মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ আহত ১৫
Published: 2nd, December 2025 GMT
মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর ওপর ভাঙ্গাগামী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ওয়েলকাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বরিশাল যাচ্ছিল। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের আড়িয়াল খাঁ সেতুর ওপর একটি পণ্যবাহী ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয় বাসটি। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসের সামনের দিকে থাকা একজন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে আরও দুজন মারা যান। এ দুর্ঘটনায় বাসের কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুর্ঘটনার পর ভাঙ্গাগামী লেনে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রতাপ দাস নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি অন্য একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই বিকট শব্দ হলো। দেখি, ভাঙ্গাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সামনে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকের মধ্যে ঢুকে গেল।’
শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি জহুরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত গতির কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন শ বচর হ ইওয়
এছাড়াও পড়ুন:
সাখাওয়াত স্যার, আপনার কাছে জাতির যত ঋণ
৩০ নভেম্বর ক্যালেণ্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখ। কারণ এটি এমন একজন মহান শিক্ষকের জন্মদিন যিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতা শিক্ষার ইতিহাসের একটি বড় জায়গা দখল করে আছেন।
তিনি অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খান। তাঁর হাত ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় স্নাতক কোর্সের সূচনা হয়েছিল।
আসলে তিনি আমাদের কাছে শুধু একজন শিক্ষকই নন, তিনি ‘শান্তির জন্য সাংবাদিকতা’ চর্চার এক আলোকবর্তিকা।
তাঁর প্রজ্ঞা, সত্যান্বেষণ আর মানবিকতার দীপ্ত আলো তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের যোগাযোগ-সাংবাদিকতার পেশাগত জীবনে।
৩০ নভেম্বর ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করা আমাদের এই শিক্ষাগুরু একাধারে সত্যান্বেষী সাংবাদিক, সাহিত্যসাধক, সমাজ-সংগঠক, গবেষক এবং মানবিক ধারার সাংবাদিকতা শিখনচর্চার অগ্রপথিক।
তাঁর ভাষায়, ‘সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব। যুদ্ধের সময় আমি শিখেছি—সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোই সাংবাদিকতার মূল শক্তি।’
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সংস্কার দেখতে চাই১১ আগস্ট ২০২৪নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধনুয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম। ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট সরকারি হাইস্কুল এবং ঢাকা কলেজ থেকে পর্যায়ক্রমে তিনি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। অধ্যাপক খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান), এমএ ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ছাত্রাবস্থাতেই সাখাওয়াত আলী খান সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি সাংবাদিকতার মূল স্রোতে কাজ করেছেন। প্রতিবেদক থেকে শুরু করে সম্পাদনা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই তাঁর পেশাদারি দক্ষতা তাঁকে অনন্য এক সংবাদসৈনিকের মর্যাদার আসনে আসীন করে।
সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতাচর্চার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতার সোনালি অধ্যায় থেকে পেশাগত জীবন-দর্শনের মর্ম সন্ধান করা যায়।
স্যারের ভাষায়, ‘দৈনিক বাংলায় কাজ করার সময় আমরা জানতাম, সত্য লিখতে গেলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। তবু লিখেছি, কারণ ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধতা ছিল।’
ছাত্রাবস্থাতেই সাখাওয়াত আলী খান সাংবাদিকতা শুরু করেন। প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি সাংবাদিকতার মূল স্রোতে কাজ করেছেন।