চার দফা দাবিতে সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম নগরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকেরা। ফলে বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। শিক্ষকেরা বলছেন, তাঁরা আগেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জানিয়েছেন। তবে গতকাল সোমবার অন্তত তিনটি বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের ফেরত যেতে দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবারও চলছে শিক্ষকদের কর্মবিরতি।

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে। সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, দীর্ঘদিনের পেশাগত মর্যাদা ও বেতন-ভাতাসংক্রান্ত চার দফা দাবির বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে শিক্ষকেরা দুই দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু দাবিগুলো না মানায় এখন লাগাতার কর্মবিরতিতে গেছেন।

চট্টগ্রাম নগরের সরকারি বিদ্যালয় মোট ১০টি। সেগুলো হলো চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ডা.

খাস্তাগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, এই ১০ বিদ্যালয়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল ব্যতীত বাকি ৯টি বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে দুজন শিক্ষার্থী ও তিনজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, বিদ্যালয় থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে অনেকেই সেটি দেখেননি, কারণ রাতে দেওয়া হয়েছিল। কত দিন পরীক্ষা হবে না, সেটি আগে জানিয়ে দিলে শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো হয়।

গতকাল নগরের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষকেরা জানান, ১৯৭৭ সাল থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা দশম গ্রেডে আছেন। অথচ একই মর্যাদার অন্যান্য ক্ষেত্রের কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে নবম গ্রেড করা হয়েছে। ফলে শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম নগরের সরকারি বিদ্যালয় মোট ১০টি। সেগুলো হলো চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি মুসলিম উচ্চবিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, বাকলিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ডা. খাস্তাগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সিটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

শিক্ষকদের চার দফা দাবিগুলো হলো সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক‍্যাডারভুক্ত করে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের’ গেজেট প্রকাশ; বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত শিক্ষকদের বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা; সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া এবং ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বহাল করে গেজেট প্রকাশ।

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আবসার উদ্দিন বলেন, ‘কর্মবিরতির জন্য বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। আমরাও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করছি। তাই শুক্র ও শনিবার পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফলও দেওয়া যাবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র ষ ক পর ক ষ শ ক ষকদ র গ র সরক র নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

বিপিএলের আগে মুমিনুলকে সিডনিতে খেলার সুযোগ দিলেন হাথুরুসিংহে

-চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তাহলে আপনার এখন সবচেয়ে প্রিয় মানুষ?
- এই- যে আবার শুরু হয়ে গেছে…
ফোনের ওপাশে মুমিনুল হকের হাসি থামে না। বলতে থাকেন, ‘এগুলো বানানো কথা।’ কোনটা বানানো, কোনটা অপ্রিয় কিংবা কোনটা প্রিয় সেগুলো মাঠে নিয়মিত যারা খোঁজ খবর রাখেন তারা সবটাই জানেন। যেমন-এটা সত‌্য হাথুরুসিংহে ও মুমিনুলের রসায়ন এখন দারুণ। দারুণ পেশাদার। 
তেমনি এটাও সত‌্য- হাথুরুসিংহের প্রথম অধ্যায়ে দুজনের সম্পর্ক শীতল ছিল না। তাদের রসায়ন খুব একটা জমেনি। মুমিনুল সেরা সময়ে ছিলেন। তার ব্যাটিং গড় ছিল পঞ্চাশ পেরিয়ে। কিন্তু হাথুরুসিংহের সময়ে মুমিনুল নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। ফর্ম হারিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে রান ভুলেছিলেন। শিষ্যের ভুল না শুধরে উল্টো সমালোচনা করেছিলেন হাথুরুসিংহে। শর্ট বল খেলতে পারেন না, মুমিনুলকে নিয়ে এমন কথাও বলেছিলেন।

সময়ের স্রোতে দুজনের সম্পর্ক, রসায়ন এখন তুঙ্গে। পুরোনো শিষ‌্যর সঙ্গে হাথুরুসিংহের বোঝাপড়া দারুণ। তাইতো সিডনিতে তাকে খেলার সুযোগও করে দিয়েছেন তিনি। সিডনিতে গ্রেড ওয়ান ক্রিকেটের দল ব্ল‌্যাকটাউনের হয়ে খেলতে আগামীকাল বুধবার অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দিচ্ছেন মুমিনুল।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতা সিডনিতে বেশ জনপ্রিয়। ২৩ বছর ধরে ব্ল‌্যাকটাউন ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এই ক্লাবের হয়েই একদিনের ম‌্যাচ ও দুই দিনের ম‌্যাচ খেলার কথা ছিল মুমিনুল হকের। লম্বা সময় থাকার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু বিপিএলে দল পেয়ে যাওয়ায় সূচিতে পরিবর্তন এনেছেন।

আপাতত মুমিনুল খেলবেন তিনটি একদিনের ম‌্যাচ। এরপর দেশে ফিরে সিলেট টাইটান্সের হয়ে খেলবেন বিপিএল। পরে সুযোগ হলে আবার দিতে চান উড়াল।

আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেও মুমিনুল অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলে ব‌্যক্তিগত কাজে। কাজের ফাঁকেই হাথুরুসিংহের সঙ্গে কয়েকটি সেশন করেছেন। নিবিড়ভাবে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ‌্যবোধ করেছেন। এবারও তেমন পরিকল্পনা করেই লম্বা সময় সিডনিতে থাকতে চেয়েছিলেন। এপ্রিলের আগে বাংলাদেশের টেস্ট নেই। মুমিনুলের আশা বিপিএলের পরও সময় পাওয়া যেতে পারে।
রাইজিংবিডিকে মুমিনুল বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছি। হাথুরুসিংহে একটা ক্লাবে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপাতত তিনটা একদিনের ম‌্যাচ খেলবো। বিপিএলে দল পাবো কিনা নিশ্চিত ছিলাম না। যেহেতু পেয়েছি বিপিএলও খেলবো। হাথুরুসিংহে খেলার ব‌্যবস্থা করে দিয়েছেন। তার সঙ্গে আগেই আমার যোগাযোগ ছিল।’’

‘‘আয়ারল‌্যান্ড সিরিজের আগে তার সঙ্গে আমার কাজ করা হয়েছে। বেশ ভালো কয়েকটি সেশন কাটিয়েছি। ব‌্যাটিংটা করে উপভোগ করেছি। হয়তো আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেলে পূর্ণতা পেত। কিন্তু যেটা হয়েছে তা আলহামদুলিল্লাহ। এবারও তার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান সেশন করবো। বিপিএল খেলি। এরপর সুযোগ হবে আশা করি। তখন আবার যাওয়া যাবে।’’ - বলেছেন মুমিনুল।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ