চট্টগ্রামের পটিয়ার ব্যস্ত মহাসড়কে ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার শিকার লোকজনের মধ্যে শিশুসহ সব বয়সের মানুষই আছে। দিন দিন দুর্ঘটনা বাড়তে থাকলেও কারও যেন কিছু করার নেই। এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতনের পঞ্চম শ্রেণির একদল শিক্ষার্থী। নিরাপদ সড়ক পারাপারের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করেছে তারা। দিয়েছে সমাধানও।

গতকাল সোমবার দুপুরে স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক কাজের অংশ হিসেবে ‘নিরাপদ রাস্তা পারাপার’ নামের গবেষণা প্রকল্প পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমানের কাছে উপস্থাপন করে। উপজেলা মিনি হলে তাদের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ১৫ জন শিক্ষার্থী নিরাপদ পদচারী–সেতুর একটি মডেল জমা দেয়।

চট্টগ্রামের পটিয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার পরিত্যক্ত চা–বাগানের শিশুদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিতে কয়েকজন উদ্যোগী তরুণের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতন। শুরু থেকেই এই বিদ্যালয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান করানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থীকে নিয়ে গবেষণা প্রকল্পটি সাজানো হয়।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ মাস ধরে ১৫ জন শিক্ষার্থী গবেষণা কার্যক্রমটি চালিয়েছে। গবেষণা প্রকল্পের নাম ‘নিরাপদ রাস্তা পারাপার’। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসংলগ্ন চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ বহুমুখী হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা পারাপারের সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করেছে তারা গবেষণার মাধ্যমে। গবেষণার সময় তারা শিক্ষকদের সহযোগিতা ছাড়া নিজেরাই সরেজমিনে গিয়ে মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করেছে। এরপর শিক্ষার্থী, পথচারী, দোকানি, হকারসহ স্থানীয় লোকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সম্ভাব্য সমাধানের উপায়গুলো যাচাই-বাছাই শেষে সমাধান হিসেবে র‍্যাম্পযুক্ত পদচারী–সেতুর একটি মডেল উপস্থাপন করে তারা। প্রস্তাবিত পদচারী–সেতু লম্বায় ৪৬ ফুট এবং প্রস্থে ৭ ফুট। সেতু দিয়ে যাতে পশুও পারাপার করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে একটি ছাড়া আর কোনো পিলার রাখা হয়নি রাস্তায়।

প্রকল্প নিয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সমন্বয়ক দলের সদস্য ধ্রুবজ্যোতি হোর ও সাইফুজ্জামান সাকন বলেন, শিশুরা যেন আরও সৃজনশীল হয়ে ওঠে এবং গবেষণাপদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হয়, এ জন্যই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

ইউএনও ফারহানুর রহমান বলেন, শিশুশিক্ষার্থীরা কেবল মানুষের জন্য নয়, গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশু চলাচলের কথা পর্যন্ত ভেবেছে। এটা প্রশংসনীয়।

প্রকল্প উপস্থাপনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে, সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক, প্রধান শিক্ষক সুজা আল মামুন, শিক্ষক প্রিয়া চৌধুরী, আরিফ মঈনুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প দ র ঘটন ন র পদ উপজ ল উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

রাস্তা পারাপারের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণায় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, বাতলে দিল সমাধানও

চট্টগ্রামের পটিয়ার ব্যস্ত মহাসড়কে ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার শিকার লোকজনের মধ্যে শিশুসহ সব বয়সের মানুষই আছে। দিন দিন দুর্ঘটনা বাড়তে থাকলেও কারও যেন কিছু করার নেই। এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতনের পঞ্চম শ্রেণির একদল শিক্ষার্থী। নিরাপদ সড়ক পারাপারের ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করেছে তারা। দিয়েছে সমাধানও।

গতকাল সোমবার দুপুরে স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক কাজের অংশ হিসেবে ‘নিরাপদ রাস্তা পারাপার’ নামের গবেষণা প্রকল্প পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানুর রহমানের কাছে উপস্থাপন করে। উপজেলা মিনি হলে তাদের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে ১৫ জন শিক্ষার্থী নিরাপদ পদচারী–সেতুর একটি মডেল জমা দেয়।

চট্টগ্রামের পটিয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার পরিত্যক্ত চা–বাগানের শিশুদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দিতে কয়েকজন উদ্যোগী তরুণের প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতন। শুরু থেকেই এই বিদ্যালয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদান করানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থীকে নিয়ে গবেষণা প্রকল্পটি সাজানো হয়।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ মাস ধরে ১৫ জন শিক্ষার্থী গবেষণা কার্যক্রমটি চালিয়েছে। গবেষণা প্রকল্পের নাম ‘নিরাপদ রাস্তা পারাপার’। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসংলগ্ন চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ বহুমুখী হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা পারাপারের সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করেছে তারা গবেষণার মাধ্যমে। গবেষণার সময় তারা শিক্ষকদের সহযোগিতা ছাড়া নিজেরাই সরেজমিনে গিয়ে মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করেছে। এরপর শিক্ষার্থী, পথচারী, দোকানি, হকারসহ স্থানীয় লোকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সম্ভাব্য সমাধানের উপায়গুলো যাচাই-বাছাই শেষে সমাধান হিসেবে র‍্যাম্পযুক্ত পদচারী–সেতুর একটি মডেল উপস্থাপন করে তারা। প্রস্তাবিত পদচারী–সেতু লম্বায় ৪৬ ফুট এবং প্রস্থে ৭ ফুট। সেতু দিয়ে যাতে পশুও পারাপার করতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে একটি ছাড়া আর কোনো পিলার রাখা হয়নি রাস্তায়।

প্রকল্প নিয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সমন্বয়ক দলের সদস্য ধ্রুবজ্যোতি হোর ও সাইফুজ্জামান সাকন বলেন, শিশুরা যেন আরও সৃজনশীল হয়ে ওঠে এবং গবেষণাপদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হয়, এ জন্যই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

ইউএনও ফারহানুর রহমান বলেন, শিশুশিক্ষার্থীরা কেবল মানুষের জন্য নয়, গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশু চলাচলের কথা পর্যন্ত ভেবেছে। এটা প্রশংসনীয়।

প্রকল্প উপস্থাপনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে, সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক, প্রধান শিক্ষক সুজা আল মামুন, শিক্ষক প্রিয়া চৌধুরী, আরিফ মঈনুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ