সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-ভাতা যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে গত ২৭ জুলাই ২০২৫ অন্তবর্তীকালীন সরকার নবম জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়নে কমিশন গঠন করে গেজেট প্রকাশ করে। ঠিক তখন থেকেই বড় সুখবরের প্রত্যাশায় সময় অতিবাহিত করছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। কেননা, সরকার কর্তৃক গঠিত প্রতিটি বেতন কমিশন সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করে থাকে। দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত আটটি পে-স্কেল বাস্তবায়িত হয়েছে। পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বোচ্চ আট বছরের ব্যবধানে নতুন পে-স্কেল ঘোষণা হয়েছে। ফলে এক দশক পরে নবম জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়ন হলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে ও জীবনের অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন সহজেই মেটাতে পারবে। 

জীবনের মৌলিক অধিকারকে অস্বীকার করে পালিয়ে বাঁচা যায় না। জীবনের মৌলিক প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা বিলাসিতা নয় বরং জীবনের অপরিহার্য বাস্তবতা! বর্তমান বাস্তবতায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অসুস্থ মা-বাবার চিকিৎসা ব্যয়, সন্তানদের শিক্ষা ব্যয় মেটাতে সরকারি কর্মচারীর মাস শেষে হিমশিম খেতে হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতে মাসের অর্ধেক গেলেই পকেট হয় ফাঁকা। বর্তমানে ২০তম গ্রেডের একজন কর্মচারীর সর্বসাকুল্যে ১৬ হাজার টাকা বেতন দিয়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা রীতিমতো অসম্ভব। শহরে বাসা ভাড়ার সাথে আনুষঙ্গিক বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট, পানি, সন্তানের স্কুলের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি’র কারণে প্রতি মাসে ধার-দেনা তাদের লেগেই থাকে। শুধু সোনার হরিণ সরকারি চাকুরির বেশভূষায় নিজেকে সান্ত্বনা দিতে হয়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পাগলা ঘোড়া থামাতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় সরকারকে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) তথ্যমতে, ২০১৭ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৮.

৪৪ শতাংশ ও পণ্যমূল্য ও সেবা-সার্ভিসের মূল্য বেড়েছে ৭.১৭ শতাংশ। একইভাবে ২০১৮ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ শতাংশ এবং পণ্যমূল্য ও সেবা-সার্ভিসের মূল্য বেড়েছে ৫.১৯ শতাংশ। প্রায় কাছাকাছি ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে ২০১৯ সালে, ৬.৫০ শতাংশ ও সেবা-সার্ভিসের মূল্য বেড়েছে ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২১ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছিল ৬.৯২ শতাংশ এবং ২০২২ সালে বেড়েছে ১০.০৮ শতাংশ। শুধু ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার হার ৩.১৬ শতাংশ।

সর্বশেষ ২০১৫ সালের অষ্টম পে-স্কেলে সর্বোচ্চ বেতন ৭৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন বেতন ছিল ৮ হাজার ২৫০ টাকা। হিসাব মতে প্রতি ৫.৫ বছর পরপর একটি নতুন স্কেল এসেছে। কর্মজীবী সংগঠনগুলি মনে করে, গত ১১ বছরে অন্তত দুটি স্কেল ঘোষিত হওয়া উচিত ছিল। এ বিষয়ে সচিবালয়ের ১১-২০তম গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম মনে করে, বাজারের বাস্তবতা অনুযায়ী সর্বনিম্ন মূল বেতন হওয়া উচিত ৩২ হাজার এবং সর্বোচ্চ বেতন হওয়া উচিত ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। অথচ এমন বাস্তবতায়ও নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের ধোঁয়াশা যেন কাটছেই না।

সর্বশেষ পে-স্কেল ২০১৫ সালে প্রণীত হলেও তৎকালীন বাস্তবতায় এ বেতন ছিল বেশ আশাব্যঞ্জক। স্বাচ্ছন্দ্যে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য কিছু সঞ্চয় করা সম্ভব ছিল। তখনকার বিবেচনায় দ্রব্যমূল্যের দাম তিন চারগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সিপিএফ ভেঙে সরকারি কর্মচারীরা জীবিকা নির্বাহ করছে। এতে অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। 

দেশের বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন জীবন বাঁচানোর চরম বাস্তবতায় নিম্ন ও উচ্চ গ্রেডের মধ্যে বেতনের ব্যবধান কমাতে তারা ১:৪ অনুপাতে একটি বেতন কাঠামো তৈরির পাশাপাশি গ্রেড সংখ্যা কমিয়ে মোট ১২টি গ্রেডে সীমিত করার প্রস্তাব করেছে। একইসাথে তারা মূল্যস্ফীতির হার অনুযায়ী বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছে। পাঁচ বছর পর পে-স্কেল দেওয়ার বিধান থাকলেও তা না-হওয়ায় ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যের বাজারে এ চাহিদা মোটেও অযৌক্তিক নয়। তবে বেতন বৃদ্ধির অনুপাত কত হবে এ বিষয়ে বিস্তর গবেষণা হলেও কর্মচারীদের অতি সাধারণ জীবন নির্বাহের জন্য বর্তমান বেতন কাঠামোর যৌক্তিক সংস্কারকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে। দীর্ঘদিন পে-স্কেল না হওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে ও তাদের কর্মউদ্দীপনা দিনদিন কমে যাচ্ছে। তারা আশা করছেন, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার তাদের এই যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করবে ও প্রস্তাবিত ৯ম পে-স্কেল চলতি অর্থবছরেই কার্যকর করবে। 

করোনাভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে আজ আমাদের বাজার ব্যবস্থা আরও নাজুক হয়েছে। সেসময় করোনাভাইরাসের অজুহাতে দাম বৃদ্ধি হলেও নানান অজুহাতে দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বাড়ছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির তথ্য মতে, দেশে গত পাঁচ বছরে শুধু ভোগ্যপণ্যের দাম ৩১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা এফএও’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে বিশ্বে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে সর্বনিম্ন হয়েছে। এই সময়ে চাল ও চিনি ছাড়া বিশ্ববাজারে প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দামই কমেছে। অথচ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে; যা গত ১২ বছরের মধ্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সর্বোচ্চ রেকর্ড।

নিকট অতীতেও রাজনৈতিক দলের সরকারের শাসনামলে বেতন বৃদ্ধি করার দাবিটি অল্পবিস্তর শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে জুলাই গণঅভ্যুথান পরবর্তী অন্তবর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে যৌক্তিক সংস্কারের ইশতিহারে নানাবিধ দিকে মনোনিবেশ করেন, যার একটি জাতীয় পে কমিশন গঠন। এরপর গত ১ থেকে ১৫ অক্টোবর ২০২৫ সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার শ্রেণিতে প্রশ্নমালার মাধ্যমে কমিশন অনলাইনে সর্বসাধারণের মতামত সংগ্রহের পাশাপাশি দেশব্যাপি বিভিন্ন সংগঠন ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে আলোচনা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে গত ২৪ নভেম্বর জাতীয় বেতন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। যা নবম জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়নে সরকারি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আশান্বিত করে।  

বাজারে একটি কথা খুবই প্রচলিত তা হলো- সরকারি চাকরিজীবীরা ঘুষ খায়, দুর্নীতি করে। কিন্তু দু’এক শতাংশের জন্য বাকিদের কাঠগড়ায় তোলা সমীচীন নয়। কার্যকর যৌক্তিক বেতন নিশ্চিত করার মাধ্যমে অভাবে স্বভাব নষ্ট করতে দেয়ার পথ বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ সবার আগে যুগের সঙ্গে যৌক্তিক বেতন কাঠামো নিশ্চিত করা জরুরি। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সকল উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে হবে। মনে রাখা জরুরি, একটি পে-স্কেল শুধু সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি করে না বরং পরোক্ষভাবে বেসরকারি খাতের আয় বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বাস্তবিক অর্থে, স্বল্প আয়ের সরকারি কর্মজীবীর বাইরেও একজন নাগরিকের জীবন চালাতে যখন হিমশিম খেতে হয়; তখন রাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা ও প্রত্যক্ষ নীতি-নির্ধারণী সহযোগিতা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা থাকে না। 

নবম পে-স্কেল যুগপৎভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই পে-স্কেল যেমন কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নের সম্ভাবনার কথা বলে তেমনি অর্থনৈতিক চাপ, সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতি, বেসরকারি খাতের বৈষম্যের কথাও জানান দেয়। একটি আদর্শ পে-স্কেল শুধু বেতন বৃদ্ধির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, কর্মচারীদের দক্ষতা, প্রশাসনিক জবাবদিহিতা এবং সাধারণ মানুষের সেবাপ্রাপ্তির যৌথ প্রয়াস। কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে নবম পে-স্কেল বাংলাদেশের সরকারি প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী ও মানবিক করে তুলতে পারে। নবম পে-স্কেলও মূলত সরকারি খাতে কর্মরত লাখো কর্মচারীর আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মহতী উদ্যোগ হলেও এর প্রভাব দেশের বৃহত্তর সামাজিক পরিসরে বিস্তৃত। নতুন বেতন কাঠামো চালুর ফলে নিম্ন ও মধ্যম পর্যায়ের কর্মচারীরা আর্থিক সঙ্কট থেকে উত্তরণ পাবে। ফলে তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা জীবনের মান উন্নয়নে সহায়তা করবে; বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তির শক্তি যোগাবে এবং কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়াবে। বেতন বৃদ্ধির কারণে বাজারে ভোগব্যয় বাড়বে; যার ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে একধরনের প্রবাহ তৈরি হবে। বাজারে চাহিদা বাড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে ও উদ্যোক্তাদের নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। 

কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিতে সঞ্চয় বৃদ্ধি পাবে ও ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। নারী কর্মসংস্থান, শিক্ষা খাত ও স্বাস্থ্য খাতেও নবম পে-স্কেলের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। নারী সরকারি কর্মচারীরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবে ও সামাজিক অবস্থান সুদৃঢ় হবে। বিশদভাবে বলা যায়, নবম পে-স্কেল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামোয় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। এটি সরকারি কর্মচারীদের জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি বাজারে চাহিদা বাড়াবে ও বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।

দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানা যাচ্ছে, নতুন বেতন কাঠামোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পে কমিশনের সদস্যরা সুপারিশমালা প্রস্তুত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচন ও বাজেট ঘাটতির বাস্তব চাপে এই সরকারের মেয়াদে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করা সম্ভব নাও হতে পারে। কমিশনের এই কাজের গতির বিপরীতে কর্মচারী নেতারাও কঠোর অবস্থানে অনড়। তারা পে কমিশনকে সুপারিশ দাখিলের জন্য গত ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। কর্মচারী নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে সুপারিশ না দেওয়ায় আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে অনড় কর্মচারীরা। এতো আয়োজনের পরও সম্প্রতি মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা জনাব সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে, নতুন পে কমিশন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার। এমন বক্তব্য সরকারি কর্মচারীদের শুধু চরমভাবে হতাশই করেনি বরং চিন্তাশীলও করে তুলেছে। 

অর্ন্তবর্তী সরকার প্রধানের পে-কমিশন গঠন, সদস্যদের সাথে ধারাবাহিক সভা, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানাধর্মী বিশ্লেষণ ও টেকসই বেতন কাঠামো নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক, শতাধিক প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী সংগঠণের সাথে দিনের পর দিন সভা, বিভিন্ন জরীপ ও কর্মচারীদের পে-স্কেল বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এ প্রচেষ্টাকে বৃথা যেতে দেওয়া ঠিক হবে না। আমাদের ভাবতে হবে, টেকসই অর্থনীতির সুষম বিল্পব প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মেধা ও মননেরই ফল। এজন্য সকল আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে জীবনের ন্যূনতম প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে যৌক্তিক নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের এখনই সময়। 

লেখক: অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা/তারা//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ চ ত কর ব স তবত য় ন তবর ত ক র যকর সরক র র র সরক র র জন য অন য য় জ বন র প রস ত ত কর র দ রব য নবম প স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

মাদকাসক্ত চিকিৎসায় নিরাময় কেন্দ্রের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করতে ‘মাদকাসক্ত চিকিৎসায় নিরাময় কেন্দ্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ঐক্য মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ বাহাউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাইকোলজিস্ট কাজী রুম্পা এবং ঐক্য মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আওলাদ হোসেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রের পরিচালক মোঃ তানভীর আরেফিন রনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, মোঃ তানভীর, মোঃ জনি, ফ্রীডম লাইফ নিরাময় কেন্দ্রের জাফর ও সানী, জে.আর নিরাময় কেন্দ্রের রিয়াদ হোসেন সানী, কচিসহ বিভিন্ন নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা এবং বিভিন্ন রিকোভারী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং সমাজে তাদের স্বাভাবিক বিষয়ে ফিরে আসার বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। পরে সুস্থতার ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ৫ জনকে বেইজ প্রদান এবং ১৫ জনকে সুস্থতার সনদ প্রদান করা হয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ