পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। শহরটি ইউক্রেন থেকে দনবাস অঞ্চলের প্রবেশদ্বারের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ একটি লজিস্টিক হাব হিসেবেও পরিচিত। দীর্ঘদিনের লড়াই শেষে রুশ বাহিনী এই দাবি করল।

রবিবার (২ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ওই শহর ও হাবটিতে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র লড়াই চলছিল। এটির দখল নিতে রাশিয়ার অনেক সেনা নিহত ও আহত হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের অসংখ্য সেনাও প্রাণ হারিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা: রাশিয়ার ২ ট্যাংকারে আগুন

কিয়েভের আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার ড্রোন হামলা

যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন ও ইউক্রেনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এর কয়েক ঘণ্টা পরই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি দখলের দাবি করে ক্রেমলিন। 

সোমবার (১ ডিসেম্বর) টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে পোকরোভস্ক শহর দখলের তথ্য জানায় ক্রেমলিন। রুশ সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে উদ্ধৃত করে পোস্টে আরো বলা হয়, খারকিভ অঞ্চলের ভভচানস্ক শহরটিও রুশ বাহিনী দখল করেছে।

রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস-এর খবর অনুসারে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রবিবার গভীর রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফ্রন্টলাইনের একটি কমান্ড সেন্টার পরিদর্শন করার সময় ‘মুক্তির’ খবরটি প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন পেরাসিমভ। 

পোকরোভস্ক দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি বড় পরিবহন কেন্দ্র। পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের মধ্যে একটি রাশিয়া নিজেদের দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছে।

একসময় ৬০ হাজার মানুষের বাসস্থান এই শহরটিতে দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ান ড্রোন, কামান ও বোমাবর্ষণ ফলে অনেক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

ইউক্রেন এখনও রাশিয়ার শহর দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তবে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মস্কো পোকরোভস্কের রাস্তায় সৈন্যদের মিছিল করে রাশিয়ার পতাকা উড়িয়ে দেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করেছে।

রুশ বার্তা সংস্থা তাস-এর খবর অনুসারে, পুতিন পরে রাশিয়ান বাহিনীকে তাদের বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন ইউক র ন র দখল র

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তান-আফগানিস্তান-মিয়ানমার থেকে দূতাবাস গুটিয়ে নিচ্ছে ফিনল্যা

ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড এক ঘোষণা বলেছে, তারা ‘কৌশলগত ও কার্যক্ষমতাগত’ কারণে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মিয়ানমারে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেবে। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  

আরো পড়ুন:

১২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত

সম্প্রতি জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিনা ভাল্টোনেন বলেছেন, “২০২৬ সাল থেকে ইসলামাবাদ, কাবুল এবং ইয়াঙ্গুনে ফিনল্যান্ডের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “কার্যক্ষমতাগত ও কৌশলগত কারণে দূতাবাসগুলো বন্ধ থাকবে, যা দেশগুলোর রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং ফিনল্যান্ডের সঙ্গে তাদের সীমিত বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত।” 

এতে আরো বল হয়, “ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের জারি করা একটি ডিক্রির মাধ্যমে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনটি দেশের দূতাবাস বন্ধ করার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে এবং ২০২৬ সালে দূতাবাসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফিনল্যান্ডের মিশন নেটওয়ার্কের ‘কৌশলগত পর্যালোচনা’ এর অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এতে ফিনল্যান্ডের বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতির স্বার্থ এবং ফিনল্যান্ডের রপ্তানি প্রচার কার্যক্রমের চাহিদা বিবেচনা করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, “এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ফিনল্যান্ডের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত করা।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিনা ভাল্টোনেন বলেন, “আমাদের অপারেটিং পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলো আমাদের একটি শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামূলক ফিনল্যান্ড গড়তে এবং আমাদের অগ্রাধিকার অনুযায়ী বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।”

এর আগে, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে ফিনল্যান্ড ২০১২ সালেও পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু পরে ২০২২ সালে মিশনটি পুনরায় চালু করা হয়।

২০২৩ সালে, সুইডেনও নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণ উল্লেখ করে ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের পররাষ্ট্রনীতি কি ‘অকার্যকর’ প্রমাণিত হচ্ছে
  • পাকিস্তান-আফগানিস্তান-মিয়ানমার থেকে দূতাবাস গুটিয়ে নিচ্ছে ফিনল্যা