চট্টগ্রামে আজ আয়ারল্যান্ডের আউট হওয়া শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানই ক্যাচ দিয়েছেন তানজিদ হাসানকে। আর তাতেই বিশ্ব রেকর্ড হয়ে গেছে। টেস্ট খেলুড়ে দেশের প্রথম ফিল্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে ৫টি ক্যাচ নেওয়ার কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। বিশ্ব রেকর্ডও এটি, সেই রেকর্ডে তানজিদের সঙ্গী আছেন আরও দুজন। এদের একজন মালদ্বীপের ওয়াদাগে মালিন্দা, আরেকজন সুইডেনের সেদিক সাহাক।

২০২৩ সালে কাতারের দোহায় ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে কাতারের বিপক্ষে ৫টি ক্যাচ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। গত সেপ্টেম্বরে আইল অব ম্যান সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫টি ক্যাচ নেন সাহাক।

আজ রেকর্ড ছোঁয়ার পথে চারটি ক্যাচই লং অনে নিয়েছেন তানজিদ। প্রথম ক্যাচটি নিয়েছেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে রিশাদ হোসেনের বলে গ্যারেথ ডেলানির ক্যাচ নিয়ে রেকর্ডের পথে যাত্রা শুরু তানজিদের। এরপর মোস্তাফিজুর রহমানের করা ১৮তম ওভারের তৃতীয় ও ষষ্ঠ বলে মার্ক অ্যাডাইরের ক্যাচ নেন। জর্জ ডকরেলকে ১৯তম ওভারে ফেরানোর পর শেষ ওভারের বেন হোয়াইটের ক্যাচ নিয়ে রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন তানজিদ।

ক্যাচ নিচ্ছেন তানজিদ হাসান, এমন দৃশ্য আজ দেখা গেছে পাঁচবার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ব র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থী পরিচয়ে প্রতারণা, বাসাভাড়া নিয়ে দেড় বছর ক্যাম্পাসেই থেকেছেন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়ে নিয়েছিলেন বাসাভাড়া। নিজেকে কখনো বাংলা বিভাগ আবার কখনো মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে যুক্ত হয়েছিলেন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠনেও। একাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নিয়েছিলেন ঋণ। এক বছর এভাবে চলার পর অবশেষে ধরা পড়েছেন তিনি।

ধরা পড়া ওই ব্যক্তির নাম সীমান্ত ভৌমিক (১৯)। তিনি খুলনা জেলার সদর উপজেলা বাসিন্দা। তিনি ২০২৪ সালের জুনে শিক্ষার্থী পরিচয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। এরপর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। তবে এক বছরে তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়েরই কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁকে হাতে নাতে ধরেন। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সোপর্দ করেন।

জানতে চাইলে ভুয়া পরিচয় শনাক্ত করা অন্যতম শিক্ষার্থী যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মো. ইখলাস বিন সুলতান বলেন, কিছুদিন ধরে আচরণগত অসংগতি ও বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা চাওয়ার ঘটনায় সীমান্তের বিষয়ে তাঁদের সন্দেহ হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে কৌশলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর এক পর্যায়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।

দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি আর সীমান্ত দুজনই দক্ষিণ ক্যাম্পাসে পাশাপাশি ভাড়া বাসায় থাকতাম। সে সুবাদে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়। সন্দেহজনক আচরণের কারণে আজ আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তিনি মেরিন সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও বিভাগে কেউ তাঁকে চেনেন না। তাই আমরা তাঁকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সোপর্দ করি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন অনেক সচেতন। তাঁদের উদ্যোগেই দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী সেজে ঘুরে বেড়ানো সীমান্তকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, সে বহুজনের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত। তাঁকে নিরাপত্তা দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া শিক্ষার্থী শনাক্ত হওয়ার ঘটনা এবার প্রথম নয়। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর রাতেও মোহাম্মদ মিনহাজ নামের একজনকে আটক করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তিনি অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিতেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ