বেশি, দীর্ঘ মেয়াদে থাকার সুবিধা ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সম্প্রসারিত দ্বৈত নাগরিকত্ব নীতি।
২০২৫ সালের অক্টোবরে ফাস্ট ট্র্যাক নাগরিকত্ব ব্যবস্থা বন্ধ করা হলেও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখনো পাঁচ বছরের সাধারণ নাগরিকত্বের প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে পারছেন।
প্রতিবেদন বলছে, জার্মানিতে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দুই–তৃতীয়াংশই স্নাতক শেষে দেশে থেকেই কাজ করতে চান। হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর আন্তর্জাতিক স্নাতক ব্যাচ রাষ্ট্রীয় খরচের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো বেশি রাজস্ব যোগ করে।
জার্মানি শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগও নিচ্ছে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে স্নাতকোত্তর আকর্ষণ করতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চালু হয়েছে ‘একাডেমিক হরিজনস–অ্যাট্রাকটিং গ্লোবাল মাইন্ডস’। শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক ও সাশ্রয়ী বাসস্থান তৈরি করতে ‘জঙ্গেস ওহেনেন’ নির্মাণ পরিকল্পনাও কার্যকর করেছে দেশটি।
‘অ্যাপ্লাইবোর্ড ২০২৬ ট্রেন্ডস রিপোর্ট: বিল্ডিং অ্যান্ড রিবিল্ডিং গ্লোবাল এডুকেশন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে গেছেন।