দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

আরো পড়ুন:

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৫

ডেঙ্গুতে একদিনে ৪ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে তারা পুরুষ। তাদের বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন র ম ত য

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় সেতুর নির্মাণকাজ চালুর দাবিতে ‘১ ঘণ্টা অচল’ কর্মসূচি বুধবা

খুলনার গল্লামারী ময়ুর নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজ পুনরায় চালুর দাবিতে আগামীকাল বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গল্লামারী সেতুতে ‘এক ঘণ্টা অচল’ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা খুলনাবাসী’। 

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় গল্লামারী ব্রিজের কাছে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন এ আহ্বান জানিয়েছেন ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলেনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, খুলনা মহানগরীর গল্লামারী ময়ুর নদীর ওপর একটি সেতু ছিল। জনসংখ্যা ও যানবাহন বৃদ্ধির ফলে ২০১৬ সালে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হওয়ায় ময়ুর নদী রক্ষা ও নৌযান চলাচল বিবেচনায় না থাকায় কয়েক বছরের মধ্যে সেটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে পাশাপাশি দুটি সেতু নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। 

২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর আগের সেতুটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। নতুন সেতুর নির্মাণকাজের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা শেষ হয়নি। কাজের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হয়। পরে আবার ২০২৫ সালের মে মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার শর্তে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে ৬৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেয় সড়ক বিভাগ। অথচ, এ যাবত প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১৭ শতাংশ। 

ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন স্টিল আর্চ ডিজাইনের দুটি সেতু হবে। সেতু দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৬৮.৭০ মিটার ও প্রস্থ ১৩.৭০ মিটার। নদীর পানির লেভেল থেকে সেতুর উচ্চতা ৫ মিটার। 

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পর হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় সেতুর নির্মাণকাজ। দীর্ঘ আট মাস পার হলেও নির্মাণকাজ পুনরায় চালু না হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ কারণে ‘আমরা খুলনাবাসী’র উদ্যোগে ২০ এপ্রিল সড়ক ভবন ও তার সামনের সড়ক অবরোধ করলে খুলনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশ্বাস দেন যে, ২০২৫ সালের ৩০ আগস্টে মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে। কিন্তু, আরো ৪-৫ মাস অতিবাহিত হলেও নির্মাণকাজ শুরু না হওয়ায় এখন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে রোগী পরিবহন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন রুটের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। সবাই ভোগান্তি পোহালেও কর্তৃপক্ষ এতে কর্ণপাত করছে না। জনস্বার্থে দ্রুতই সেতুর নির্মাণকাজ পুনরায় চালুর দাবিতে আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর সকাল ১১টা থেকে ‘এক ঘণ্টা অচল’ কর্মসূচি পালনে খুলনাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ‘আমরা খুলনাবাসী’র নেতারা।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ