নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক তরুণীকে (১৯) বসতঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ আরাফাত ইসলাম ওরফে সাকিবকে (১৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ওই তরুণীর স্বজনেরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা আজ মঙ্গলবার নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আটক আরাফাতকে ওই তরুণীর করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে বিকেলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে ওই তরুণীর সঙ্গে একই উপজেলার এক যুবকের বিয়ে হয়। বিয়ের অল্প কিছুদিন পর স্বামী তাঁর খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন। তখন থেকে ওই তরুণী তাঁর বাবার বাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী তরুণ আরাফাত ইসলাম ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন।

ধর্ষণের শিকার তরুণীর থানায় করা এজাহারে অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে বসতঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন আরাফাত। একপর্যায়ে তরুণী দরজা খুললে তিনি ঘরে প্রবেশ করে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে ঘরের লোকজনের ঘুম ভাঙলে তাঁরা আরাফাতকে আটক করেন। পরে তাঁকে কবিরহাট থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

শাহিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতেন আরাফাত। সর্বশেষ গতকাল রাতে ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় তরুণী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ত তর ণ র তর ণ ক

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ, তরুণ গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক তরুণীকে (১৯) বসতঘরে ঢুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণ আরাফাত ইসলাম ওরফে সাকিবকে (১৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ওই তরুণীর স্বজনেরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা আজ মঙ্গলবার নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আটক আরাফাতকে ওই তরুণীর করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে বিকেলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে ওই তরুণীর সঙ্গে একই উপজেলার এক যুবকের বিয়ে হয়। বিয়ের অল্প কিছুদিন পর স্বামী তাঁর খোঁজখবর নেওয়া বন্ধ করে দেন। তখন থেকে ওই তরুণী তাঁর বাবার বাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশী তরুণ আরাফাত ইসলাম ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করছিলেন।

ধর্ষণের শিকার তরুণীর থানায় করা এজাহারে অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে বসতঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন আরাফাত। একপর্যায়ে তরুণী দরজা খুললে তিনি ঘরে প্রবেশ করে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে ঘরের লোকজনের ঘুম ভাঙলে তাঁরা আরাফাতকে আটক করেন। পরে তাঁকে কবিরহাট থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতেন আরাফাত। সর্বশেষ গতকাল রাতে ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় তরুণী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ