‘আমি রাজমিস্ত্রির ছেলে, খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে এসে
Published: 2nd, December 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “আমি রাজমিস্ত্রির ছেলে। আমি গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। যারা কর্মজীবী, যারা পরিশ্রম করে রোজগার করেন, তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি এসেছি। আমার বড় কোনো বংশ পরিচয় নাই। আমার অনেক টাকা-পয়সা নাই। আমি বিদেশে পড়াশোনা করি নাই। ঘি খেয়ে বড় হইনি। ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবি পরে বুকে জড়িয়ে ধরে ফটো তুলতে আসিনি।”
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নে জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতীক শাপলা কলি নিয়ে পথসভা এবং পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন নয়, হুঁশিয়ারি হাসনাতের
যারা বিএনপির মনোনয়ন পাননি তাদের এনসিপিতে স্বাগতম: হাসনাত
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “অন্য নেতারা ওপর থেকে নিচে আসে। আর আমি নিচ থেকে আপনাদের লেভেল হতে ওপরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমার বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন। আপনাদের মতো কৃষিজীবী এবং শ্রমজীবী পরিবার থেকে আমি উঠে এসেছি।”
তিনি বলেন, “যারা নেতা বানায়, নেতারা তাদের মানুষ মনে করে না। খেটে খাওয়া মানুষদের তারা নিচু শ্রেণির মানুষ মনে করে। স্টেজে নেতার চেয়ার হচ্ছে বাইশ ইঞ্চি আর কর্মী এবং ভোটারদের জন্য প্লাস্টিকের চেয়ার।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বলেন, “এবার আপনারা চাইলে প্লাস্টিকের চেয়ার থেকে নেতা বানাতে পারেন। আপনারা নেতা নয়, পাহারাদার এবং সেবক বানান, দারোয়ান বানান। নেতাদের কাজ হচ্ছে দারোয়ান এবং পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করা। কিন্তু, জনগণের ভোট নিয়ে তারা নেতা হয়ে যায়। পরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে অ্যাপয়েনমেন্ট লাগে।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “এবার আমাদের লড়াই হবে ওপরের স্তর বনাম নিচের স্তর। আমরা যারা রাজমিস্ত্রির পোলাপান, কৃষক শ্রমিকের পোলাপান, আমাদের সঙ্গে এবার লড়াই হবে ওপরের লেভেলের; যারা নির্বাচনের সময় ওপরের লেভেল থেকে নিচের লেভেলে আসে, নির্বাচন শেষ হলে আবার উপরের লেভেলে চলে যায়। তাদের সঙ্গেই আগামীর ভোট হবে।”
এদিন দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর থেকে শুরু করে সূর্যপুর বাজার, ফুলতলী বাজার, সাহারপাড়, সাইতলা বাজার, বরাট স্টেশন, ভানী দক্ষিণ পাড়া, খিরাইকান্দি এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে পথসভা এবং পদযাত্রা করে সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় এনসিপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন।
ঢাকা/রুবেল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প হ সন ত ওপর র
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়া ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলা শিখিয়েছেন: রাশেদ খান
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্রের জন্য ও সার্বভৌমত্বের জন্য আপসহীন। তিনিই একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি আধিপত্যবাদী ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলা শিখিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা বাজারে নির্বাচনী পথসভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেন, ‘‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদীরা নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির রাজনৈতিক দলগুলো এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত।’’
তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যাশা করি, তারেক রহমান শিগগির দেশে ফিরবেন। দেশের মানুষ তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবর জানতে উদগ্রীব। বিএনপি ও তারেক রহমান এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’
রাশেদ খান বলেন, ‘‘ঐকমত্য কমিশন গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে বিভেদ বৃদ্ধি করেছে। তারা তাদের এজেন্টদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অর্ন্তবর্তী সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য জনমত তৈরির চেষ্টা করেছে। কিন্তু জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা ভোট দিতে চাই। জনগণ নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংস্কার দেখতে চায়। নির্বাচনই আগামীর বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সংস্কার।’’
এর আগে বিকালে সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা বাজারে পথসভায় বক্তব্য দেন রাশেদ খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলী, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন দলটির নেতাকর্মীরা।
ঢাকা/শাহরিয়ার//