চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ স্টেশন এলাকায় আয়োজিত এই মানববন্ধনে চাকরিচ্যুত সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার দুই শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন।

ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা সাইফুল আরমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্যাংক কর্মকর্তা নাঈমুল ইসলাম, হ‌ুমায়ূন কবির, আসাদ উল্লাহ, আবদুল করিম, আজিজুল হক, মোহাম্মদ সোলাইমান, মিশকাতুল ইসলাম, পারভেজ রোহানসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে আমাদের হঠাৎ চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। আমাদের পরিবারের অনেক সদস্য ইতিমধ্যে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। সামাজিকভাবে আমাদের সম্মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমরা বৈধ ডকুমেন্টের মাধ্যমে চাকরিতে যোগদান করেছিলাম। আমাদের এস আলম ও চট্টগ্রাম ট্যাগ দিয়ে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের সরকারি চাকরিতে আবেদন করার বয়সও শেষ হয়ে গেছে।’

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ কর চ য ত কর কর মকর ত আম দ র র চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীর আরডিএ কমপ্লেক্সের ইজারা বাতিল করে সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র করার দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহীর আরডিএ কমপ্লেক্স একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে সেখানে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র করার দাবিতে ‘রাজশাহী নগরবাসী’র ব্যানারে মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে নগরীর তালাইমারী মোড়ে অবস্থিত ওই কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র হিসেবে ভবনটি নির্মাণ করা হলেও এটি এখন সেই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) একটি জনবিরোধী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটিকে লিজ দিয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বক্তারা অবিলম্বে এই ইজারা বাতিল করে ভবনটিকে ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র’ হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানান।

বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের আন্দোলনের সময় মতিহার চত্বর, তথা তালাইমারী মোড় ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখান থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী কলেজ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নাগরিক সমাজ ও আমজনতা আন্দোলন সংঘটিত করে। ভবনটিকে জুলাই ইতিহাসসহ এই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস, বরেন্দ্র ভূমির ইতিহাস এবং ১৯৪৭ থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থান পর্যন্ত বাংলার আন্দোলন–সংগ্রাম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাস উপস্থাপন এবং সংরক্ষণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে আরডিএ কমপ্লেক্স ভবনের জনবিরোধী ইজারা বাতিলের দাবি জানান এবং এর নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র’ করার দাবি জানান।

নদীগবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নই। শিক্ষানগরীর ধারাবাহিকতা আমরা রাখতে চাই। কিন্তু ভবনটি নির্মিত হয়েছিল ইতিহাস সংরক্ষণ ও সংস্কৃতিচর্চার উদ্দেশ্যে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়।’

জুলাই ৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী বলেন, ‘৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর আমরা আশা করেছিলাম, দখলবাজি ও অন্যায়ের অবসান হবে। কিন্তু ভবনটি নানা কৌশলে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা রাজশাহীবাসীর পক্ষ থেকে এখানে ইতিহাস সংরক্ষণ ও সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় ছাত্র-জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’

রাজশাহী মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাদিম সিনা বলেন, ‘ভবনটি হওয়ার কথা ছিল একটি পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যেখানে অডিটরিয়াম, আর্ট গ্যালারি, ও নাট্যশালা থাকবে। রাজশাহীতে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধার অভাব আছে। অথচ এটিকে একটি বেসরকারি স্কুলকে লিজ দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, এটি তার মূল উদ্দেশ্যে ফিরে আসুক।’

আরডিএ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর তালাইমারী মোড়ে ১২ হাজার ৫১৮ বর্গমিটার জমিতে ৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এটি ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’ নামে শুরু হলেও পরে নাম পরিবর্তন করে ‘আরডিএ কমপ্লেক্স’ রাখা হয়। সম্প্রতি ২৯ হাজার ৫০০ বর্গফুট স্পেস মাসে ৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকায় ১০ বছরের জন্য দেবাশীষ প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হয়, যিনি পরবর্তী সময়ে এটি একটি স্কুলকে ভাড়া দেন। ইতিমধ্যে স্কুলটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।

বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক হোসেন আলী পিয়ারা, নারীনেত্রী ঈশিতা ইয়াসমিন, ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনকর্মী ওয়ালিউর রহমান প্রমুখ।

এর আগে ৫ নভেম্বর ৩৬ জুলাই ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন ইজারা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন করে।

আরডিএ কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল তারিক বলেন, ‘আজ কারা কর্মসূচি পালন করেছেন, তা মাত্র জানলাম। এ বিষয়ে জেনে পরে মন্তব্য করতে পারব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুনামগঞ্জে টিটিসি নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আড়াইহাজারে ওরশের নামে বাউল গান বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
  • গ্যাস লাইন সংস্কার দাবিতে ২১নং ওয়ার্ডে মানববন্ধন, অবরোধ
  • এনইআইআর সংস্কারের দাবিতে দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন মুঠোফোন ব্যবসায়ীদের
  • এনইআইআর সংস্কারের দাবিতে আগামীকাল সারা দেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধের ঘোষণা
  • রাজশাহীর আরডিএ কমপ্লেক্সের ইজারা বাতিল করে সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র করার দাবিতে মানববন্ধন