মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ‘বন্ধ’ বলে বিবেচিত হবে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এ ঘোষণার পর ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, এমন ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার জন্য ‘উপনিবেশিক হুমকি’ তৈরি করছে। ভেনেজুয়েলার লাখ লাখ মানুষ উদ্বেগের মধ্যে আছে।

সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেনেজুয়েলা নিয়মিত সামরিক মহড়া চালাচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে ক্যারিবীয় সাগরে সন্দেহজনক মাদকবাহী নৌযানের ওপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। তারা দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে বড় আকারে নৌ-সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে। হামলার শিকার হওয়া নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত কি না, সে বিষয়ে ওয়াশিংটন এখনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এসব হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলায় ‘কার্টেল দে লস সোলেস’ নামে পরিচিত গোষ্ঠীকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্যবস্তু করছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওয়াশিংটন মাদুরোকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার পথ তৈরি করতে পারে।

ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করার পর এখন কি ট্রাম্প দেশটিতে হামলা চালাবেন? যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান কি আইনগতভাবে যুক্তিযুক্ত হবে? ঠিক কী কারণে মাদুরোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প এত কঠোর হচ্ছেন? এমন নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র কি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধ করবে

জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় কথা বলে আসছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার ও অভিবাসী ঢলের জন্য ভেনেজুয়েলাকে দায়ী করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেল কেনে, এমন দেশগুলোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। তিনি মাদুরোকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেতা’ ঘোষণা করেন এবং তাঁকে গ্রেপ্তারে সহায়ক তথ্য চেয়ে পাঁচ কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেন। এ পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ পূর্বঘোষিত পুরস্কারের দ্বিগুণ।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, তিনি সিআইএকে ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। তাঁর প্রশাসন ক্যারিবীয় অঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড, অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ, হাজার হাজার সেনা ও এফ-৩৫ স্টেলথ জেট বিমান মোতায়েন করেছে।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, দেশটির ভেতরে শিগগিরই স্থল অভিযান চালানো হতে পারে।

পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক বিশ্লেষকদের মতে, ভেনেজুয়েলা সরকারের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রাসী নীতির মূল কারণ হলো কারাকাসের বিশাল তেলভান্ডার। এখানেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেলের মজুত আছে বলে মনে করা হয়। তা ছাড়া এমন আগ্রাসী নীতির মধ্য দিয়ে পশ্চিম গোলার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চান ট্রাম্প।

নিউইয়র্ক টাইমস ও দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উত্তেজনা চলার মধ্যে ট্রাম্প গত সপ্তাহে মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। কার্টেল দে লস সোলেসকে যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার আগে এ আলাপ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মাদুরো কার্টেল দে লস সোলেসের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

গত ২৫ নভেম্বর এয়ার ফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজে সাংবাদিকেরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি মাদুরোর সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন কি না। ট্রাম্প তখন বলেন, ‘আমি হয়তো তাঁর সঙ্গে কথা বলব। দেখব, কী হয়। আমরা এটা নিয়ে বিভিন্ন কর্মীর সঙ্গে আলোচনা করছি। হয়তো কথা বলব।’

সাংবাদিকেরা জিজ্ঞাসা করেন, ট্রাম্প কেন ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’-এর নেতার সঙ্গে কথা বলতে চান?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি আমরা জীবন বাঁচাতে পারি, তাহলে সহজ উপায়ে কাজ করাটা ঠিক আছে। আর যদি কঠিন উপায়ে করতে হয়, তা–ও ঠিক আছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ কি আইনগতভাবে বৈধ

ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকেরা বলছেন, এই সামরিক পদক্ষেপ মার্কিন সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন উভয়েরই লঙ্ঘন। মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও আইনি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জাহাজে হামলার ঘটনা ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ ও ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’-এর শামিল।

ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ক্যারিবীয় সাগরে কোনো জাহাজ মাদক বহন করছে বলে সন্দেহ হলেই যেন সেখানে থাকা সব যাত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

হেগসেথ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি প্রতিবেদনটিকে ‘মিথ্যা সংবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, দেশ রক্ষায় লড়াইরত মার্কিন সেনাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিভিন্ন হামলাকে ‘আইনগতভাবে বৈধ’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র সন ত র স কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্প কি ভেনেজুয়েলায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার ঘোষণা দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ‘বন্ধ’ বলে বিবেচিত হবে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এ ঘোষণার পর ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যকার উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, এমন ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকার জন্য ‘উপনিবেশিক হুমকি’ তৈরি করছে। ভেনেজুয়েলার লাখ লাখ মানুষ উদ্বেগের মধ্যে আছে।

সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেনেজুয়েলা নিয়মিত সামরিক মহড়া চালাচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে ক্যারিবীয় সাগরে সন্দেহজনক মাদকবাহী নৌযানের ওপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। তারা দক্ষিণ ক্যারিবীয় অঞ্চলে বড় আকারে নৌ-সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে। হামলার শিকার হওয়া নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত কি না, সে বিষয়ে ওয়াশিংটন এখনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এসব হামলায় অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছেন।

গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলায় ‘কার্টেল দে লস সোলেস’ নামে পরিচিত গোষ্ঠীকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলাকে লক্ষ্যবস্তু করছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওয়াশিংটন মাদুরোকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার পথ তৈরি করতে পারে।

ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করার পর এখন কি ট্রাম্প দেশটিতে হামলা চালাবেন? যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান কি আইনগতভাবে যুক্তিযুক্ত হবে? ঠিক কী কারণে মাদুরোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প এত কঠোর হচ্ছেন? এমন নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র কি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধ করবে

জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় কথা বলে আসছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার ও অভিবাসী ঢলের জন্য ভেনেজুয়েলাকে দায়ী করেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার তেল কেনে, এমন দেশগুলোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। তিনি মাদুরোকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেতা’ ঘোষণা করেন এবং তাঁকে গ্রেপ্তারে সহায়ক তথ্য চেয়ে পাঁচ কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেন। এ পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ পূর্বঘোষিত পুরস্কারের দ্বিগুণ।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, তিনি সিআইএকে ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। তাঁর প্রশাসন ক্যারিবীয় অঞ্চলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড, অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ, হাজার হাজার সেনা ও এফ-৩৫ স্টেলথ জেট বিমান মোতায়েন করেছে।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, দেশটির ভেতরে শিগগিরই স্থল অভিযান চালানো হতে পারে।

পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক বিশ্লেষকদের মতে, ভেনেজুয়েলা সরকারের প্রতি ট্রাম্পের আগ্রাসী নীতির মূল কারণ হলো কারাকাসের বিশাল তেলভান্ডার। এখানেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেলের মজুত আছে বলে মনে করা হয়। তা ছাড়া এমন আগ্রাসী নীতির মধ্য দিয়ে পশ্চিম গোলার্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চান ট্রাম্প।

নিউইয়র্ক টাইমস ও দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উত্তেজনা চলার মধ্যে ট্রাম্প গত সপ্তাহে মাদুরোর সঙ্গে কথা বলেছেন। কার্টেল দে লস সোলেসকে যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার আগে এ আলাপ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মাদুরো কার্টেল দে লস সোলেসের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

গত ২৫ নভেম্বর এয়ার ফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজে সাংবাদিকেরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি মাদুরোর সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন কি না। ট্রাম্প তখন বলেন, ‘আমি হয়তো তাঁর সঙ্গে কথা বলব। দেখব, কী হয়। আমরা এটা নিয়ে বিভিন্ন কর্মীর সঙ্গে আলোচনা করছি। হয়তো কথা বলব।’

সাংবাদিকেরা জিজ্ঞাসা করেন, ট্রাম্প কেন ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’-এর নেতার সঙ্গে কথা বলতে চান?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি আমরা জীবন বাঁচাতে পারি, তাহলে সহজ উপায়ে কাজ করাটা ঠিক আছে। আর যদি কঠিন উপায়ে করতে হয়, তা–ও ঠিক আছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ কি আইনগতভাবে বৈধ

ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকেরা বলছেন, এই সামরিক পদক্ষেপ মার্কিন সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন উভয়েরই লঙ্ঘন। মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও আইনি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জাহাজে হামলার ঘটনা ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ ও ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’-এর শামিল।

ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ক্যারিবীয় সাগরে কোনো জাহাজ মাদক বহন করছে বলে সন্দেহ হলেই যেন সেখানে থাকা সব যাত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

হেগসেথ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি প্রতিবেদনটিকে ‘মিথ্যা সংবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, দেশ রক্ষায় লড়াইরত মার্কিন সেনাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো বিভিন্ন হামলাকে ‘আইনগতভাবে বৈধ’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো

সম্পর্কিত নিবন্ধ