বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা পাঁচ বছর পর দলে ফিরলেন
Published: 2nd, December 2025 GMT
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করে পাঁচ বছর আগে আজীবন বহিষ্কৃত হন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ সরোয়ার। তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ইতিপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ সরোয়ার কালামকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রাথমিক সদস্য পদে পুনর্বহাল করা হলো।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে পটুয়াখালীতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক সভায় বক্তব্যে ওয়াহিদ সরোয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করেন। সেখানে জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি মজিবুর রহমানসহ বিএনপিপন্থী একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। তাঁর ওই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনা হয়। পরে ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় বিএনপি তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
পদ ফিরে পাওয়া ওয়াহিদ সরোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৮ সালে জাতীয়তাবাদী আইন ফোরামের একটি সভা চলছিল। তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। সভা চলাকালে র্যাব-পুলিশ সভাস্থল ঘিরে ফেলে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বক্তব্য দিতে বাধ্য হই।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা চেয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি নেতানিয়াহুর
দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতির মামলা থেকে মুক্তি পেতে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রবিবার এই ক্ষমা প্রার্থনার পক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ফৌজদারি মামলা তার শাসন ক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করছে এবং ক্ষমা ইসরায়েলের জন্য ভালো হবে।
ইসরায়েলে দীঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পাঁচ বছর ধরে ঘুষ, জালিয়াতি এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে মামলা চলছে। তবে নেতানিয়াহু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে নেতানিয়াহুর আইনজীবীরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এখনো বিশ্বাস করেন যে আইনি প্রক্রিয়ার ফলে তিনি সম্পূর্ণ খালাস পাবেন।
নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক দল লিকুদ প্রকাশিত একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, “আমার আইনজীবীরা আজ দেশের প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি অনুরোধ পাঠিয়েছেন। আমি আশা করি দেশের মঙ্গল কামনাকারী যে কেউ এই পদক্ষেপকে সমর্থন করবেন।”
প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগের অফিস জানিয়েছে, অনুরোধটি গৃহীত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি মাসের শুরুতে হার্জোগকে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা করার কথা বিবেচনা করার জন্য তাকে অনুরোধ করেছেন। ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মামলাটি ‘একটি রাজনৈতিক, অযৌক্তিক মামলা।’
ঢাকা/শাহেদ