খালেদা জিয়া এদেশের মানুষের ঐক্য ও ভালোবাসার প্রতীক : সজল
Published: 2nd, December 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
উনি এর আগেও ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে কারাগারে থেকেও উনি হাসপাতালে কঠিন সময় পার করেছিলেন ছিলেন। এদেশের গণতন্ত্র ও মানুষের স্বার্থে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এই দোয়াই কামনা করছি।
বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল এবং খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথাগুলো বলেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাদ জোহর শহরের কিল্লারপুল জামে মসজিদ মাঠে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মহানগর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, উনি একজন মহসিনী নারী। উনার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের স্বার্থে যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে উনাদেরকে ক্যান্টনমেন্ট রেখে গিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিল। সে সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টে অবরুদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘ নয় মাস গৃহবন্দী ছিল।
সেই সময় তিনি বিভিন্ন জুলুম নির্যাতন পার করেছিলেন। এরপর শহীদ রাষ্ট্রপতি নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। এরপরে এদেশের মানুষই প্রতি প্রেসিডেন্স জিয়াউর রহমানকে মানুষের হৃদয় অবস্থান করে নিয়েছিলেন।
তারপরে ১৯৮১ সালের ত্রিশে নভেম্বর দেশি-বিদেশি চক্রান্তের মাধ্যমে উনাকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে হত্যা করা হয়। এরপরই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে আসেন। উনার স্বামীর মৃত্যুর পরে উনি এই দলের হাল ধরেছিলেন। নব্বইতে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি একাই নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন এবং লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন।
এরপর তিনি ১৯৯১ সালে বিএনপিকে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এরপর থেকে তিনি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশের ওলামাকারামদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্মানিত করেছিলেন। উনি দেশের মানুষের উপকার ছাড়া কখনো ক্ষতি করেন নাই। আজকে উনি অসুস্থ সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ উনার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন। উনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে এদেশের গণতন্ত্রের জন্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সামরিক শাসনের দুই বছর এবং আওয়ামী লীগের ১৫ বছর ১৭ টি বছর তিনি আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তিনি কখনো আপোষ করেননি। তিনি নিজের সন্তানের বিনিময়েও কিন্তু তাদের সাথে আপোষ করে নাই।
তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের বাইরে আমার আর কোন ঠিকানা নেই। এই বাংলাদেশই আমার শেষ ঠিকানা। আমার সন্তানদেরকে যদি হত্যা করা হয় তাহলেও আমি এই দেশের গণতন্ত্রের লড়াই সংগ্রাম থেকে পিছপা হবো না। উনি নিজের জীবন বাঁচিয়ে রেখে এদেশের মানুষের বিপদ-আপদে সবসময় পাশে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদে হাসপাতালে কঠিন সময় পাস করছেন আপনারা মন থেকে ওনার জন্য দোয়া করবেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ধারণ করে এদেশের ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থান করে মাধ্যমে এদেশকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। আগামী নির্বাচন ও বর্তমান সংকট সময়ে পার করছে দেশ।
দেশ-বিদেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র থেকে এদেশের মুক্তির একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি এদেশের মানুষের ঐক্য ও ভালোবাসার প্রতীক। উনাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মানুষ আগাতে চায়। উনি যেন সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ ব গম খ ল দ গণতন ত র কর ছ ল ন স স থ হয় র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাতে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি
কারাবন্দী পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা এবং দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর বোন ও দলীয় নেতাদের সাক্ষাতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিরোধীদলীয় জোট। অন্যথায় তারা দেশজুড়ে বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট হাউসের বাইরে গত শুক্রবার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দেশটির বিরোধীদলীয় জোট। এতে পাখতুনখাওয়া মিলি আওয়ামী পার্টির (পিকেএমএপি) সভাপতি মেহমুদ আছাকজাই বলেন, ‘আমরা সিন্ধি, বেলুচ, পশতু ও পাঞ্জাবিদের রাস্তায় নামা আটকেছি। না হলে তাঁরা সরকার ও তার নীতির বিরুদ্ধে (রাস্তায়) নেমে পড়তেন। এতে করে শাসকেরা বড় সমস্যায় পড়তেন।’
সরকার পার্লামেন্টকে ‘রাবার স্ট্যাম্পে’ পরিণত করেছে এবং জাতীয় পরিষদের স্পিকার আয়াজ সাদিক ‘অন্য কোথাও থেকে আসা নির্দেশ’ অনুসরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন মেহমুদ। তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায় মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। কিন্তু স্পিকার এ গুরুতর বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন না।’
ইমরান খান দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দী। বর্তমানে তিনি আছেন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে। সম্প্রতি ইমরানের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে নানা খবর ছড়িয়েছে। সেদিকে ইঙ্গিত করে মেহমুদ প্রশ্ন করেন, ইমরান খানকে কেন এখনো কারাগারে রাখা হয়েছে এবং কেন তাঁর বোন ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না? সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আদিয়ালা কারাগারের বাইরে বসে আছেন। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তাঁর অনুরোধে কেউ কান দিচ্ছে না।’
গণতন্ত্রের দাফন
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার বলেন, সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে ‘গণতন্ত্রকে দাফন করা হয়েছে’।
আসাদের অভিযোগ, হারিপুরের উপনির্বাচনের ফলাফল কম্পিউটার সিস্টেমের আশ্রয় নিয়ে বদলে দেওয়া হয়েছে। এ আসনে সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুইবের স্ত্রী প্রার্থী ছিলেন।
পিটিআইয়ের আরেক নেতা ব্যারিস্টার গওহর আলী খান বলেন, বিরোধী দল পার্লামেন্ট ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অংশ হয়েই থাকতে চায়। কিন্তু উপনির্বাচনে কারচুপির যে অভিযোগ উঠেছে, তার ফলে তা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।
গওহর আরও বলেন, ‘[ইমরান] খানকে আমি যতটা জানি, তিনি আর আমাদের পার্লামেন্টের অংশ হয়ে থাকতে দিতে রাজি হবেন না।’
ইমরানের বোনের অভিযোগ
শুক্রবার ইমরান খানের বোন আলিমা খান আদিয়ালা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অবেদন করেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের সঙ্গে সপ্তাহে দুবার সাক্ষাতের সময়সূচি পুনর্বহাল করতে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা মানা হচ্ছে না। তাই তিনি শুক্রবার সকালে কারা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন।
ইমরানের মৃত্যু নিয়ে গুজব
শুক্রবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরানের মৃত্যু নিয়ে ইন্টারনেটে গুজব ছড়িয়েছে বলে ভারতের কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে তাঁকে আদিয়ালা কারাগার থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
কিন্তু আদিয়ালা কারাগার কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কারাগার থেকে তাঁকে (ইমরান খান) স্থানান্তর সম্পর্কিত কোনো খবর সত্য নয়। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন।’ কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে বলেছে, ইমরানের স্বাস্থ্য নিয়ে যে অনিশ্চয়তার কথা বলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। তাঁর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধী দলের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে।