হবিগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থী বদল, মনোনয়ন পেলেন সাংবাদিক অলিউল্লাহ
Published: 2nd, December 2025 GMT
হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া মুখলিছুর রহমান নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আজ মঙ্গলবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে একই আসনে দলের প্রার্থী সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে সমর্থন জানান।
আজ নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে জেলা জামায়াতের আমির মুখলিছুর রহমান লেখেন, মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি নিয়মিত গণসংযোগ করেছেন এবং স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘সাধারণ মানুষের এই ভালোবাসা আমার রাজনৈতিক জীবনের বড় সম্পদ।’
মুখলিছুর রহমান আরও লেখেন, রাজনৈতিক বাস্তবতা ও সংগঠনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত বিবেচনায় কেন্দ্রীয় সংগঠন তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অলিউল্লাহ নোমানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠনের প্রতি সম্মান ও আনুগত্য থেকে তিনি সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
অলিউল্লাহ নোমান দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক। সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত থাকলেও তিনি দীর্ঘ সময় যুক্তরাজ্যে বসবাস করে আসছিলেন। গত বছর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি দেশে ফেরেন।
হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী মোশাহেদ আহমদ বলেন, ‘সংগঠনের স্বার্থই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। মাঠের বাস্তবতা, প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও কৌশলগত বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। মাওলানা মুখলিছুর রহমান সংগঠনের নিষ্ঠাবান কর্মী। তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন এবং জামায়াতের মনোনীত অলিউল্লাহকে সমর্থন দিয়ে সরে এসেছেন। নোমান প্রবাসে থাকলেও দেশের রাজনীতির সঙ্গে তিনি নিয়মিত যুক্ত ছিলেন। তাঁকে নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া আছে। আমরা আশাবাদী, এই আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ভালো ফল করবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তান-আফগানিস্তান-মিয়ানমার থেকে দূতাবাস গুটিয়ে নিচ্ছে ফিনল্যা
ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড এক ঘোষণা বলেছে, তারা ‘কৌশলগত ও কার্যক্ষমতাগত’ কারণে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মিয়ানমারে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেবে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
১২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত
সম্প্রতি জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিনা ভাল্টোনেন বলেছেন, “২০২৬ সাল থেকে ইসলামাবাদ, কাবুল এবং ইয়াঙ্গুনে ফিনল্যান্ডের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “কার্যক্ষমতাগত ও কৌশলগত কারণে দূতাবাসগুলো বন্ধ থাকবে, যা দেশগুলোর রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং ফিনল্যান্ডের সঙ্গে তাদের সীমিত বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত।”
এতে আরো বল হয়, “ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের জারি করা একটি ডিক্রির মাধ্যমে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনটি দেশের দূতাবাস বন্ধ করার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে এবং ২০২৬ সালে দূতাবাসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফিনল্যান্ডের মিশন নেটওয়ার্কের ‘কৌশলগত পর্যালোচনা’ এর অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এতে ফিনল্যান্ডের বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতির স্বার্থ এবং ফিনল্যান্ডের রপ্তানি প্রচার কার্যক্রমের চাহিদা বিবেচনা করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, “এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ফিনল্যান্ডের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে সম্পদ কেন্দ্রীভূত করা।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিনা ভাল্টোনেন বলেন, “আমাদের অপারেটিং পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলো আমাদের একটি শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামূলক ফিনল্যান্ড গড়তে এবং আমাদের অগ্রাধিকার অনুযায়ী বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।”
এর আগে, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে ফিনল্যান্ড ২০১২ সালেও পাকিস্তানে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু পরে ২০২২ সালে মিশনটি পুনরায় চালু করা হয়।
২০২৩ সালে, সুইডেনও নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণ উল্লেখ করে ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।
ঢাকা/ফিরোজ