লিটনের বিশ্বকাপের দল প্রস্তুত, তবে…
Published: 2nd, December 2025 GMT
অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে লিটন দাস একটি বিষয় পরিস্কার করেছেন খুব ভালোভাবেই, যাদেরকে জাতীয় দলে নেওয়া হচ্ছে তাদেরকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়ে, সুযোগ দিয়ে জায়গা পাকাপোক্ত করা।
আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত লিটনকে অধিনায়ক করা হয়েছে। লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব পাওয়ায় তার পরিকল্পনা ছিল পরিস্কার। জাতীয় দলের স্কোয়াডের আশে পাশে যারা আছেন তাদেরকেই প্রস্তুত করা। সেই মোতাবেক এগিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
৭৫ নাকি ৭০ লাখ, বিপিএলের নিলাম নিয়ে বিভ্রান্ত লিটন!
এনামুল-মোসাদ্দেকদের ছাড়া বিপিএল ‘অনেক বেশি নিরাপদ’: মার্শাল
বিশ্বকাপের আগে মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতায় খুশি লিটন। কিছুদিন পর ক্রিকেটাররা বিপিএলে খেলবেন। এরপর চলে যাবেন বিশ্বকাপে।
নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। ওভারকাম করতে পারিনি। পরে টানা দুই ম্যাচ জিতে আমরা সিরিজটা জিততে পেরেছি। অনেক ইতিবাচক দিক এটা।’’
বিশ্বকাপের দলে কারা থাকবেন, কাদের নিয়ে স্বপ্নের যাত্রায় উড়াল দেবেন তা ভেবে রেখেছেন লিটন, ‘‘দল অনেক আগের থেকেই প্রস্তুত ছিল। যখন এশিয়া কাপ আমরা খেলেছি তখন থেকেই। আপনি যদি দেখেন প্যাটার্নটা…এই কয়েকটা খেলোয়াড়ই খেলছে, তার মানে বোঝা যাচ্ছে যে দলটা আগে থেকে প্রস্তুত ছিল।’’
বিপিএলেও ক্রিকেটারদের পরীক্ষা হবে। মন খুলে তারা পারফর্ম করবেন। যার যার দলে নিজের ছাপ রাখবেন এমনটাই অধিনায়কের প্রত্যাশা। বিপিএল থেকে ফিরে আবার যখন জাতীয় দলে আসবেন তখন সেরা ফর্ম নিয়েই আসতে পারে সেই অপেক্ষায় থাকবেন লিটন, ‘‘এখন একটা জিনিস থাকবে, খেলোয়াড়রা বিপিএল খেলবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটা ক্রিকেট। আমার মনে হয় যে যেখানেই খেলুক, যেকোনো দলই খেলুক, তারা সেরা ক্রিকেটটা খেলবে এবং ওই সেরা ক্রিকেটটাই আবার যখন আমরা জাতীয় দলের হয়ে আসবো, তখন আবার খেলার চেষ্টা করব।’’
সঙ্গে কেউ যেন চোটে না পড়ে সেদিকেও নজর রাখার কথা বললেন তিনি, ‘‘আমি পারফরমেন্স নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন না। কারণ যারা এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলে। ভালো খেলোয়াড় সব জায়গায় পারফর্ম করে। আমি চিন্তিত একটা জায়গায়, এখান থেকে কোনো খেলোয়াড় যেন ইনজুরিতে না পড়ে। তখন আমি ওই জায়গাটা কাভার আপ করব কিভাবে?’’
নিজের বিশ্বকাপের দল লিটন প্রস্তুত করেই ফেলেছেন লিটন। তবে সামনে যেহেতু বিপিএল এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই আসরে কেউ যদি অকল্পনীয় পারফরম্যান্স করে তাহলে তার কী সুযোগ মিলবে? প্রতিশ্রুতিশীল কেউ দারুণ কিছু করলে তার জন্য জাতীয় দলের জায়গা কী খুলবে?
লিটন আশা দেখানোর সঙ্গে বাস্তবতাও মনে করিয়ে দিলেন, ‘‘যেহেতু বিপিএল একটা বড় লিগ। কোনো খেলোয়াড় যদি এক্সট্রা অর্ডিনারি ক্রিকেট খেলে, অবশ্যই তার জন্য জায়গা খোলা। কারণ আপনি খেলোয়াড় নির্বাচন করবেন কিভাবে? পারফরমেন্স দেখে নির্বাচন করবেন। পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে, দলের নিয়মিত খেলোয়াড় যদি একই জায়গা পারফর্ম করে তাহলে তো আপনি পারফর্ম করা প্লেয়ারকে বাদ দিতে পারবে না।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব শ বক প র প রস ত ত জ ত য় দল ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
ধরন বুঝে কেন টিভি কেনা জরুরি
ঘরে আর যা-ই থাকুক না কেন, একটি টেলিভিশন না থাকলে কি চলে? যতই আমরা আজকাল মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপে সিরিজ বা সিনেমা উপভোগ করি না কেন, টিভি দেখার ব্যাপারটিই যেন ভিন্ন। আয়োজন আর আয়েশ করে কিছু দেখতে গেলে টিভির কোনো জুড়ি নেই বললেই চলে।
তবে টিভি কিন্তু এখন আর একমুখী কোনো যন্ত্র নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি হয়ে উঠেছে একেবারে স্মার্ট, মাল্টি-ফাংশনাল ও ইন্টারঅ্যাকটিভ। তাই টিভি কেনার সময় শুধু ব্র্যান্ড বা দাম নয়, খেয়াল রাখতে হবে চাহিদা, ফিচার, প্রযুক্তি ও পারফরম্যান্সের সঠিক ভারসাম্য।
বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের টিভি—এলইডি, কিউএলইডি, মিনি-এলইডি ও ওএলইডি। এ ছাড়া আধুনিক স্মার্ট টিভিতে যুক্ত হয়েছে এআই প্রসেসিং, ভয়েস কন্ট্রোল, স্মার্ট হাব ও গেমিং ফিচারের মতো বৈশিষ্ট্য। তাই টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা জরুরি।
স্ক্রিন প্রযুক্তিস্ক্রিনের ওপর ভিত্তি করে এখন বিভিন্ন ধরনের টিভি পাওয়া যায়—এইচডি/এফএইচডি, ইউএইচডি, কিউএলইডি, ওএলইডি ও নিও কিউএলইডি এইটকে। এফএইচডি ও ইউএইচডি টিভি হলো সবচেয়ে প্রচলিত ও বাজেট-বান্ধব অপশন। এতে লাইট এমিটিং ডায়োড ব্যাকলাইট হিসেবে কাজ করে, ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় এবং স্ক্রিনের আয়ুষ্কাল তুলনামূলক বেশি থাকে। খবর, টক শো, সিনেমা বা দৈনন্দিন সিরিজ দেখার জন্য এটি যথেষ্ট ভালো। তবে কালার ও নিখুঁত কনট্রাস্টের দিক থেকে এলইডি কিছুটা পিছিয়ে।
আর কিউএলইডি টিভি কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তিভিত্তিক। এর ফলে এই টিভিগুলোতে ছবির উজ্জ্বলতা ও পারফরম্যান্স অনেক উন্নত। এতে যেকোনো আলোতেই টিভি দেখা যায় স্বাচ্ছন্দ্যে। এ ছাড়া স্পোর্টস, গেমিং ও অ্যানিমেটেড সিনেমা উপভোগের জন্যও কিউএলইডি হতে পারে আদর্শ বিকল্প।
ওএলইডি টিভি এক ধাপ উন্নত। এখানে প্রতিটি পিক্সেল নিজেই আলো দেয়, তাই ব্ল্যাক লেভেল থাকে গভীর এবং কালার ও ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল হয় অসাধারণ। সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স, গেমিং বা গ্রাফিক্সভিত্তিক কনটেন্ট দেখার জন্য ওএলইডি টিভি সেরা। তবে এর দাম তুলনামূলক বেশি।
স্ক্রিন সাইজ, সাউন্ড ও রেজল্যুশনটিভির আকার বাছাই করার সময় ঘরের আয়তন ও দেখার দূরত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছোট রুমের জন্য ৩২ থেকে ৪৩ ইঞ্চির টিভি যথেষ্ট, যেখানে বড় ড্রয়িংরুমের জন্য ৫৫ থেকে ৮৫ ইঞ্চি বেশি উপযুক্ত। এখানে রেজল্যুশনের পাশাপাশি ব্যবহারকারীর পছন্দও বড় ভূমিকা রাখে।
এইচডি টিভিগুলো এখন অনেক পুরোনো ধরা হয়, তবে ফুল এইচডি এখনো ভালো মানের ভিউ দেয়। কিন্তু ফোরকে টিভিই এখন মূলধারায় রয়েছে। এতে ছবির ডিটেইল ও শার্পনেস অনেক বেশি। তবে ভালো ছবি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভালো সাউন্ডও।
টিভির বিল্ট-ইন স্পিকারে যদি ডলবি অ্যাটমস বা ডিটিএস এক্স সাপোর্ট থাকে, তাহলে সাউন্ড হয় আরও ইমার্সিভ। তবে বড় ঘরে সিনেমা হলের মতো এক্সপেরিয়েন্স পেতে সাউন্ডবার বা হোম থিয়েটার সিস্টেম যুক্ত করা যেতে পারে।
প্রযুক্তির জন্য স্যামসাংয়ের টিভিগুলোতে ভিউইং এক্সপেরিয়েন্স অনেক বেশি আরামদায়ক ও স্বস্তিকর