চার দাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম নগরের ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও চট্টগ্রামের ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবসার উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

পাবনায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি

পাবনায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা

যেসব স্কুলে পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে, সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ডা.

খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সিটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল।

ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবসার উদ্দিন জানান, কর্মবিরতির কারণে পরীক্ষা স্থগিত আছে। বন্ধের দিন শুক্র ও শনিবার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। ডিসেম্বরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। 

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা যায়, চার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে। তাদের দাবিগুলো হলো- সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেট প্রকাশ। শূন্য পদে নিয়োগ। পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান। সহকারী শিক্ষকদের অগ্রিম বেতন সুবিধা পুনর্বহাল করে গেজেট প্রকাশ।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শোবার ঘরকে বানাল জাদুঘর

চীনের হেনান প্রদেশের ১৪ বছর বয়সী কিশোর শিয়ে ঝাওইউতং নিজের ছোট্ট শোবার ঘরকে এক ব্যতিক্রমী ইতিহাস জাদুঘরে পরিণত করেছে। প্রাচীন চীনের ইতিহাস ও সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ থেকে সে বছরের পর বছর ধরে সংগ্রহ করেছে নানা সামগ্রী। এতে রয়েছে মাটির পাত্র, চিনামাটি, প্রাচীন ইট, পুরোনো মুদ্রা, এমনকি তিন হাজার বছরের পুরোনো যুগের নিদর্শন।

ঝাওইউতংয়ের ঘরে বিছানা ছাড়া বাকি সব জায়গা দখল করে আছে এসব সংগ্রহ। সে নিজেই বলেছে, ‘বিছানাটা আমার দেহের, আর বাকি ঘর আমার আত্মার পাত্র।’

সম্প্রতি নিজের সংগ্রহ নিয়ে তৈরি ঝাওইউতংয়ের এক ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, যেকোনো একটি জিনিস বা বস্তু ধরে তার যুগ, পটভূমি ও ইতিহাস ব্যাখ্যা করছে সে। ভিডিওটি লাখো মানুষের মন কেড়েছে। অনেকে তাকে ‘প্রাচীন আত্মাধারী বালক’ বলে অভিহিত করেছেন।

ঝাওইউতংয়ের সংগ্রহের মধ্যে হান সাম্রাজ্য যুগে (খ্রিষ্টপূর্ব ২০৬ থেকে খ্রিষ্টাব্দ ২২০) কবরে ব্যবহারের মাটির চুলা, স্প্রিং অ্যান্ড অটাম এবং ওয়ারিং স্টেটস যুগের (খ্রিষ্টপূর্ব ৭৭১ থেকে ২২১ সাল) বিরল ‘স্পেড কয়েন’ বা কোদাল আকৃতির পয়সা রয়েছে।

এ ধরনের একটি মুদ্রা কিনতে সাধারণত কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার ইউয়ান খরচ করেছে ঝাওইউতং। সে জানায়, তার সংগ্রহে থাকা স্পেড কয়েনটি ‘গড় মানের’। এসব দুর্লভ প্রাচীন জিনিস কেনার জন্য সে নিজের জমানো অর্থ খরচ করে। এ জন্য সে কৃচ্ছ্র সাধন করে। ছিদ্র হয়ে গেলেও নতুন মোজা কেনে না। তবে কিছু জিনিস সে বিনা খরচে সংগ্রহ করেছে, যেমন লুয়োয়াং ভ্রমণের সময় হান যুগের ইটটি সে ঘাসের মধ্যে পেয়েছিল। তবে তার সংগ্রহে কত প্রাচীন জিনিস বা বস্তু আছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ছয় বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে ঝেংঝৌ মিউজিয়ামে ঘুরতে গিয়ে ইতিহাসের প্রেমে পড়ে ঝাওইউতং। পরে ‘চায়নিজ পোয়েট্রি কম্পিটিশন’ টিভি অনুষ্ঠানে পরিচিত এক বন্ধুর অনুপ্রেরণায় নিজের ঘরকে জাদুঘর বানানোর ধারণা পায়।

ইতিহাসের পাশাপাশি প্রাচীন ‘অরাকল বোন লিপি’র প্রতিও ঝাওইউতংয়ের গভীর আগ্রহ রয়েছে, যা চীনের সবচেয়ে প্রাচীন লিখনপদ্ধতি। তার সংগ্রহে নকল অরাকল বোন লিপিও আছে, যা শিয়ে নিজে খোদাই করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ