কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ তারকারা
Published: 2nd, December 2025 GMT
পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮টি সদ্যোজাত কুকুরছানাকে পুকুরে ফেলে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফুঁসে উঠেছেন নেটিজেনরা। এ নিয়ে জোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারা। কেবল তাই নয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। কঠোর শাস্তি দাবি করে জয়া আহসান লেখেন, “ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরের বাচ্চাকে মেরে ফেলল নির্দয়, নিষ্ঠুর, মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ! খুনির কঠোরতম শাস্তি চাই।”
আরো পড়ুন:
বাস থেকে ফেলে দেওয়া যাত্রীর মৃত্যু, থানায় মামলা
খুলনায় আদালত পাড়ায় জোড়া খুন: ৪ বিষয় সামনে রেখে তদন্তে পুলিশ
ঈশ্বরদীর ঘটনায় দারুণভাবে আহত হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা নিলয় আলমগীর। ফেসবুক পোস্টে এই নায়ক লেখেন, “ঈশ্বরদীতে ৮টা কুকুরের বাচ্চা বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দিয়েছে একজন সরকারি কর্মকর্তা অথবা তার স্ত্রী। মা কুকুরটা মৃত বাচ্চাগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। একটাবার চিন্তা করে দেখুন তো, বস্তার ভিতরে বাচ্চাগুলো পানির মধ্যে কেমন করছিল, বাঁচার জন্য কত চেষ্টা করছিল, কতটা কষ্ট পেয়ে বাচ্চাগুলো মারা গিয়েছে।
শাস্তি দাবি করে নিলয় আলমগীর লেখেন, “এখন মা কুকুরটার কতটা কষ্ট হচ্ছে। মা কুকুরটার বুকের দুধ খাওয়াতে না পারলে ব্যথা শুরু হবে, হয়তো মা কুকুরটাও মারা যাবে বুকের দুধ কোনো বাচ্চাকে খাওয়াতে না পেরে। এই হত্যাকান্ডের জন্য খুনির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
ঈশ্বরদীর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। ফেসবুক পোস্টে এ অভিনেত্রী লেখেন “এটি হৃদয়বিদারক। এই নিষ্ঠুর লোকদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ট ভ ন টক চলচ চ ত র র ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে ‘রোড শো’ করবে বিএনপি, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ‘বিজয় মশাল রোড শো’। এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া
ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে শত্রু মনে করা হয়: ফখরুল
তিনি জানান, ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরে বিজয় মশাল রোড শো এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিভাগে মশাল বহন করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন জুলাইযোদ্ধা।
১৬ ডিসেম্বর ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিজয় মশাল রোড শো। এতে পরিবেশিত হবে বিএনপির থিম সং, 'সবার আগে বাংলাদেশ'।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বিজয় মশাল যাত্রা শুরু করবে। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে একই দিন চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানে পৌঁছাবে। বিজয় মিছিলের মশাল বহন করবেন ১৯৭১ সালের একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০১৪ সালের একজন জুলাইযোদ্ধা। আমরা মনে করি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দেশের স্বাধীনতা অর্জনের আর ২০২৪ হলো দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার।”
বিএনপি মহাসচিব জানান, দুই সপ্তাহের এই বিশেষ 'রোড শো' উদযাপনের সময় বিভিন্ন বিভাগের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধের গান, দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের নির্বাচিত অংশ প্রচার, জাসাসের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারি প্রদর্শন হবে।
একইসঙ্গে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি।
তিনি জানান বিভাগ ঘুরে বিজয় মশাল সবশেষে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। একইদিন ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে 'বিজয়ের মাসে বিজয় মশাল রোড শো'। বিজয় মাস উপলক্ষে এই বিশেষ কর্মসূচি ছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচি উদযাপিত হতে থাকবে।
ঢাকা/রায়হান/সাইফ