যানজট লেগেই থাকে চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড়ে
Published: 2nd, December 2025 GMT
কোথাও বসেছে ভাসমান হকার, কোথাও গণপরিবহনের জটলা। ফুটপাত থাকলেও তাতে মানুষ হাঁটার সুযোগ নেই। মোড়ের এক পাশ রূপ নিয়েছে অস্থায়ী বাস টার্মিনালে। যেখানে–সেখানে থামছে গণপরিবহন। সড়কের মাঝখানেই ওঠানামা করছেন যাত্রীরা। মোড়ের মাঝে থাকা চত্বরটিও বেহাল। এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অক্সিজেন মোড়ের।
চট্টগ্রাম নগরের সঙ্গে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলার সংযোগ হয়েছে এই মোড়ের। সড়কপথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয় এই মোড় হয়েই। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির বাসও ছেড়ে যায় এই মোড় থেকে। তবে ভাসমান দোকান, ফুটপাত দখল, যান চলাচলের অব্যবস্থাপনা এই সড়কে চলাচল দুর্বিষহ করে তুলেছে। প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা।
প্রতিদিন এই মোড় দিয়ে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। সকাল হলেও পুরো এলাকায় যানজট নিত্যদিনের চিত্র। নিয়ম না মেনে চলা ছোট যানবাহন, গাড়ির হর্নের শব্দ, ধুলাবালু আর সড়ক অব্যবস্থাপনায় অতিষ্ঠ আশপাশের মানুষ ও দোকানিরা। যাত্রীদের দাঁড়ানো ও চলাচলের জন্য ফুটপাত থাকলেও সেগুলো দখল করেছে ভাসমান দোকান।বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়ক ও চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের সংযোগস্থল অক্সিজেন মোড়। এর এক পাশে বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক ধরে গড়ে উঠেছে নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা। সেখানে পোশাক কারখানা, স্টিল রিরোলিং কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানা রয়েছে। অন্যদিকে অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে অনন্যা আবাসিক প্রকল্প ও রাউজান উপজেলামুখী সড়ক। এ দুই সড়ক ভেদ করে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়ক।
প্রতিদিন এই মোড় দিয়ে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। সকাল হলেও পুরো এলাকায় যানজট নিত্যদিনের চিত্র। নিয়ম না মেনে চলা ছোট যানবাহন, গাড়ির হর্নের শব্দ, ধুলাবালু আর সড়ক অব্যবস্থাপনায় অতিষ্ঠ আশপাশের মানুষ ও দোকানিরা। যাত্রীদের দাঁড়ানো ও চলাচলের জন্য ফুটপাত থাকলেও সেগুলো দখল করেছে ভাসমান দোকান।
স্থানীয় বাসিন্দা সানজিদা আক্তার বলেন, কাজের নির্ধারিত সময়ের অন্তত এক ঘণ্টা আগে তাঁকে বের হতে হয়। শুধু অক্সিজেন মোড়েই প্রায় সময় যানজটে আটকে থাকতে হয়। মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে নিরাপদে হাঁটার রাস্তাটুকুও নেই।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) নেছার উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বাসমালিকদের অভিযোগ, তাঁদের টার্মিনাল নেই। মোড়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা কাজ করছি। কারখানার ট্রাক-লরিগুলোকেও শৃঙ্খলা মেনে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছ।’
নগরের সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়কের মুরাদপুর এলাকা হয়ে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়ক। অন্যদিকে ২ নম্বর গেট এলাকা হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক। এ দুই সড়কে মিলেছে অক্সিজেন মোড়ে। এ দুই সড়ক হয়ে নগরের যানবাহন অক্সিজেন মোড় এবং এর আশপাশে এলাকায় যাতায়াত করে।
সরেজমিন অক্সিজেন মোড়ে দেখা যায়, মোড়ের বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক অংশে যেখানে–সেখানে যানবাহন যাত্রী ওঠানামা করছে। সড়কটির এক পাশে খাগড়াছড়ি জেলার বাসগুলো দাঁড়িয়ে থাকে। সেখান থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও হাটহাজারীর বাসও ছেড়ে যায়। যাত্রী ও বাসের কারণে এ অংশে পথচারী চলাচল করে মূল সড়ক দিয়ে।
বায়েজিদ বোস্তামী সড়কটির এক পাশে একটি কাগজকল ও পোশাক কারখানা। এর সামনের অংশে ফুটপাতটির অস্তিত্ব নেই বলা চলে। মানুষ হাঁটার পরিবর্তে সেখানে বসেছে ভাসমান হকার। একই অবস্থা অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের মুখেও। অটোরিকশা, হকার ও অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচলের কারণে প্রায়ই সড়কে যানজট লেগে থাকে। একই দশা চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কেরও।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘হকারদের উচ্ছেদ করলে দুই দিন পর তারা আবার বসে। তবে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি ওয়ার্ডভিত্তিক কাজ শুরু করার। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ মোড় আর পর্যটনমুখী সড়কগুলো আগে সুশৃঙ্খল করা হবে।’
এদিকে অক্সিজেন মোড়ে যানজটের বাড়তি চাপ যোগ হয়েছে গত আগস্ট মাস থেকে। আগস্টের শুরুতে অক্সিজেনের স্টার শিপ গলি এলাকায় শীতল ঝরনার খালের ওপর সেতু ভেঙে দুই ভাগ হয়ে যায়। সেই থেকে বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের এক পাশের একটি অংশ এখন বন্ধ। ফলে এক লেনের ওপর বাড়তি চাপ রয়েছে। অবশ্য সেতুর কাজ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, পার্কিং স্পট না থাকাসহ নগরে প্রতিটি মোড়েই পরিকল্পনাগত ত্রুটি আছে। এ জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র এক প শ চল চল র য় য নজট ন চল চল ফ টপ ত এল ক য় এই ম ড় ই সড়ক নগর র সড়ক র
এছাড়াও পড়ুন:
দৌলতপুর সীমান্তে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ যুবক আটক
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ আরিফুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে চিলমারি ইউনিয়নের আতারপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আটক আরিফুল ইসলাম চিলমারি ইউনিয়নের ডিগ্রির চর এলাকার রিয়াজুল ইসলামের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানিয়েছে, চরচিলমারি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৮৪/২ এস থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আতারপাড়া এলাকায় বিজিবির একটি টহল দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে আরিফুলকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিনসহ তিনটি গুলি উদ্ধার করে বিজিবি। উদ্ধার করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের মূল্য আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার ৬০০ টাকা।
এ বিষয়ে বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, “আটক ব্যক্তিকে দৌলতপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র চোরাচালানসহ সব ধরনের সীমান্ত অপরাধ দমন করতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সজাগ অবস্থানে রয়েছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/এস