সংযুক্ত আরব আমিরাত: মরুভূমির বুকে ঐক্যের বিজয়
Published: 2nd, December 2025 GMT
১৯৭১ সাল। বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল বছর, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার বছর। কাকতালীয়ভাবে ঠিক এই একই বছরে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত মরুভূমির বুকে জন্ম নিচ্ছিল আরেকটি নতুন রাষ্ট্র, যার ভিত্তি কোনো যুদ্ধ নয়; বরং ছিল অটুট ‘ঐক্য’।
আজ ২ ডিসেম্বর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জাতীয় দিবস। দেশটি দিনটিকে উদ্যাপন করে ‘স্পিরিট অব দ্য ইউনিয়ন’ বা ঐক্যের চেতনার বিজয় হিসেবে।
ব্রিটিশরা যখন পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল বা তৎকালীন ‘ট্রুশিয়াল স্টেটস’ ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়, তখন এই অঞ্চলের ছোট ছোট শেখতন্ত্রগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু আবুধাবির শাসক শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ রাশিদ বিন সাইদ আল মাকতুম এক দূরদর্শী স্বপ্ন দেখলেন। তাঁরা বুঝলেন, আলাদা থাকলে টিকে থাকা কঠিন, কিন্তু এক হলে তাঁরা অজেয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে দুবাইয়ের ‘ইউনিয়ন হাউস’-এ এক ঐতিহাসিক দলিলে স্বাক্ষর করেন ছয়টি আমিরাতের (আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, উম্ম আল-কুওয়াইন ও ফুজাইরাহ) শাসকেরা। রাস আল খাইমাহ এই জোটে যোগ দেয় পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে। প্রথমবারের মতো পান্না, সাদা, কালো আর লালের সংমিশ্রণে তৈরি আমিরাতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। শেখ জায়েদ হন দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং ‘ফাদার অব দ্য নেশন’।
১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর এক পতাকার নিচে আসেন আমিরাতের নেতারা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ‘বিজয় মশাল রোড শো’। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া
ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে শত্রু মনে করা হয়: ফখরুল
তিনি জানান, ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরে বিজয় মশাল রোড শো এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিভাগে মশাল বহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাইযোদ্ধা।
১৬ ডিসেম্বর ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিজয় মশাল রোড শো। এতে পরিবেশিত হবে বিএনপির থিম সং, 'সবার আগে বাংলাদেশ'।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বিজয় মশাল যাত্রা শুরু করবে। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে একই দিন চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে পৌঁছাবে। বিজয় মিছিলের মশাল বহন করবেন ১৯৭১ সালের একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০১৪ সালের একজন জুলাইযোদ্ধা। আমরা মনে করি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দেশের স্বাধীনতা অর্জনের আর ২০২৪ হলো দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার।”
বিএনপি মহাসচিব জানান, দুই সপ্তাহের এই বিশেষ 'রোড শো' উদযাপনের সময় বিভিন্ন বিভাগের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধের গান, দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশ প্রচার, জাসাসের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শন হবে।
একইসঙ্গে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি।
তিনি জানান বিভাগ ঘুরে বিজয় মশাল সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। একইদিন ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে 'বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো'। বিজয় মাস উপলক্ষে এই বিশেষ কর্মসূচি ছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচি উদযাপিত হতে থাকবে।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ