৫ ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড ছুঁলেন তানজিদ
Published: 2nd, December 2025 GMT
আয়ারল্যান্ডকে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আইরিশ ব্যাটসম্যানরা ছিলেন দিশেহারা। মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
বোলারদের বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংও ছিল দারুণ। গ্রাউন্ডস ফিল্ডিংয়ে উন্নতি হয়েছে বোঝা গেল তানজিদ হাসান তামিমের বিশ্ব রেকর্ড ছোঁয়াতে। ফিল্ডিংয়ে ৫ ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডারদের ৫ ক্যাচ নেওয়ার যৌথভাবে বিশ্ব রেকর্ড এটি। এর আগে মালদ্বীপের ওয়েডাগে জানাকা মালিন্দা কাতারের বিপক্ষে দোহায় ও সুইডেনের সেদিক সাহাক ম্যাচে ৫টি করে ক্যাচ নিয়েছেন। তানজিদ তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই ক্লাবে ঢুকলেন।
আরো পড়ুন:
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে মামুলি টার্গেট ছুড়ল আয়ারল্যান্ড
শেষ ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে তিন পরিবর্তন
তবে তানজিদের শুরুর ফিল্ডিং যুৎসই ছিল না। ইনিংসের শুরুতে আলগা ফিল্ডিংয়ে একটি চার বেরিয়ে যায় তার হাতের নিচ দিয়ে। এরপর সতর্ক হয়ে যান তানজিদ। দারুণ মনোযোগী হয়ে কোনো ভুল না করে ৫ ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের পাতায় তিনি। ইনিংসের শেষ ৫ ক্যাচের প্রতিটি নেন তানজিদ। গ্যারেথ ডেলানিকে দিয়ে শুরু। রিশাদের বলে ডেনালির ক্যাচ দেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে।
এরপর মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মার্ক অ্যাডায়ার ক্যাচ দেন লং অনে। অনেকটা পথ দৌড়ে সামনে এসে ক্যাচ নেন তানজিদ। ওই ওভারেই ম্যাথু হ্যামপ্রিস ক্যাচ দেন একই ঠিকানায়। শেষ দুই ওভারে জর্জ ডকরেল ও বেন হোয়াইটকে লুফে নিয়ে তানজিদ ‘৫ ক্যাচের’ কোটা পূরণ করেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ব র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ আদায়ে ফেসবুকে বন্ধুত্ব, ব্যর্থ হয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় নোয়াখালী আমির হোসেনের (২৫)। ঢাকায় আসেন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে। একপর্যায়ে কৌশলে তাঁকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। মুক্তিপণ চাওয়া হয় পরিবারের কাছে। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে হত্যা করা হয় আমিরকে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগীর ফেসবুক বন্ধুসহ দুজনকে মৃতুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তারেক ওরফে তারেক আহম্মেদ ও হৃদয় আলী। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রাসেল সরদারকে। একই সঙ্গে তিনজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এ রায় দেন। এ ছাড়া অপহরণের দায়ে এই তিন আসামিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁদের উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। অপর আসামি পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার আশকোনা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন আমির হোসেন। এরপর কয়েক মাস বিভিন্ন স্থানে তাঁর পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান পায়নি। পরের বছরের ১৩ এপ্রিল তাঁর বড় ভাই বেল্লাল হোসেন দক্ষিণখান থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এরপর অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে আমির হোসেনের বস্তাবন্দী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী আমিরের সঙ্গে তারেকের ফেসবুকে পরিচয় হয়। ২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী উত্তরায় আসার কথা তারেককে জানান। বিকেলের দিকে তারেক গাজীপুরের চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা করেন এবং সন্ধ্যায় খাওয়াদাওয়া করেন। খাওয়া শেষে কোমল পানীয়র সঙ্গে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ মেশান। রিকশায় করে বাসায় যেতে যেতে সেটা ভুক্তভোগীকে খাওয়ান। আমির বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। দুই থেকে তিন দিনেও তাঁর ঘুম না ভাঙায় এ সুযোগে তাঁর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চাওয়ার কৌশল নেন তারেক। কিন্তু ভুক্তভোগীর পরিবার টাকা না দেওয়ায় ৫০ কেজি ওজনের আটার বস্তার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আমিরকে হত্যা করেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, তারেক একটি সমকামী গ্রুপের সদস্য বলে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রাসেল সরদার জানান। তাঁরা দীর্ঘদিন কৌশলে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছেলেদের এনে মুক্তিপণ দাবি করতেন।