কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলায় বাড়ির উঠান থেকে দুই বছর বয়সী শিশুকে টেনে নিয়ে গেছে একটি শিয়াল। পরে শিয়ালের কামড়ে মারা যায় শিশুটি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পুঁথিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া শিশু হুমাইরা আক্তার পুঁথিপাড়া এলাকার অটোরিকশাচালক হুমায়ুন কবিরের মেয়ে।

সন্তানের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, সন্ধ্যায় হুমাইরা তার চাচা গোলাম মোস্তফার ঘর থেকে খেলাধুলা করে নিজেদের ঘরে ফিরছিল। এ সময় পরিবারের কেউ বুঝে ওঠার আগেই বাড়ির উঠান থেকে শিশুটিকে টেনে নিয়ে যায় শিয়াল। পরে খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির অদূরে ঝোঁপে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট হুমাইরা।

শিশুটির ভাবি মর্তুজা বেগম বলেন, সন্ধ্যার নামাজের পর ঘরের সামনে দিয়ে দুটি শিয়াল যেতে দেখেছিলেন তিনি। পরে হুমাইরার মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ধারণা করেন ওই শিয়াল দুটিই শিশুটিকে টেনে নিয়ে গেছে। হুমাইরার পুরো শরীরেই শিয়ালের কামড়ের দাগ ছিল ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, বছরখানেক আগেও একই এলাকায় শিয়ালের আক্রমণে আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয়। আগে এলাকায় বনজঙ্গল ও আখখেত বেশি থাকায় শিয়ালের খাদ্যের অভাব ছিল না। এখন জঙ্গল কমে যাওয়ায় লোকালয়ে শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে গেছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিশুটির জন্য এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৯ মার্চ পার্শ্ববর্তী তেরহাসিয়া গ্রামের মো.

লিংকনের দুই বছর বয়সী ছেলে মো. আরাফকে বাড়ির উঠান থেকে টেনে নিয়ে যায় শিয়াল। পরে বাড়ির পাশেই শিশুটির মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

জেনারেলরা কীভাবে ইমরানকে চুপ করিয়ে দিচ্ছেন

দুই বছর কারাগারে থেকেও ইমরান এখনো দমে যাননি। তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে জোরালো বিরোধী কণ্ঠ। একই সঙ্গে সেনাবাহিনী ও সরকারের বড় মাথাব্যথাও। সেনাবাহিনী ও সরকার চেষ্টা করছে ইমরানকে টেলিভিশনের খবর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, জনগণের স্মৃতি—সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে। এমনকি তাঁর নাম নেওয়াও নিষেধ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ