ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, শুধু ‘১০০% ফিট’ খেলোয়াড়েরাই ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাবেন। নেইমার ও ভিনিসিয়ুসের ক্ষেত্রেও নিয়মটি শিথিল করা হবে না। আনচেলত্তি সাফ বলে দিয়েছেন, যদি নেইমার কিংবা ভিনিসিয়ুস শারীরিকভাবে ৯০ শতাংশ ফিট হন, তাহলে শতভাগ ফিট থাকা অন্য খেলোয়াড়কে দলে ডাকবেন তিনি।

ব্রাজিলের টিভি চ্যানেল ‘রেকর্ড’-এর অনুষ্ঠান ‘স্পোর্ত রেকর্ড’-এ এই মন্তব্য করেন আনচেলত্তি।

চোটের কারণে দুই বছরের বেশি সময় ধরে ব্রাজিল দলের বাইরে নেইমার। তাঁর বিষয়ে আনচেলত্তি আগেই বলে দিয়েছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে নেইমারকে শতভাগ ফিটনেস ফিরে পেতে হবে।

‘স্পোর্ত রেকর্ড’ অনুষ্ঠানে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘ভালো খেলোয়াড়ের অভাব নেই। যারা শতভাগ (ফিট), তাদের বেছে নিতে হবে আমাকে। এটা শুধু নেইমার নয়, রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুসের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভিনিসিয়ুস ৯০ শতাংশ ফিট হলে আমি অন্য কাউকে ডাকব, যে শতভাগ ফিট। কারণ, এটা এমন একটা দল, যেখানে প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বিশেষ করে সামনে (আক্রমণভাগ)। সেখানে আমাদের বেশ ভালো কিছু খেলোয়াড় আছে।’

ব্রাজিল দলের অনুশীলনে কোচ কার্লো আনচেলত্তি ও ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শতভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

সংযুক্ত আরব আমিরাত: মরুভূমির বুকে ঐক্যের বিজয়

১৯৭১ সাল। বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল বছর, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার বছর। কাকতালীয়ভাবে ঠিক এই একই বছরে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত মরুভূমির বুকে জন্ম নিচ্ছিল আরেকটি নতুন রাষ্ট্র, যার ভিত্তি কোনো যুদ্ধ নয়; বরং ছিল অটুট ‘ঐক্য’।

আজ ২ ডিসেম্বর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জাতীয় দিবস। দেশটি দিনটিকে উদ্‌যাপন করে ‘স্পিরিট অব দ্য ইউনিয়ন’ বা ঐক্যের চেতনার বিজয় হিসেবে।

ব্রিটিশরা যখন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল বা তৎকালীন ‘ট্রুশিয়াল স্টেটস’ ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়, তখন এই অঞ্চলের ছোট ছোট শেখতন্ত্রগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু আবুধাবির শাসক শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ রাশিদ বিন সাইদ আল মাকতুম এক দূরদর্শী স্বপ্ন দেখলেন। তাঁরা বুঝলেন, আলাদা থাকলে টিকে থাকা কঠিন, কিন্তু এক হলে তাঁরা অজেয়।

১৯৭১ সালের এই দিনে দুবাইয়ের ‘ইউনিয়ন হাউস’-এ এক ঐতিহাসিক দলিলে স্বাক্ষর করেন ছয়টি আমিরাতের (আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, উম্ম আল-কুওয়াইন ও ফুজাইরাহ) শাসকেরা। রাস আল খাইমাহ এই জোটে যোগ দেয় পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে। প্রথমবারের মতো পান্না, সাদা, কালো আর লালের সংমিশ্রণে তৈরি আমিরাতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। শেখ জায়েদ হন দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং ‘ফাদার অব দ্য নেশন’।

১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর এক পতাকার নিচে আসেন আমিরাতের নেতারা

সম্পর্কিত নিবন্ধ