জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় চাহিদামতো সারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কয়েক শ কৃষক। আজ মঙ্গলবার বেলা একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত উপজেলার বাট্টাজোড় নতুন বাজার এলাকায় বকশীগঞ্জ-রৌমারী সড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে আশ্বাস দিলে তাঁরা সড়ক ছেড়ে দেন।

কৃষকদের অভিযোগ, চলতি রবি মৌসুমে বোরো ধানখেতে সার দেওয়ার সময় চলে যাচ্ছে। কিন্তু চাহিদামতো তাঁরা সার পাচ্ছেন না। আজ সকালে স্থানীয় ডিলার রোমান মিয়ার দোকান থেকে সার দেওয়ার কথা থাকলেও না দেওয়ায় তাঁরা বিক্ষোভ করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সার দেওয়ার জন্য আজ সকালে বাট্টাজোড় নতুন বাজারে জড়ো হন বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা। কিন্তু দুপুর হয়ে গেলেও দোকান থেকে সার দেওয়া হচ্ছিল না। পরে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে বকশীগঞ্জ-রৌমারী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে সড়কের দুই পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে সার সরবরাহের আশ্বাস দেন। পরে কৃষকেরা তাঁদের অবরোধ তুলে নেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সারের কোনো সংকট নেই। প্রতি মাসেই সারের বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চাহিদার চেয়ে কৃষকেরা বেশি সার দাবি করেন। তাই জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে প্রকৃত কৃষকদের সার সরবরাহ করা হবে। কৃষকেরা জমির চাহিদামতো সার নিলে কোনো সংকট হবে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা সার বিক্রির খবর পেয়েই হুমড়ি খেয়ে পড়েন কৃষকেরা। এ কারণেই সেখানে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ ক ষকদ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন উদ্যোক্তারা: জিইডির প্রতিবেদন

নতুন ব্যবসা চালু করতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন বহু উদ্যোক্তা। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ মাসিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

জিইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন যদি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক গতিপথ ঠিক করে এবং নতুন সরকার এসে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা, আর্থিক ও ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা, জ্বালানি নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখে, তাহলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ফিরে পাবে।

জিইডির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় অর্থনীতি নিয়ে সতর্ক আশাবাদ দেখিয়েছে জিইডি। জিইডি বলছে, একদিকে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে স্থায়ী মূল্যস্ফীতি, ব্যবসায়িক আত্মবিশ্বাস ও দুর্বল ব্যাংকিং খাত স্থানীয় চাহিদা ও বেসরকারি বিনিয়োগকে সীমিত করতে পারে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভালো অবস্থায়

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আগের তুলনায় ভালো হয়েছে বলে মনে করছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। এ ছাড়া প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিক প্রবাহ বেড়েছে, যা দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অবস্থান ভালো হওয়ার বড় কারণ।

জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে চলতি বছরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বা বহির্বাণিজ্যের সূচকে অস্থিরতা ছিল। রপ্তানি আয়ের সূচকও ওঠানামা করেছে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের এপ্রিল ও জুনে রপ্তানি আয়ে পতন দেখা যায়। তবে অক্টোবরে এই সূচকের অবস্থানে উন্নতি দেখা যায়। তৈরি পোশাকশিল্পের রপ্তানির সূচকে বছরের অর্ধেক সময় পর্যন্ত ধীরগতি দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে উন্নতি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বরে মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৫ সালের অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে। এর কারণ খাদ্যের দাম স্থিতিশীল হচ্ছে ও সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ সরবরাহের শৃঙ্খলে স্থিতিশীলতা ও আমদানি করা পণ্যের চাপ কম থাকায় চলতি বছরের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমার বড় কারণ হচ্ছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে, যা ২০২৪ সালের অক্টোবরের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবরে ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ৪৭ শতাংশ

খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে চাল। জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ছিল ৪৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম। আর মাছ ও মাংসের ভূমিকা ছিল যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তবে পর্যাপ্ত মৌসুমি সরবরাহ ভালো থাকায় সবজির দাম কম ছিল। তাই সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে সবজি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় আছেন উদ্যোক্তারা: জিইডির প্রতিবেদন
  • নারায়ণগঞ্জে পানি সরবরাহ খাতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন 
  • নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে রোহিঙ্গা যুবক আটক
  • ছাত্র সংসদ নির্বাচন হঠাৎ স্থগিত, উপাচার্যের দপ্তরের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান  
  • সরকার কড়াইল বস্তির বাসিন্দাদের অধিকারের তোয়াক্কা করছে না: জোনায়েদ সাকি
  • মুক্তিযুদ্ধের সরল গল্পের বাইরের গল্প
  • এবার পদ্মা ও মেঘনা কোম্পানিতে ডিজেল ‘গায়েব’, দেড় লাখ লিটার গেল কোথায়