চলচ্চিত্রে জয়া আহসান যেন প্রতিটা রূপেই দর্শকদের জন্য আলাদা চমক। পর্দায় যেমন, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি যেন আলো-ছায়ার অনন্য মিশেল। এবার আলো কিংবা ক্যামেরা—কোনো কিছুরই প্রয়োজন হয়নি। একেবারেই ঘরোয়া, একেবারেই নিজের মতো জয়া হাজির হলেন ভোরের লুকে।

তার শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, বাহারি সবুজে ভরা তার ছাদবাগান। লাউ, লেবু, ফুল-সবুজে যেন ছোট্ট এক স্বর্গ। ভিডিওতে লাউ তুলতে তুলতেই অকপটে হেসে জয়া বলে ফেললেন, “সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মুখ না ধুয়ে চলে এসেছি, আমার মাথায় তেল!” 

আরো পড়ুন:

পাওনা দিতে পারলে শিল্পটা আজ হারিয়ে যেত না: জয়া

‘মানুষ বলে, আমার পুরো শরীর প্লাস্টিক সার্জারি করা’

এই এক বাক্যেই যেন কোটি টাকার গ্ল্যামার ভেঙে পড়ে চরম বাস্তবতা। ভক্তদের সবচেয়ে বেশি আপন করে নেয়। ক্যাপশনে জয়া লিখেছেন অ্যালিস বি.

টোকলাসের বিখ্যাত উক্তি, “নিজ হাতে ফলানো সবজি তোলার মতো সন্তোষজনক বা রোমাঞ্চকর আর কিছুই নেই।” 

মন্তব্যের ঘরে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। মো. আবু বায়েজিদ এসকে লিখেন, “আপনার এত ব্যাস্ততার ভিতর বাগানের পিছনে যে সময় দেন তা আমাদের অনেকের জন্য অনুকরণীয়। জানি না এই লেখা আপনার নজরে আসবে কি না। আমার কাছে একটা মরিচের ভ্যারাইটি আছে যেটা বিশ্বের সব থেকে দামি মরিচ হিসেবে স্বীকৃত, ‘আজি চারপিতা মরিচ’। আপনি আগ্রহী হলে পাঠিয়ে দিতে পারব।” এর উত্তরে জয়া লিখেন, “অবশেষ ধন্যবাদ, মরিচ চারা পেতে অবশ্যই আগ্রহী।”  

গ্ল্যামারের আড়ালে তার এই সাদামাটা মাটির টান দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। তারকা হয়েও প্রকৃতির সঙ্গে এত নিবিড় সম্পর্ক, খালি মুখে-তেলে মাথায় ছাদে ছুটে যাওয়া—এই সরলতা যেন দারুণভাবে ছুঁয়ে গেছে ভক্তদের মন।  

বাগান পরিচর্যার ফাঁকে জয়া জানান, তার ছাদবাগানের একটি বিশেষ লেবু গাছের গল্পও—এটি তাকে উপহার দিয়েছিলেন তাদের লাইটম্যান নান্নু ভাই, তিনি গাছটি এনেছিলেন বাগেরহাট থেকে। একটি ফুলগাছের মরে যাওয়া ফুল আর ছোট্ট শিম গাছের কথাও জানান জয়া।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জয় আহস ন চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

খালেদা জিয়া দুঃশাসনের নিপীড়নের শিকার হয়েও আপোষ করেননি : মামুন মাহমুদ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি তাঁর সারাটা জীবন এদেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য উৎসর্গ করেছেন।

তিনি বলেছেন, এই দেশ আমার, এই মাটি আমার, এই মানুষ আমার। আমি তাদের ছেড়ে কোথাও যাবো না এবং তিনি যাননি। তিনি দুঃশাসনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন কিন্তু আপোষ করেননি।

তিনি তার আরাম-আয়েশ, সন্তান, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। জালিমরা তাকে চিকিৎসার সুযোগও দেয়নি।

আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করবো এদেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে সেটা যেন তিনি দেখে যেতে পারেন। আমরা নফল রোজা এবং ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে তাঁর হায়াত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রার্থনা করবো। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ফতুল্লায় থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে বিশেষ দোয়া মাহফিলে প্রথান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে নয়ামাটি এলাকায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে খাবার বিতরণ করা হয়।

থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভুঁইয়ার সঞ্চালনায় মিলাদ মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব হাফেজ মামুন, ফতুল্লার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ এবং অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ